সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:
সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে হাওর রক্ষা বাঁধ নির্মানের এসক্লেভেটরের ভাড়া নিয়ে আসার পথে ১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে জোরপূর্বক ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে একদল দৃর্বৃত্তদের বিরোদ্ধে। গুরুতর আহত ব্যক্তি উপজেলার শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়নের গোলাবাড়ী গ্রামের কবির হোসেনের ছেলে লিমন মিয়া (১৮)। গুরুতর আহত লিমন মিয়াকে প্রথমে কমলাকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে তার অবস্থা অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য নেত্রকোনা জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তার অবস্থা আশংকাজনক বলে জানিয়েছেন এখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসকরা। বৃহ¯পতিবার সন্ধায় দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়নের লামাগাও বাজারের দক্ষিণ পশ্চিমের রাস্তায় এই ঘটনাটি ঘটেছে।
এ ব্যাপারে শনিবার সন্ধায় তাহিরপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন আহত লিমনের পিতা মো.কবির হোসেন। অভিযোগের প্রেক্ষিত্বে পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার দক্ষিন শ্রীপুর ইউনিয়নের ৩৮নং পিআইসি প্রকল্পের সভাপতি জুসেফ ও সাধারণ স¤পাদক কয়েস মিয়ার অধিনে মাটির কাটার বাঁধের কাজ করে আসছেন মো. কবির হোসেন ।
আরও পড়ুনঃ মুন্সিগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত-২
শ্রীনগরে কোলাপাড়ায় আ.লীগ ও মুক্তিযোদ্ধাদের অফিস নির্মাণ কাজে ভিত্তিস্থাপন
বৃহস্পতিবার সন্ধায় মাটি কাটার বিল আনার জন্য কবির হোসেনর ছেলে লিমন মিয়াকে নিয়ে লামাগাঁও বাজারের জুসেফ মিয়ার দোকানে যান। জুসেফ মিয়ার দোকানে কয়েস মিয়া মাটি কাটার বিল বাবদ ২লাখ ৮৫ হাজার টাকা দেন কবির হোসেনকে। কবির হোসেন ২লাখ ৮৫ হাজার টাকার মধ্যে ১লাখ ৮৫ হাজার টাকা তার ছেলে লিমন মিয়াকে দেন মাটি কাটার যন্ত্র এসক্লেভেটরের ড্রাইবারকে দেয়ার জন্য। সন্ধা ৭ টার দিকে লিমন মিয়া টাকা নিয়ে মাটি কাটার সাইটে আসার পথে লামাগাঁও বাজারের দক্ষিণ পশ্চিমের রাস্তায় তাকে আটকিয়ে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে জোরপূর্বক তার কাছে থাকা ১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় দৃর্বৃত্তরা। পরে তার চিৎকার শুনে আশপাশে থাকা লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে কমলাকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পরে তার অবস্থা অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য নেত্রকোনা জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে।
আহত লিমন মিয়া জানান, মাটি কাটার যন্ত্র এসক্লেভেটরের ভাড়া দেয়ার জন্য টাকা নিয়ে আসার পথে লামাগাঁও গ্রামের আবদুল মওলার ছেলে মোহাম্মদ উল্লাহ (২০), একই গ্রামের আ.রেজ্জাকের ছেলে রাজন মিয়া (২০) ও পাশ্ববর্তী রামসিংহপুর গ্রামের মাহাবুল মিয়ার ছেলে রনি মিয়া(২০) সহ আরো কয়েকজন তাকে রড দিয়ে পিটিয়ে তার কাছে থাকা ১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে। তাহিরপুর থানার ওসি মো. আব্দুল লতিফ তরফদার জানান, এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি পুলিশ তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নিবে।