Home » মতামত » বিশ্বমুক্ত গণমাধ্যম দিবস – ২০২৫ গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও দায়বদ্ধতা -মো. খালিদ হাসান

বিশ্বমুক্ত গণমাধ্যম দিবস – ২০২৫ গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও দায়বদ্ধতা -মো. খালিদ হাসান

 

প্রতিবছর ৩ মে বিশ্বব্যাপী পালিত হয় বিশ্বমুক্ত গণমাধ্যম দিবস। এটি সাংবাদিকদের স্বাধীনভাবে কাজ করার অধিকার, মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও তথ্যের অবাধ প্রবাহের গুরুত্ব স্মরণ করিয়ে দেয়। বাংলাদেশের সংবিধানে মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। দেশেগণমাধ্যমেরব্যাপকসম্প্রসারণঘটেছেগতদুইদশকে। চলচ্চিত্র ও প্রকাশনাঅধিদপ্তরের সর্বশেষতথ্যানুযায়ী, দেশেবর্তমানেঅনুমোদিতদৈনিকপত্রিকারসংখ্যা ১ হাজার ৩৬৯টি, যারমধ্যেঢাকাথেকেপ্রকাশিতপত্রিকারসংখ্যা ৫৬১টি। এছাড়াসাপ্তাহিক, পাক্ষিক, মাসিকইত্যাদিমিলিয়েসর্বমোটনিবন্ধিতপত্রিকাসংখ্যা ৩ হাজার ৩১০টি। টেলিভিশনখাতেঅনুমোদিতবেসরকারিটেলিভিশনচ্যানেলেরসংখ্যা ৪৫টি এরমধ্যে ৩০টির বেশিসম্প্রচারেরয়েছে। পাশাপাশিরয়েছেবাংলাদেশটেলিভিশন (বিটিভি), বিটিভিনিউজএবংসংসদটেলিভিশন। তবেডিজিটালপ্ল্যাটফর্মেরউত্থানেঅনলাইননিউজপোর্টালেরবিস্তারঘটেছে। সামাজিকযোগাযোগমাধ্যম-নির্ভরসাংবাদিকতাএবংইউটিউবচ্যানেলভিত্তিকসংবাদউপস্থাপনাওসাম্প্রতিকসময়েজনপ্রিয়তাঅর্জনকরছে।
২০২৫ সালেরবিশ্বপ্রেসস্বাধীনতাদিবসেরপ্রতিপাদ্য ‘প্রেসফরদ্যপ্ল্যানেট: জার্নালিজমইনদ্যফেইসঅবদ্যএনভায়রনমেন্টালক্রাইসিস’ মূলতপরিবেশরক্ষায়সাংবাদিকতারঅপরিহার্যভূমিকাকেতুলেধরে। বৈশ্বিকউষ্ণতা, জলবায়ুপরিবর্তন, বনউজাড়, পানিদূষণ, শিল্পবর্জ্যসহপরিবেশগতনানাসংকটযখনমানবসভ্যতারঅস্তিত্বকেইহুমকিরমুখেফেলছে, তখনসাংবাদিকতাকেকেবলতথ্যপ্রচারেরমাধ্যমহিসেবেনয়—বরংসচেতনতাসৃষ্টিরঅন্যতমশক্তিশালীহাতিয়ারহিসেবেদেখাহচ্ছে। এইপ্রতিপাদ্যআমাদেরস্মরণকরিয়েদেয়, প্রকৃতি ও পরিবেশরক্ষায়সাংবাদিকদেরদায়িত্বশুধুরিপোর্টিংয়েসীমাবদ্ধনয়, বরংএটিএকটিনৈতিকদায়িত্বও।
