Home » সারাদেশ » বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে ১শ টন আতপ চাল আমদানি

বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে ১শ টন আতপ চাল আমদানি

 

তেঁতুলিয়া (পঞ্চগড়) প্রতিনিধিঃ বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে আমদানি হলো ১শ টন আতপ চাল। বুধবার বিকেলে ভারত থেকে আল আমিন এন্টারপ্রাইজের পহর ইন্টারন্যাশনালের মাধ্যমে এই চাল আমদানি করা হয়। চাল আমদানির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাবান্ধা ল্যান্ডপোর্ট লিমিটেডের ব্যবস্থাপক আবুল কালাম আজাদ।
স্থলবন্দরে ভারত থেকে ৪টি পণ্যবাহী ট্রাকে ১শ টন আতপ চাল এসেছে। চালগুলো আমদানি করেছে আল আমিন এন্টারপ্রাইজের মাধ্যমে পহর ইন্টারন্যাশনাল নামের একটি প্রতিষ্ঠান।

বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে প্রায় ৯৮ শতাংশ পাথর আমদানি হয়ে থাকে। এ ছাড়াও মসুর ডাল, গম, ভুট্টা, চিরতা, হাজমলা, যন্ত্রপাতি, প্লাস্টিকদানা, খৈল, আদা ও চিটাগুড় আমদানি করা হয়। ভারত ও নেপালে পাট, ওষুধ, প্রাণ ও ওয়ালটন সামগ্রী, জুস, ব্যাটারিসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য রপ্তানি হচ্ছে।

বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানান, এ স্থলবন্দরটির গুরুত্ব অপরিসীম। বেশ কয়েক বার চাল আমদানি হয়েছিল। মাঝখানে কয়েক বছর বন্ধ থাকার পর আবার চাল আমদানি হয়েছে। এভাবে যদি চালের পাশাপাশি বন্দর সংশ্লিষ্ট দেশগুলো থেকে ভোগ্যপণ্য হিসেবে ফলমূল আমদানি করা যায় তাহলে এখানে খাদ্যপণ্যের দাম কমবে।

লোড-আনলোড শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আক্তারুল হক বলেন, আমাদের পাথর আমদানির পাশাপাশি এখন থেকে এ বন্দর দিয়ে চুন, মসুর ডাল, গম, ভুট্টা, চিরতা, হাজমলা, যন্ত্রপাতি, প্লাস্টিকদানা, খৈল, আদা ও চিটাগুড় আমদানি করা হচ্ছে। যদি খাদ্য সামগ্রী আমদানি করা যায় তাহলে আমাদের দেশের ভোগ্যপণের দাম কমে যাবে।

সিএন্ডএফ এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে আল আমিন এন্টারপ্রাইজের পহর ইন্টারন্যাশনালের মাধ্যমে ১০০ টন চাল আমদানি করেছে। বিশেষ করে দূরত্বের কারণে এ স্থলবন্দর বন্দর দিয়ে ব্যবসা করাটা ব্যয়বহুল হওয়ায় অনেক কম আমদানি করা হয়ে থাকে। মার্কেটিংয়ে সমস্যা হয়। তবে আমরা চেষ্টা করছি, ভারতের এক্সপোর্টারদের সাথে কথা বলেছি যাতে তারা পণ্যের দাম কম রাখা হয়। যাতে আমরা সবকিছু মিলিয়ে আমদানিতে প্রফিট করতে পারে আমদানিকারকরা। বিষয়টি নিয়ে আমি স্থলবন্দরের শ্রমিকদের সাথে কথা বলেছি, যেসব কমার্শিয়াল পণ্য রয়েছে চাল, গম. ভুট্টা, পেয়াজসহ আমদানিকৃত পণ্যগুলো যাতে নিরাপত্তার সাথে কাজ করে।

আমদানি-রপ্তানকারক গ্রুপের আহবায়ক রেজাউল করিম শাহিন বলেন, ভৌগলিক অবস্থানগত দিক থেকে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরটি দেশের অন্যান্য স্থলবন্দরের তুলনায় গুরুত্বপূর্ণ। ১শ টন চাল আমদানি হয়েছে, এ পোর্ট দিয়ে যাতে আরও কিছু আমদানি করা যায় সে বিষয়গুলো নিয়ে আমাদের ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলছি ও উদ্বুদ্ধ করছি।

উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা উজ্জল হোসেন বলেন, মঙ্গলবার বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় আতপ চাল আমদানি করা হয়েছে। চালগুলো পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়েছে। এভাবে নিয়মিত চালসহ অন্যান্য খাদ্য সামগ্রী পণ্য আমদানি করা হয় তাহলে আমাদের দেশে ভোগ্যপণ্য জিনিসপত্রের দাম কমবে মনে করা হচ্ছে।

বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর ব্যবস্থাপক আবুল কালাম আজাদ জানান, সচরাচর আমাদের এ বন্দরটিতে চাল আমদানি করা হয় না। সরকার অনুমতি দিলেই চাল আমদানি করা হয়। দুই বছর আগে চাল আমদানি হয়েছিল। বিশেষ করে এ বন্দর দিয়ে বেশির ভাগ পাথরই আমদানি হয়ে থাকে।

0 Shares