ঢাকাঃ
কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতাদের পেশা অত্যন্ত মহৎ, সৃজনশীল ও মেধা বিকাশের পেশা। মানবসভ্যতার বিকাশ ও উন্নয়নে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশে পুস্তক শিল্পের আকার অনেক বড় হয়েছে; প্রিন্টিং শিল্পও আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত হয়েছে। কিন্ত তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগে এ শিল্পের সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে প্রকাশনা শিল্পকে কীভাবে টিকিয়ে রাখা যাবে, সে উপায় প্রকাশকদের খুঁজে বের করতে হবে।
কৃষিমন্ত্রী আজ রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সাধারণ বার্ষিক সভা ২০১৯-২০২০ এ প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
আরও পড়ুনঃ শাহজাদপুরে জায়গাসহ ঘর পেল ১৫০ পরিবার
পঞ্চগড়ে গৃহহীন পরিবারদের ঘর ও দলিল হস্তান্তর
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এখন বিদেশি সাহায্যনির্ভর দেশ নয়। আগে বাজেটের ১৫-২০ শতাংশ আসত বিদেশি সাহায্য থেকে, তা কমে এখন ২ ভাগের নিচে নেমে এসেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ ও দূরদর্শী নেতৃত্বেই বাংলাদেশে অর্থনীতি, ভৌত অবকাঠামো, কৃষি, স্বাস্থ্য, শিক্ষাসহ সকল ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে উদ্বোধক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। তিনি বলেন, সন্তানের শিক্ষায় বিনিয়োগই শ্রেষ্ঠ বিনিয়োগ। এজন্য পাঠ্য বইয়ের পাশাপাশি পাঠ্যক্রম বহির্ভূত সৃজনশীল বই পাঠে শিশুদেরকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। তিনি এ সময় পুস্তক প্রকাশকদের প্রতি মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বই অধিক পরিমাণে প্রকাশের আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সভাপতি মোঃ আরিফ হোসেন ছোটনের সভাপতিত্বে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী, সমিতির প্রথম সহসভাপতি কায়সার ই আলম প্রধান, সহসভাপতি শ্যামল পাল, মির্জা আলী আশরাফ কাশেম, রাজধানী শাখার সভাপতি মাজহারুল ইসলাম, সাবেক সভাপতি আলমগীর সিকদার লোটন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। এ সময় সমিতির নেতৃবৃন্দসহ সারাদেশ থেকে আগত সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।