সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি :
সুনামগঞ্জ জেলার ১২ উপজেলায় এক যোগে গেল ১৫ ডিসেম্বর থেকে ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হলেও এখনো কিছু উপজেলায় পিআইসি কমিটি গঠনে চলছে উৎকোচের বাণিজ্য। ১৫ ডিসেম্বর ফসল রক্ষা বাধঁগুলো কাজ শুরু করে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি মসের ২৮ তারিখের মধ্যে সকল কাজ শেষ করার বাধ্য বাধ্যকতা থাকলে কাজ শুরু এবং শেষ নিয়ে কৃষকদের মধ্যে চরম আশংঙ্কা রয়েছে। নির্ধারিত সময়সীমার ২৫ দিন অতিবাহিত হয়ে গেলেও এখনো কিছু উপজেলায় পিআইসি গঠনের ঘুষ বাণিজ্য,কমিটির নাম এখনো প্রকাশ করে ওর্য়াক অর্ডার না দেয়া কাজ শুরু না হওয়া। গেল বছরের অনেক কমিটিকে কাজ পাইয়ে দেয়ার একটি ক্ষোভ রয়েছে সাধারণ কৃষকদের মাঝে। ফলে সময় মতো কাজ শুরু না করায় সময়মতো কাজ শেষ হবে কিনা এবং পাহাড়ি ঢল ও আগাম বন্যায় কৃষকদের কষ্টার্জিত সোনালী ফসল বানের পনিতে তলিয়ে যাবার আশঙ্কা থেকেই যায়। বিশেষ করে জেলার দিরাই, শাল্লা, শান্তিগঞ্জে, জগন্নাথপুরে, দোয়ারাবাজার ও ধর্মপাশায় ফসলরক্ষা বাঁধের কাজ নিয়ে রয়েছে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ।
এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী ও জেলা কাবিটা কমিটির সদস্য সচিব মামুন হাওলাদার জানিয়েছেন, হাওর থেকে পানি না নামায় কাজ শুরু করতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছে। ১৫ ডিসেম্বর জেলার প্রতি উপজেলায় বাঁধের কাজ উদ্বোধন হয়েছে,পানি সরলে পুরোদমে কাজ শুরু হবে। তিনি জানান মোট ৬৭৫ টি বাঁধের মধ্যে আনুমানিক তিনশো বাঁধের কাজ শুরু হয়েছে। বাকী গুলোও দ্রুত সময়ের মধ্যে শুরু করা হবে। দুয়েকটি উপজেলার সমস্যার কথাও জানান তিনি।
জেলা কাবিটা কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক ডঃ মোহাম্মদ ইলিয়াছ মিয়া জানান সব জায়গাতেই কাজ শুরু করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত পঞ্চাশ ভাগ কাজ হয়েছে এবং বাকী গুলো পানি নামলেই শুরু করা হবে বলে তিনি জানান।
প্রসঙ্গত: সুনামগঞ্জ জেলার ১২ উপজেলার মোট ৬৭৫টি পিআইসির বিপরীতে ৫৮৮ কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণ কাজের জন্য এবার ব্যয় ধরা হয়েছে ১২৫ কোটি ১৯ লক্ষ ৪২ হাজার টাকা। এর মধ্যে ক্লোজার বা বড় ভাঙ্গন রয়েছে ১০৫ টি।