Home » জাতীয় » আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন তহবিল (IFAD)-এর অর্থায়নে নারী, ছাত্র ও যুব সম্প্রদায়ের ক্ষমতায়নকে অগ্রাধিকার এবং ‘সামাজিক ব্যবসা’র প্রবর্তনের উপর গুরুত্বারোপ
The Ambassador and Permanent Representative of Bangladesh met IFAD President

আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন তহবিল (IFAD)-এর অর্থায়নে নারী, ছাত্র ও যুব সম্প্রদায়ের ক্ষমতায়নকে অগ্রাধিকার এবং ‘সামাজিক ব্যবসা’র প্রবর্তনের উপর গুরুত্বারোপ

 

রোম, ইতালি,
২৮ নভেম্বর ২০২৪ :

বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন তহবিল (IFAD)-এর অর্থায়নে নারী, ছাত্র ও যুব সম্প্রদায়ের ক্ষমতায়নকে অগ্রাধিকার এবং ‘সামাজিক ব্যবসা’র (Social Business) প্রবর্তনের উপর গুরুত্বারোপ করলেন

আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন তহবিল (IFAD)-এর অর্থায়নে গৃহীত প্রকল্পসমূহে নারী, ছাত্র ও যুব সম্প্রদায়ের ক্ষমতায়নকে অগ্রাধিকার এবং কর্মসংস্থান ও সামাজিক রূপান্তরের ক্ষেত্রে ‘সামাজিক ব্যবসা (Social Business)’ প্রবর্তনের উপর গুরুত্বারোপ করলেন ইতালিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রকিবুল হক। ২৬ নভেম্বর ২০২৪ তারিখে ইতালির রোমে IFAD সদর দপ্তরে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে পরিচয়পত্র প্রদান অনুষ্ঠানে IFAD প্রেসিডেন্ট ড. আলভারো ল্যারিও-এর সাথে বৈঠককালে রাষ্ট্রদূত এ মন্তব্য করেন।

রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি বলেন, কৃষি উন্নয়ন তহবিল (IFAD)-এর অর্থায়নে গৃহীত প্রকল্পসমূহের সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় নারী ও যুব সম্প্রদায়ের অংশগ্রহণের মাধ্যমে ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করা সম্ভব হলে তা ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন’-এর অভীষ্ট অর্জনে সহায়ক হবে। রাষ্ট্রদূত টেকসই গ্রামীণ কৃষি অবকাঠামো বিনির্মাণ, কৃষি পণ্যের সুষম ও প্রতিযোগিতামূলক বাজার সৃষ্টি, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস-এর ‘সামাজিক ব্যবসা (Social Business)’র ধারণা IFAD-এর কর্ম পরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন।

রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি বলেন, ১৯৭৮ সাল থেকে IFAD বাংলাদেশের টেকসই কৃষি বিনির্মাণে কাজ করছে এবং দীর্ঘমেয়াদি বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনজনিত দুর্যোগে ঝুঁকিতে বাংলাদেশ শীর্ষ দেশসমূহের একটি হওয়ায় জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অভিঘাত মোকাবেলায় কৃষি প্রযুক্তির সহজলভ্যতা, সহনশীল জাত উদ্ভাবন এবং টেকসই কৃষি উৎপাদন নিশ্চিতকল্পে ‘জলবায়ু তহবিল’ থেকে অর্থায়ন এবং আন্তর্জাতিক আর্থিক সংস্থাসমূহ থেকে অর্থায়নে তিনি IFAD-এর অধিকতর ভূমিকা প্রত্যাশা করেন। তিনি বাংলাদেশে কৃষির পাশাপাশি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে IFAD-এর সহজ শর্তে ঋণ এবং অনুদান বৃদ্ধির অনুরোধ করেন।

IFAD প্রেসিডেন্ট ড. আলভারো ল্যারিও রাষ্ট্রদূতকে অভিনন্দন জানান এবং স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে IFAD-এর সকল কার্যক্রমে বাংলাদেশের সমর্থন ও সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন। ড. ল্যারিও বাংলাদেশের সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অর্জিত সাফল্যসহ দারিদ্র্য বিমোচন ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে গৃহীত পদক্ষেপ এবং প্রান্তিক কৃষকদের জন্য প্রকল্পসমূহের প্রশংসা করেন। IFAD প্রেসিডেন্ট কৃষি খাতের বিভিন্ন কর্মসূচী ও প্রকল্প বাস্তবায়নে বাংলাদেশের সক্ষমতার প্রেক্ষিতে IFAD হতে প্রকল্পের অর্থায়নে বাংলাদেশের অগ্রাধিকার পাওয়ার বিষয়টি সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করবেন মর্মে রাষ্ট্রদূতকে আশ্বস্ত করেন।- প্রেস রিলিজ

 

 

0 Shares