নিউটার্ন ডেস্ক :
তাপমাত্রা সামান্য কমলেও দেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে দাবদাহ অব্যাহত রয়েছে। তবে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ঝড়বৃষ্টির আভাস দিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, তাতে তাপপ্রবাহের বিস্তারও কমে আসবে।
মঙ্গলবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে রাজশাহীতে ৩৮.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এসময় ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, সীতাকুণ্ডু, হাতিয়া, রাঙামাটি, কুমিল্লা, মাইজদীকোর্ট, ফেনী, রাজশাহী ও পাবনা অঞ্চলসহ ঢাকা, রংপুর, খুলনা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।
জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ আবদুর রহমান বলেন, “বিরাজমান এ তাপপ্রবাহ কিছু কিছু জায়গায় প্রশমিত হতে পারে। কুমিল্লা, কুষ্টিয়া অঞ্চলসহ রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, সিলেট ও ঢাকা বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকাসহ বজ্র বৃষ্টি হতে পারে। দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।”
তিনি জানান, আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে বৃষ্টি ও বজ্রবৃষ্টির আভাস রয়েছে। দিনের তাপমাত্রাও ধীরে ধীরে কমে আসবে।
থার্মোমিটারের পারদ চড়তে চড়তে যদি ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠে, আবহাওয়াবিদরা তাকে মৃদু তাপপ্রবাহ বলেন। উষ্ণতা বেড়ে ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে তাকে বলা হয় মাঝারি তাপপ্রবাহ। আর তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়ে গেলে তাকে তীব্র তাপপ্রবাহ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
বৈশাখের শুরু থেকে তপ্ত হাওয়া সর্বত্র। এরইমধ্যে রোববার যশোরে সর্বোচ্চ ৪১.২ ও ঢাকায় ৩৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়, ২০১৪ সালের পর যা ছিল সবচেয়ে উষ্ণতম দিন।
পরদিন সোমবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় যশোরে ৩৯.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং ঢাকায় ৩৯.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।