বাংলাদেশজলবায়ুপরিবর্তনেরসবচেয়েঝুঁকিপূর্ণদেশগুলোরমধ্যেঅন্যতম। বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, নদীভাঙন, লবণাক্ততা, পানিরসংকট ও বায়ুদূষণ—এইসবপরিবেশগতচ্যালেঞ্জদেশেরকোটিমানুষেরজীবিকা ও জীবনধারাকেপ্রভাবিতকরছে। অথচএসবগুরুত্বপূর্ণইস্যুনিয়েগণমাধ্যমেবিশ্লেষণাত্মক ও অনুসন্ধানীপ্রতিবেদনএখনওসীমিত। প্রতিপাদ্যটিএইবাস্তবতায়সাংবাদিকতাকেপরিবেশবিষয়েঅধিকমনোযোগী ও দায়বদ্ধহওয়ারআহ্বানজানায়। বাংলাদেশেঅনেকসময়অবৈধইটভাটা, বনউজাড়, নদীদখল, রাসায়নিকবর্জ্যফেলা, শিল্পদূষণইত্যাদিপরিবেশবিধ্বংসীকর্মকাণ্ডেরপেছনেপ্রভাবশালীচক্রবাদুর্নীতিরসংশ্লিষ্টতাথাকে। এসবঘটনাঅনুসন্ধানেসাহসীসাংবাদিকতারপ্রয়োজনহয়।
বাংলাদেশসরকারগণমাধ্যমেরস্বাধীনতা ও মতপ্রকাশেরঅধিকারেদৃঢ়ভাবেপ্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সংবিধানের ৩৯ অনুচ্ছেদেব্যক্তিরবাক-স্বাধীনতা, চিন্তারস্বাধীনতাএবংসংবাদপত্রেরস্বাধীনতাস্পষ্টভাবেউল্লেখকরাহয়েছে, যাগণতান্ত্রিকরাষ্ট্রেরঅন্যতমভিত্তি। এইসাংবিধানিকনির্দেশনাঅনুযায়ীসরকারগণমাধ্যমেরবিকাশ ও স্বাধীনতানিশ্চিতকরতেবিভিন্নআইন ও নীতিমালাপ্রণয়নকরেছে। বিশেষভাবেতথ্যঅধিকারআইন ২০০৯ পাসকরেসরকারনাগরিক ও সাংবাদিকদেরসরকারি-বেসরকারিখাতথেকেতথ্যপাওয়ারসুযোগসৃষ্টিকরেছে, যাস্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতাপ্রতিষ্ঠায়গুরুত্বপূর্ণভূমিকারাখছে।
তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তিরবিকাশেরসাথেতালমিলিয়েসরকারঅনলাইনসংবাদপোর্টালনিবন্ধনেরমাধ্যমেএকটিশৃঙ্খলাপূর্ণ ও বিশ্বাসযোগ্যমিডিয়াকাঠামোগড়েতুলছে। সাইবারসুরক্ষারঅধ্যাদেশ – ২০২৫ এরখসড়ায়সরকারসাইবারঅপরাধ, ডিজিটালবিভ্রান্তি ও গুজবদমনেরউদ্যোগনিয়েছে, যাতেঅনলাইনপ্ল্যাটফর্মেওসংবেদনশীলতা ও দায়িত্বশীলতাবজায়থাকে। সরকারেরমতে, এইআইনজনস্বার্থ ও জাতীয়নিরাপত্তারক্ষারজন্যজরুরিএবংএরমাধ্যমেগণমাধ্যমেরদায়বদ্ধতা ও পেশাদারিত্বনিশ্চিতকরাসম্ভবহবে। ভবিষ্যতেওসরকারএইআইনেরযথাযথপ্রয়োগেরমাধ্যমেএকটিনিরাপদ, স্বচ্ছ ও স্বাধীনগণমাধ্যমপরিবেশগড়েতোলারপ্রত্যয়েকাজকরেযাচ্ছে।
