মোহাম্মদ আককাস আলী, নওগাঁ :
বরেন্দ্র অঞ্চল হিসাবে খ্যাত নওগাঁর সমতলে এখন আমন ধান রোপণের ভরা মৌসুম। এই ভরা মৌসুমে নারী পুরুষ একই কাজ করলেও বেতনের বিশাল বৈষম্য। সমতলের অবহেলিত আদিবাসী সাওতাল সম্প্রদায়ের মেয়েরা আদি থেকেই কৃষি কাজ করে আসছেন। হররোজ হাটুঅব্দি শাড়ি পড়ে দলবেঁধে
পুরুষ শ্রমিকদের সাথে ধান রোপণ করা,জমির আলকাটা, ধান কাটা, আঁটি বাঁধা, মাথায় করে বোঝা বওয়া, মাড়াই করা সব কাজই করেন তারা। একজন পুরুষের সমান তো বটেই, অনেক ক্ষেত্রে পুরুষের চেয়ে তাড়াতাড়ি বেশি কাজ করেন তারা। কিন্তু আদি থেকেই মজুরি বৈষম্যের শিকার হয়েছেন কৃষিতে অবদান রাখা এই নারী শ্রমিকরা। চোখের সামনেই একই সমান কাজ করেও বেশি টাকা নিয়ে যাচ্ছেন পুরুষরা। এটা দেখেও কোন প্রতিবাদ করতে পারেননা তারা। ইদানিং অনেক এনজিও কাজ করছেন আদিবাসীদের উন্নয়নে। কিন্তু তাদের এ বৈষম্যের অবসানে এগিয়ে আসেনি কেউ।
তথ্য অনুসন্ধানে ধনজইল গ্রামে দেখা যায়,একদল নারী শ্রমিক আমন রোপনে ব্যস্ত সময় পার করছেন। সাথে পুরুষ শ্রমিকও রয়েছেন। তাদের সাথে আলাপচারিতায় বেতন বৈষম্যের কষ্টের কথা উঠে আসে। নারী শ্রমিক গীতা,রিতা,রজনী জানান, সারাদিনের কাজের জন্য প্রত্যেকে মজুরি পান রোজ তিনশ’ টাকা। নারীদের সাথে একই কাজ করেন পুরুষ শ্রমিক তাদের বেতন সাড়ে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা। কেন এই বেতনের বৈষম্য? এমনি অভিযোগ সমালোচকদের। একজন পুরুষ শ্রমিক রেজাউল জানান, আমাদের সাথে তাল মিলিয়ে আদিবাসী নারীরা কাজ করলেও তাদের এই বেতনের বৈষম্য কেন?
জমির মালিক পাঞ্জু সরদারের সাথে আলাপচারিতায় উঠে আসে নারী শ্রমিকদের বেতনের বৈষম্যের কথা। নারী শ্রমিকের মজুরি কম কেন তিনি এর সঠিক উত্তর দিতে পারেননি।
Newturn24.com Latest News Portal