আর্থিক ভাবে স্বাধীন মহিলারা স্বামীদের থেকে খোরপোশ দাবি করতে পারবেন না। আদালতের রায় নিজের সমাজমাধ্যমের পাতায় ভাগ করে নেন যুজ়বেন্দ্র।
বিনোদন ডেস্ক :
ফের প্রাক্তন স্ত্রীকে খোঁচা দিলেন যুজ়বেন্দ্র চহল। বিবাহবিচ্ছেদের পর থেকেই যুজ়বেন্দ্র ও ধনশ্রী বর্মা পরস্পরকে বিঁধে চলেছেন। একদিকে বড় অঙ্কের খোরপোশ চাওয়ার অভিযোগ, অন্য দিকে সম্পর্কে প্রতারণা— নানা বিষয় নিয়ে পরস্পরকে তোপ দেগেছেন তারা। ফের খোরপোশ নিয়ে প্রাক্তন স্ত্রীকে একহাত নিলেন ক্রিকেট তারকা।
আনন্দবাজার ডট কম
আর্থিক ভাবে স্বাধীন মহিলারা স্বামীদের থেকে খোরপোশ দাবি করতে পারবেন না। আদালতের রায় নিজের সমাজমাধ্যমের পাতায় ভাগ করে নেন যুজ়বেন্দ্র। সেই প্রতিচ্ছবির (স্ক্রিনশট) সঙ্গে তিনি লেখেন, “এ বার মায়ের দিব্যি দিয়ে বলো, এই সিদ্ধান্ত থেকে পাল্টি খাবে না।” এই মন্তব্যের নিশানায় কি পরোক্ষ ভাবে ধনশ্রী রয়েছেন? প্রশ্ন তুলেছেন নেটাগরিক। যদিও কিছু ক্ষণের মধ্যেই সেই প্রতিচ্ছবি সমাজমাধ্যম থেকে সরিয়ে দেন যুজ়বেন্দ্র।
চলতি বছর ২০ মার্চ বিবাহবিচ্ছেদ হয় চহল ও ধনশ্রীর। তার দেড় বছর আগে থেকেই তারা পরস্পরের থেকে আলাদা থাকছিলেন। বিবাহবিচ্ছেদের সময়ে আদালত নির্দেশ দেয়, বিবাহবিচ্ছিন্না স্ত্রীকে ৪ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা দিতে হবে চহলকে। হিন্দু বিবাহ আইন অনুযায়ী, সম্পূর্ণ বিবাহবিচ্ছেদের আগে ছ’মাস সময় দেয়া হয় স্বামী-স্ত্রীকে। সেই সময়ও দেয়া হয়েছিল চহল এবং ধনশ্রীকে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা বিবাহবিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। চহল এবং ধনশ্রী, দুই পক্ষই বিবাহবিচ্ছেদ চেয়েছিলেন।
বিবাহবিচ্ছেদ প্রক্রিয়া যখন চলছে, তখন দু’জনেই সমাজমাধ্যমে নিজেদের মনের কথা লিখেছিলেন। নেটাগরিক তখন নিশ্চিত হন, সত্যিই তারা পরস্পরের থেকে মুক্তি চাইছিলেন। চহল লিখেছিলেন, “ঈশ্বর আমাকে কত বার রক্ষা করেছেন তা আমি গুনে শেষ করতে পারব না। আমি শুধু ভাবি, অজান্তে কত বার ঈশ্বর আমাকে রক্ষা করেছেন। সব সময় সহায় হওয়ার জন্য ঈশ্বরকে ধন্যবাদ।” পোস্ট করেছিলেন ধনশ্রীও। তিনি লিখেছিলেন, “চাপমুক্তি। ঈশ্বর আমাদের চিন্তাকে কেমন আশীর্বাদে বদলে দেন। কী অদ্ভুত না? ঈশ্বরের উপর বিশ্বাস রাখলে তিনি সব ঠিক করে দেন।”
Newturn24.com Latest News Portal