Home » পর্যটন » পর্যটকদের ভীড়ে শিমুলের গাঁয়ে যেল লাল আগুন লেগেছে

পর্যটকদের ভীড়ে শিমুলের গাঁয়ে যেল লাল আগুন লেগেছে

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
একদিকে মেঘালয় পাহাড়, অন্যদিকে রুপের নদী যাদুকাটা। তার পাশেই লাল রঙে সেজেছে শিমুল বাগান। শিমুলের গাঁয়ে যেল লাল আগুন লেগেছে। সেই উত্তাপহীন আগুনে অবগান করে মন রাঙাচ্ছেন দেশি-বিদেশি পর্যটকরা। লাল শিমুলের মুগ্ধতায় তারা হারায় মন। হারায় জোড়া জোড়া চোখ।

এ বাগানটি দেখতে প্রতিদিন শত শত পর্যটক ফুল ,নদী ও পাহাড়ের সৌন্দর্য উপভোগ করতে করতে গান তুলেন, “ বসন্ত বাতাসে সইগো বসন্ত বাতাসে…..।

শিমুল বাগানটি সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলাার উত্তর বড়দল ইউনিয়নের মানিগাও গ্রামে অবস্থিত। এখানকার জয়নাল আবেদীন নামে এক প্রকৃতিপ্রেমি ২০০২ সালে ১০০ বিঘার জমির উপর গড়ে তুলেছিলেন শিমুল বাগান। তিনি একদশক আগে সড়ক দূর্ঘটনায় মারা যান। তিনি বাগানের আগুনের রুপ দেখে যেতে পারেননি। তার এ সফলতার গল্প রাষ্ট্র করেছে করেছে হাজারো পর্যটকদের মাধ্যমে। দেশ বিদেশে ছড়িয়েছে শিমুল বাগানের সুনাম।

দেশের সর্ববৃহৎ শিমুল বাগানটির উত্তর-পূর্ব দিকে বসে মেঘালয় পাহাড় ও রুপের নদী জাদু কাটার সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়। এ সপ্তাহ পর্যন্ত আবহ থাকবে বাগানে। পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে এখানে রয়েছে ঘোড়ায় চড়ায় ব্যবস্থা। কেউ কেউ শিমুলের ফুলের মালা বানিয়ে বিক্রি করেন। আশে পাশে পসরা সাজিয়ে বসেছেন পর্যটকরাও।

শিমুল বাঁগানে ঘুরতে আসা সিলেট বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্বাবিদ্যালযের শিক্ষার্থী হাবিবা জানায়, শিমুলের লাল লাল ফুল আমাকে মুগ্ধ করেছে। জীবনের সব অবসাদ এখানে এলে দূর হয়ে যায়। আমার সবটুকু ভালবাসা যেন শিমুলের ডালে ডালে হারিয়ে যায়।

ঢাকা থেকে ঘুরতে এসেছেন তকির নামে এক প্রকৃতিপ্রেমি। তিনি বললেন, শিমুলবাগানের লাল লাল ফুলের দিকে চোখ রাখলে ভালবাসার সব সুখ খুঁজে পাই। কবিতা হয়ে উঠে। বাগানের মাঠে বসে বিকেলের আকাশ দেখি। এরকম ভালোলাগার দৃশ্য কোথাও খঁজে পাইনি।
নেত্রোকানার বাসিন্দা সুমন বলেন, বাগান দেখতে চমৎকার লাগে। প্রতিবছর দলবেঁধে আমরা এখানে সৌন্দর্য উপভোগ করতে আসি। কিন্তু এখানকার যোগাযোগ ব্যবস্থা ভাল নয়। যাতায়াত ব্যবস্থা উন্নত হলে পর্যটকের সংখ্যা আরো বাড়তো ।

বাগানের মালিক প্রয়াত জয়নাল আবেদীনের ছেলে রাকাব উদ্দীন বলেন, বাগানে প্রতিদিন পর্যটকরা ঘুরতে আসেন। পর্যটকদের বসার জন্য বেঞ্চ,ক্যান্টিন রয়েছে। এছাড়া রয়েছে স্যানিটেশন ব্যবস্থা। আগামি পর্যটকদের জন্য একটি রিসোর্ট গড়ে তুলার পরিকল্পনা রয়েছে।

0 Shares