Home » মতামত » বর্ধিত সুবিধা নিয়ে সার্বজনীন পেনশন স্কিম -মো. খালিদ হাসান

বর্ধিত সুবিধা নিয়ে সার্বজনীন পেনশন স্কিম -মো. খালিদ হাসান

 

সার্বজনীন পেনশন হলো এমন একটি রাষ্ট্রীয় সুরক্ষা ব্যবস্থা যার মাধ্যমে নির্দিষ্ট বয়সসীমা অতিক্রমকারী নাগরিকরা নিয়মিত মাসিক পেনশন সুবিধা পান। এই ব্যবস্থার মূল লক্ষ্য হলো বার্ধক্যে অর্থনৈতিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, যাতে জীবনের শেষ প্রান্তে গিয়ে মানুষকে দারিদ্র্য বা অভাবের মুখোমুখি না হতে হয়। এটি সামাজিক ন্যায়বিচার ও অর্থনৈতিক সুরক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ হিসেবে বিবেচিত হয়। বাংলাদেশে বিশাল জনগোষ্ঠী অনানুষ্ঠানিক খাতে কাজ করে, যারা কর্মজীবনের শেষে কোনো প্রকার পেনশন সুবিধা পায় না। জনসংখ্যার একটি বড় অংশ বয়োবৃদ্ধ হওয়ার পর জীবিকা নির্বাহে পরিবারের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে। পাশাপাশি, আয়ুষ্কাল বৃদ্ধির কারণে বয়স্কদের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। এই প্রেক্ষাপটে রাষ্ট্রের দায়িত্বশীল ভূমিকা হিসেবে সার্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা চালু করার উদ্যোগ নেয়া হয়, যাতে দেশের সব শ্রেণির নাগরিক বার্ধক্যে ন্যূনতম আর্থিক নিরাপত্তা পান এবং দারিদ্র্য হ্রাসে সহায়ক হয়।

পূর্বে পেনশন সুবিধা কেবল সরকারি চাকরিজীবীদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। যাঁরা প্রশাসন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা বাহিনী বা অন্যান্য সরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলেন, তারা চাকরিজীবনের শেষে নির্দিষ্ট নিয়মে পেনশন ও আনুষঙ্গিক ভাতা পেতেন। বেসরকারি খাত, স্বনিয়োজিত ব্যক্তি, দিনমজুর, কৃষক, হকার বা প্রবাসী বাংলাদেশিরা এই সুবিধার বাইরে ছিলেন। ফলে বিশাল একটি কর্মজীবী জনগোষ্ঠী রাষ্ট্রীয় বার্ধক্যভাতা বা অবসরে আর্থিক নিরাপত্তা থেকে বঞ্চিত ছিল। এই ব্যবস্থার আইনগত ভিত্তি হিসেবে সংসদে পাস হয় ‘সার্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা আইন, ২০২৩। এই আইনের মাধ্যমে দেশের সব নাগরিক, বিশেষ করে অনানুষ্ঠানিক খাতে কর্মরত শ্রমজীবী, স্বনিয়োজিত, এবং প্রবাসী বাংলাদেশিদের বার্ধক্যে নিয়মিত মাসিক পেনশনের আওতায় আনার ভিত্তি স্থাপিত হয়।

এই পেনশন ব্যবস্থার বাস্তবায়ন ও তদারকির জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীন গঠিত হয়েছে ‘জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ’। এ কর্তৃপক্ষ সার্বজনীন পেনশন স্কিমের রেজিস্ট্রেশন, তহবিল ব্যবস্থাপনা, চাঁদা গ্রহণ ও বিতরণ, বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত এবং সার্বিক প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। এটি একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর ডিজিটাল ব্যবস্থাপনায় কাজ করে, যাতে অংশগ্রহণকারীদের তথ্য, লেনদেন ও সেবা নিশ্চিতভাবে রক্ষিত থাকে। কর্তৃপক্ষের মূল লক্ষ্য হলো একটি টেকসই, স্বচ্ছ ও অংশগ্রহণমূলক পেনশন ব্যবস্থা গড়ে তোলা।

