সোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ), নিউটার্ন প্রতিবেদক : বাজারে আসতে শুরু করেছে সোনারগাঁয়ের লিচু। মৌসুমের শুরুতেই সোনারগাঁয়ের লিচু বাজারে প্রথমে আসার কারনে ক্রেতার কাছে এই লিচুর চাহিদা থাকে সবচেয়ে বেশি। এ সপ্তাহর শুরুতেই প্রথম বাজারে বিক্রির জন্য আসতে শুরু হয়েছে সোনারগাঁয়ের লিচু। লিচুর আমদানি বাজার গুলোতে ব্যাপক আকারে আসতে শুরু না হলেও অল্প পরিসরে বিভিন্ন ফলের দোকান গুলোতে শোভা পাচ্ছে আধা-পাকা লিচু। আর মাত্র দুই-এক দিনের মধ্যেই লিচু ফলে ছেয়ে যাবে মৌসুমি ফলের বাজার। অতি মাত্রায় খরা থাকায় এবং প্রয়োজনীয় সময়ে বৃষ্টিপাত না হওয়ার কারণে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর লিচুর উৎপাদন তেমন একটা ভালো না হওয়ায় লিচু ব্যবসায়ীদের লোকসান গুনতে হতে পারে বলে ব্যাবসায়ীরা ধারনা করছেন। মৌসুমের শুরুতেই সোনারগাঁয়ের খুচরা ফলের বাজারে এক’শ লিচু সাড়ে তিন’শ থেকে চার’শ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।
সরকারি পর্যায়ে সোনারগাঁয়ের লিচুর উন্নয়ন, বিপনন ও বাজারজাত করনে কোন প্রকল্প না থাকায় লিচু বাগান মালিকেরা চাড়া রোপন থেকে শুরু করে বিক্রি পর্যন্ত এসব কাজ নিজ উদ্যোগে বাগান মালিকদেরই করতে হয় বলে একাধিক বাগান মালিক জানায়।
সোনারগাঁয়ের লিচু ব্যাবসায়ি মোঃ আবুল হোসেন জানান, এবার ব্যাবসায় তেমন সুবিধা হবে না। ঔষধ, সেচ ও বিভিন্ন খরচ সহ বাগানের পিছনে অনেক বেয় হয়ে গেছে। তার উপর বৃষ্টি না হওয়ায় খরার কারনে লিচুর আকার বড় হয়নি।
সোনারগাঁ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবু সাঈদ তারেক জানান, এবছর তীব্র তাপমাত্রার কারণে সোনারগাঁয়ের লিচু আশানুরূপ ফলন হয়নি। ফুল থেকে ফল পর্যন্ত কয়েকবার বৃষ্টি হলে ফলন মোটামুটি ভালো হয়ে থাকে।সোনারগাঁয়ে কদমি, পাতি ও চায়না-৩ এই তিন জাতের লিচুর চাষ হয়ে থাকে। সোনারগাঁয়ের ৮৫টি গ্রামে ছোট বড় মিলিয়ে ১০৭ হেক্টর জমিতে লিচু চাষ হয়ে থাকে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এসব বাগান থেকে ৮’শ ৫৬ মেট্রিকটন লিচু হয়ে থাকে। তবে এবছর আবহাওয়া লিচুর অনুকুলে না থাকায় আমাদের হিসেবে ৭’শ ২০ মেট্রিকটন ফলন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যা টাকার হিসেবে এবার ৫ কোটি টাকার লিচু বেচাকেনা হবে।
নিউটার্ন/এআর