ঢাকা: ;
বাংলাদেশের ভূমি ব্যবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো খাসমহল। খাসমহাল ব্যক্তি মালিকানার আওতার বাইরে। এই ভূমি সাধারণত জনস্বার্থে ব্যবহৃত হয়, যেমন শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, আবাসন, ও উন্নয়নমূলক কাজে। কিন্তু দুঃখজনকভাবে দেখা যায়, খাসমহলের অনেক অংশ দখল, অব্যবস্থাপনা ও অনিয়মের কারণে রাষ্ট্রীয় স্বার্থ বিঘ্নিত হচ্ছে। তাই খাসমহল সুরক্ষা এখন সময়ের দাবি। খাসহালভুক্ত লিজকৃত ও হস্তান্তরকৃত জমি সংক্রান্ত প্রশাসনিক, আইনি ও কারিগরি নানা জটিলতায় এসব জমি ব্যবস্থাপনা প্রায়ই ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

আজ ভূমি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সিনিয়র সচিব এএসএম সালেহ আহমেদ এর সভাপতিত্বে খাসমহাল সরক্ষা বিষয়ক সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সিনিয়র সচিব বলেন;খাসমহল রাষ্ট্রীয় সম্পদের অংশ। এই ভূমি দরিদ্র ভূমিহীনদের মধ্যে বণ্টন, সরকারি প্রতিষ্ঠান স্থাপন, ও উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য অপরিহার্য। এটি ভূমি সংস্কার ও সামাজিক ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠায়ও বড় ভূমিকা রাখে। খাসজমির সঠিক ব্যবস্থাপনা হলে গ্রামীণ অর্থনীতি শক্তিশালী হয় এবং ভূমিহীন মানুষের জীবনমান উন্নত হয়।
তিনি আরো বলেন; খাসমহাল এর সঠিক সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে হলে সরকার, প্রশাসন ও জনগণের সমন্বিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। খাসমহাল সুরক্ষা কেবল ভূমি রক্ষার বিষয় নয়, এটি ন্যায্যতা, স্বচ্ছতা ও টেকসই উন্নয়নের পূর্বশর্ত। আমরা সকলে মিলে খাসমহলকে রক্ষা করি—জনগণের কল্যাণে, দেশের উন্নয়নে। খাসহালভুক্ত লিজকৃত বা হস্তান্তর জমির জটিলতা শুধু আইনি নয়, এটি একটি সামাজিক ও প্রশাসনিক সমস্যা। এই জটিলতা নিরসনে সুশাসন, তথ্যপ্রযুক্তির প্রয়োগ এবং কার্যকর সমন্বয় অপরিহার্য। ভূমি ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা গেলে জনগণের আস্থা বৃদ্ধি পাবে, ভূমি বিরোধ কমবে এবং টেকসই উন্নয়নের পথ প্রশস্ত হবে।
-প্রেস রিলিজ
Newturn24.com Latest News Portal