বাংলাদেশের সার্বজনীন পেনশন ব্যবস্থায় চারটি স্কিম রয়েছে, প্রতিটি আলাদা লক্ষ্যগোষ্ঠীর জন্য তৈরি। ‘প্রবাস’ স্কিমে বিদেশে অবস্থানরত বা কর্মরত যেকোনো বাংলাদেশি নাগরিক তার ইচ্ছানুযায়ী বৈদেশিক মুদ্রায় নির্ধারিত হারে মাসিক চাঁদা পরিশোধ করে এ স্কিমে অংশগ্রহণ করতে পারেন। প্রবাস থেকে দেশে ফিরে আসার পর, অংশগ্রহণকারী নিজ সুবিধা অনুযায়ী দেশীয় মুদ্রায় একই হারে চাঁদা পরিশোধ চালিয়ে যেতে পারেন এবং প্রয়োজনে স্কিম পরিবর্তনের সুযোগও রয়েছে। নির্ধারিত মেয়াদ শেষে পেনশনার হিসেবে তিনি দেশীয় মুদ্রায় নিয়মিত মাসিক পেনশন পাবেন। ‘প্রগতি’ স্কিমে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কোনো কর্মকর্তা বা সেই প্রতিষ্ঠানের মালিক নির্ধারিত হারে চাঁদা দিয়ে এই স্কিমে যুক্ত হতে পারেন। কোনো প্রতিষ্ঠান চাইলে তার কর্মচারীদের জন্য প্রাতিষ্ঠানিকভাবে অংশগ্রহণ করতে পারে, যেখানে চাঁদার ৫০% কর্মী এবং বাকি ৫০% প্রতিষ্ঠান বহন করবে। তবে যদি কোনো প্রতিষ্ঠান প্রাতিষ্ঠানিকভাবে স্কিমে অংশ না নেয়, তবুও সংশ্লিষ্ট কর্মচারী ব্যক্তিগতভাবে এ স্কিমে যুক্ত হওয়ার অধিকার রাখেন।

‘সুরক্ষা’ স্কিম মূলত অনানুষ্ঠানিক খাতে নিয়োজিত ব্যক্তিদের জন্য প্রণীত। যেমন কৃষক, রিকশাচালক, শ্রমিক, কামার, কুমার, জেলে, তাঁতিসহ স্ব-কর্মনিয়োজিত বা দৈনন্দিন শ্রমের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহকারীরা নির্ধারিত হারে চাঁদা প্রদান করে এই স্কিমে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। এতে তাদের বার্ধক্যে নিয়মিত পেনশন সুবিধা নিশ্চিত হবে। সমতা স্কিম-টি নির্ধারিত আয়ের নিচে বসবাসরত দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য চালু করা হয়েছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো কর্তৃক সময়োপযোগীভাবে নির্ধারিত আয়সীমা অনুযায়ী যাঁদের বার্ষিক আয় সর্বোচ্চ ৬০ হাজার টাকার মধ্যে, তাঁরা তফসিলে নির্ধারিত হারে চাঁদা প্রদান করে এ স্কিমে যুক্ত হতে পারবেন। এই স্কিমে সরকারের পক্ষ থেকে চাঁদার সমপরিমাণ অর্থ ভর্তুকি হিসেবে প্রদান করা হয়, যা অংশগ্রহণকারীর ভবিষ্যৎ সঞ্চয়কে দ্বিগুণ করে তোলে। ২৯ জুন ২০২৫ পর্যন্ত বিদ্যমান সর্বজনীন পেনশন স্কিমের ৪ (চার) টি স্কিমে ৩ লাখ ৭৩ হাজার ৩১২ জন নাগরিক যোগদান করেছেন।
নিবন্ধনের জন্য জাতীয় পরিচয়পত্র, একটি সচল মোবাইল নম্বর, এবং ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বা মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস অ্যাকাউন্ট থাকা বাধ্যতামূলক। কেননা মাসিক চাঁদা কেটে নেয়া হয় অটো ডেবিট বা পেমেন্ট গেটওয়ে এর মাধ্যমে। অংশগ্রহণকারীরা বিকাশ, নগদ, রকেট, ব্যাংক কার্ড, অথবা অন্য পেমেন্ট গেটওয়ের মাধ্যমে তাদের চাঁদা পরিশোধ করতে পারেন। এতে সঞ্চয় প্রক্রিয়া স্বয়ংক্রিয় হয় এবং সময়মতো চাঁদা পরিশোধ নিশ্চিত করা সম্ভব হয়, যা পেনশন তহবিল ব্যবস্থাপনায় নিয়মিততা বজায় রাখতে সহায়ক।

