বাংলাদেশ দূতাবাস উজবেকিস্তান যথাযথ মর্যাদার সাথে (২৬মার্চ ২০২৫)মহানস্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস২০২৫উদযাপন করে।প্রবাসী বাংলাদেশী ও দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দের উপস্থিতিতে রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম কর্তৃক দূতাবাস প্রাঙ্গণে জাতীয় সঙ্গীতের ধ্বনিতে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিবসের কার্যক্রম শুরু হয়।দিবসটি উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় রাষ্ট্রপতি, প্রধান উপদেষ্টা ও পররাষ্ট্র উপদেষ্টা কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়। রাষ্ট্রদূত ড. ইসলাম তার সভাপতির বক্তব্যে দিবসটির ঐতিহাসিক গুরুত্ব ও তাৎপর্যের উপর আলোকপাত করেন। ৭১’ এর মহান মুক্তিযুদ্ধে ও জুলাই-আগস্টে আত্মত্যাগকারী শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে এবং দেশ ও জনগণের অব্যাহত সুখ,শান্তি ও উন্নতি প্রার্থনা করে এক বিশেষ মোনাজাতের মধ্য দিয়ে প্রথম পর্বের সমাপ্তি ঘটে।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে একই দিনে অপরাহ্ণে দূতাবাসে উজবেকিস্তানের ব্যবসায়িক,শিক্ষা,সংস্কৃতি ও মিডিয়া অঙ্গনের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের অংশ গ্রহণে একটি আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।আলোচনার শুরুতে রাষ্ট্রদূত ড.ইসলাম তার স্বাগত বক্তব্যে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন বীর মুক্তিযোদ্ধাদের যাদের অসীম সাহস ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে বিশ্ব মানচিত্রে স্বাধীন সার্বভৌম দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অভ্যুদ্বয় ঘটেছিল।তিনি ভ্রাতৃপ্রতিম দেশ ও জনগণ,বিশেষ করে উজবেকিস্তানের জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন যারা ইতিহাসের কঠিন সময় বাংলাদেশের প্রতিতাদের সহযোগিতা ও সমর্থন ব্যক্ত করেছেন। রাষ্ট্রদূত ড.ইসলাম প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড.মোহাম্মদ ইউনূস এর নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের প্রেক্ষাপট ও পটভূমি বর্ণনা করে বৈষম্যহীন,শোষণমুক্ত,সুখী,সমৃদ্ধশালী,আধুনিক বাংলাদেশ বিনির্মাণে সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ ও প্রতিশ্রুতির কথা পুন:ব্যক্ত করেন।বাংলাদেশ ও উজবেকিস্তানের মধ্যকার ঐতিহাসিক,সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয়বন্ধন এর উপর আলোকপাত করে রাষ্ট্রদূত বিভিন্ন ক্ষেত্রে,বিশেষ করে ব্যবসায়িক এবং শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক পরিসরে এ সম্পর্কের ব্যপ্তি ও অগ্রযাত্রা তুলে ধরেন।এ সম্পর্ককে আরো অর্থবহ ও ফলপ্রসূ করতে তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
আলোচনা শেষে বিশ্বশান্তি,স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা প্রার্থনা করে বিশেষ মোনাজাত ও ইফতার আয়োজনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।
-প্রেস রিলিজ