সার্বজনীন পেনশন ব্যবস্থার সফল বাস্তবায়ন দেশের অর্থনীতিতে বহুমাত্রিক প্রভাব ফেলবে। একদিকে এটি সঞ্চয় প্রবণতা বৃদ্ধি করবে, অন্যদিকে পুঁজিবাজার ও আর্থিক খাতে দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগের সুযোগ তৈরি করবে। বার্ধক্যে আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত হওয়ায় ব্যক্তিগত অনিশ্চয়তা কমবে এবং সমাজে অর্থনৈতিক ভারসাম্য তৈরি হবে। সরকার দীর্ঘমেয়াদে এই ব্যবস্থাকে একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ ও টেকসই সামাজিক সুরক্ষা কাঠামো হিসেবে গড়ে তুলতে চায়, যার মাধ্যমে দারিদ্র্য হ্রাস, অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তি এবং বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ বিনির্মাণে অগ্রগতি ত্বরান্বিত হবে। সার্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য বার্ধক্যে একটি নির্ভরযোগ্য আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। কর্মজীবন শেষে যখন আয়ক্ষমতা কমে যায়, তখন এই পেনশন মানুষের জীবিকা চালানোর ক্ষেত্রে একটি বড় সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করবে। পাশাপাশি, এটি সামাজিক সুরক্ষা নেটওয়ার্ককে আরও বিস্তৃত ও কার্যকর করে তুলবে। এতদিন এ ধরনের সুরক্ষা শুধু সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য সীমাবদ্ধ থাকলেও এখন সাধারণ শ্রমজীবী, কৃষক, হকার, দিনমজুর থেকে শুরু করে প্রবাসী পর্যন্ত সবাই এই কাঠামোর আওতায় আসতে পারছে, যা রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালনের এক যুগান্তকারী ধাপ।

বাংলাদেশের মোট শ্রমশক্তির একটি বিশাল অংশ অনানুষ্ঠানিক খাতে কর্মরত, যাঁরা এতদিন রাষ্ট্রীয় কোনো অবসর সুবিধার আওতায় ছিলেন না। সার্বজনীন পেনশন ব্যবস্থার মাধ্যমে এই জনগোষ্ঠীকে আনুষ্ঠানিক আর্থিক ব্যবস্থায় অন্তর্ভুক্ত করা সম্ভব হচ্ছে। এটি যেমন আর্থিক অন্তর্ভুক্তিকে ত্বরান্বিত করবে, তেমনি অর্থনীতিতে দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতা ও বৈষম্য হ্রাসেও ভূমিকা রাখবে। উপরন্তু, এই তহবিলভিত্তিক পেনশন ব্যবস্থা বিনিয়োগযোগ্য মূলধন জোগান দিয়ে অর্থনীতির উৎপাদনশীল খাতে শক্তি সঞ্চার করতে পারবে। প্রবাসী বাংলাদেশিদের আয়কে এখন একটি দীর্ঘমেয়াদি ও পরিকল্পিত সঞ্চয়ে রূপান্তর করা যাচ্ছে। এতে করে প্রবাসীদের দেশে ফেরার পর আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে, পাশাপাশি তাদের পাঠানো রেমিটেন্স অর্থনীতিতে আরও স্থায়ী প্রভাব ফেলবে। পূর্বে প্রবাসীদের আয় মূলত ভোগমুখী খাতে ব্যয় হলেও এখন তা পেনশন তহবিলের মাধ্যমে সঞ্চয় ও বিনিয়োগমুখী ব্যবস্থায় পরিণত হচ্ছে। ফলে প্রবাসী আয়ের গুণগত ব্যবহার বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং বৈদেশিক মুদ্রার স্থিতিশীল ব্যবস্থাপনায় সহায়ক ভূমিকা পালন করছে।

সবার জন্য সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার সর্বজনীন পেনশন স্কিমে একাধিক সংস্কারমূলক উদ্যোগ নিয়েছে। সম্প্রতি স্কিমে ‘স্বেচ্ছায় আগাম অবসর পেনশন’ ও ‘অক্ষমতাজনিত পেনশন’ নামে দুটি নতুন সুবিধা যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এতে পেনশনভোগীরা শারীরিক অক্ষমতা কিংবা আগাম অবসরের ক্ষেত্রেও আর্থিক সহায়তা পেতে সক্ষম হবেন। পেনশনযোগ্য বয়সে উপনীত হওয়ার পর চাঁদাদাতারা তাঁদের জমাকৃত অর্থের সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ এককালীন উত্তোলন করতে পারবেন। এ সুবিধাটি ‘আনুতোষিক’ হিসেবে বিবেচিত হবে। এছাড়া অন্তত ১০ বছর চাঁদা দেওয়ার পর সদস্যরা অফেরতযোগ্যভাবে ২০ শতাংশ অর্থ অগ্রিম তুলতে পারবেন, যা আর্থিক চাপ সামাল দিতে সহায়ক হবে। পেনশন স্কিমের আওতায় স্বাস্থ্য বীমা সুবিধা চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে, যাতে অসুস্থতা বা দুর্ঘটনার সময় সদস্যরা চিকিৎসা ব্যয়ে আর্থিক সহায়তা পেতে পারেন। একই সঙ্গে পহেলা বৈশাখ, ঈদ ও পূজার মতো জাতীয় ও ধর্মীয় উৎসব উপলক্ষ্যে বোনাস বা বিশেষ ভাতা প্রদানের পরিকল্পনাও গ্রহণ করা হয়েছে।

পোশাক শিল্পের শ্রমিকদের জন্য বিশেষ সুবিধা হিসেবে ৪০ বছর বয়সেই পেনশন গ্রহণের সুযোগ দেওয়ার প্রস্তাব বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। এর ফলে এই খাতের কর্মীদের আগাম আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে, যা বৃহৎ শ্রমজীবী জনগোষ্ঠীর কাছে স্কিমটিকে আরও গ্রহণযোগ্য করে তুলবে। স্কিম বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে কার্যকারিতা বাড়াতে মাঠপর্যায়ে ডিজিটাল মার্কেটিং ও আউটসোর্সিং পদ্ধতিতে নিযুক্ত জনবলকেও এর আওতায় নিয়ে আসা হচ্ছে। এতে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অংশগ্রহণ বাড়বে এবং স্কিমের ব্যাপক প্রচার নিশ্চিত হবে। চাঁদা প্রদানের সহজতর ব্যবস্থা হিসেবে সরকার এখন পর্যন্ত ২৪টি ব্যাংকের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করেছে। ভবিষ্যতে সব দেশীয় ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তি করার পরিকল্পনা রয়েছে, যাতে চাঁদা প্রদানে গ্রাহকদের আরও বেশি বিকল্প ও সুবিধা নিশ্চিত করা যায়।

ভবিষ্যৎ আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ১৮ বছরের অধিক বয়স্ক জনগোষ্ঠীকে যুক্ত করার পাশাপাশি পেনশন স্কিম সংক্রান্ত তথ্য আদান-প্রদান, সচেতনতা বৃদ্ধি এবং পেনশন স্কিমে গ্রাহকদের রেজিস্ট্রেশনে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারগুলোকে রেজিস্ট্রেশন কাজে উৎসাহিত করতে প্রতিটি রেজিস্ট্রেশনের জন্য সরকারি বাজেট বরাদ্দ থেকে ফি প্রদানের জন্য অর্থ বিভাগ হতে পরিপত্র জারি করা হয়েছে। এছাড়া, বিভাগ, জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ে পেনশন মেলা ও কর্মশালা আয়োজনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ।

সর্বোপরি, পেনশন স্কিমকে বীমার কাঠামোয় অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যাতে দুর্ঘটনাজনিত কর্মক্ষমতা হারালে সদস্যরা বীমার মাধ্যমে প্রিমিয়াম সুবিধা পান। এর ফলে পেনশন সুরক্ষার পাশাপাশি স্বাস্থ্যগত নিরাপত্তাও নিশ্চিত হবে। এই বহুমাত্রিক সংস্কার ও সুবিধা সংযোজনের মাধ্যমে সর্বজনীন পেনশন স্কিম একটি আকর্ষণীয় ও অংশগ্রহণমূলক সামাজিক নিরাপত্তা কাঠামো হিসেবে গড়ে উঠছে, যা দেশের নাগরিকদের বার্ধক্যে আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সহায়ক হবে।

-লেখক: সহকারী তথ্য অফিসার, তথ্য অধিদফতর
পিআইডি ফিচার

0 Shares