বাংলাদেশপ্রেসকাউন্সিল দেশেরগণমাধ্যমেরনীতিগতউন্নয়ন, নৈতিকসাংবাদিকতাএবংসংবাদপত্রেরমানোন্নয়নেকাজকরছে। ১৯৭৪ সালেগঠিতএইস্বায়ত্তশাসিতপ্রতিষ্ঠানটিসাংবাদিকদেরআচরণবিধিপ্রণয়ন, অভিযোগনিষ্পত্তিএবংগণমাধ্যমেরস্বাধীনতা ও দায়িত্বেরভারসাম্যবজায়রাখতেভূমিকারাখে। এছাড়াতথ্যকমিশননাগরিকদেরতথ্যজানারঅধিকারনিশ্চিতকরতেএবংসাংবাদিকদেরতথ্যপ্রাপ্তিরসহায়কহিসেবেকাজকরেথাকে। আন্তর্জাতিকপর্যায়েরিপোর্টার্সউইদাউটবর্ডার্স, কমিটিটুপ্রটেক্টজার্নালিস্টস, ইন্টারন্যাশনালফেডারেশনঅবজার্নালিস্টস ও ইউনেস্কোবিশ্বব্যাপীসাংবাদিকদেরঅধিকার ও নিরাপত্তারক্ষায়সক্রিয়ভূমিকারাখে। ইউনেস্কোপ্রতিবছরবিশ্বপ্রেসস্বাধীনতাদিবসেরপ্রতিপাদ্যনির্ধারণ ও বিশ্বজুড়েসচেতনতামূলককার্যক্রমপরিচালনাকরে। এসবসংস্থাপ্রেসফ্রিডমসূচকপ্রকাশ, হুমকিরমুখেথাকাসাংবাদিকদেরসহায়তা, গবেষণা ও অ্যাডভোকেসিকার্যক্রমেরমাধ্যমেসরকারেরদৃষ্টিআকর্ষণকরেএবংআন্তর্জাতিকচাপসৃষ্টিকরেস্বাধীনসাংবাদিকতাটিকিয়েরাখারচেষ্টাচালিয়েযাচ্ছে।
হলুদসাংবাদিকতাবাইয়েলোজার্নালিজমএমনএকধরণেরসংবাদচর্চা, যেখানেসত্যযাচাইছাড়াইচমকপ্রদ, উত্তেজনামূলকবামনগড়াতথ্যপ্রচারকরাহয়শুধুমাত্রপাঠকটানারউদ্দেশ্যে। গুজব, ষড়যন্ত্রতত্ত্ব, ব্যক্তিগতআক্রমণ, এবংক্লিক-বেইটশিরোনামেরমাধ্যমে এ ধরনেরসাংবাদিকতাতথ্যেরবিশ্বাসযোগ্যতাকেপ্রশ্নবিদ্ধকরে। ফলেজনগণেরমধ্যেগণমাধ্যমেরপ্রতিআস্থাকমেযায়, যাদীর্ঘমেয়াদেস্বাধীনসাংবাদিকতারভিত্তিকেদুর্বলকরেতোলে। বাংলাদেশেরপ্রেক্ষাপটেদেখাযায়, কিছুঅনলাইনপোর্টালকিংবাইউটিউবভিত্তিকসংবাদচ্যানেলঅনেকসময়দায়িত্বহীনভাবেবিভ্রান্তিকরতথ্যছড়িয়েদেয়, যাসমাজেউত্তেজনাসৃষ্টিকরে। এরফলেপুরোসাংবাদিকসমাজপ্রশ্নবিদ্ধহয়।
পশ্চিমাবিশ্বেরগণতান্ত্রিকদেশগুলোতেগণমাধ্যমেরস্বাধীনতাকেরাষ্ট্রীয়কাঠামোরএকটিমৌলিকস্তম্ভহিসেবেবিবেচনাকরাহয়। মার্কিনযুক্তরাষ্ট্রেপ্রথমসংবিধানসংশোধনীঅনুযায়ী, কংগ্রেসকোনোআইনপ্রণয়নকরতেপারবেনাযাবাক্-স্বাধীনতাবাসংবাদমাধ্যমেরস্বাধীনতাকেবাধাদেয়। এতেসাংবাদিকরারাষ্ট্র, রাজনীতি, অর্থনীতি ও সমাজেরনানাবিষয়নিয়েস্বাধীনভাবেঅনুসন্ধান ও সমালোচনাকরতেপারেন—সরকারেরপক্ষপাতমূলকহস্তক্ষেপছাড়াই। ইউরোপীয়ইউনিয়নভুক্তদেশগুলোতেওসাংবাদিকদেরনিরাপত্তা ও স্বাধীনতানিশ্চিতকরতেইইউমিডিয়াফ্রিডমআইনেরমতোআইনিকাঠামোপ্রণয়নকরাহচ্ছে। উন্নতপশ্চিমাদেশগুলোতেগণমাধ্যমেরস্বাধীনতারক্ষায়স্বতন্ত্রনিয়ন্ত্রকসংস্থা, পাবলিকব্রডকাস্টিংসিস্টেম, এবংসাংবাদিকইউনিয়ন ও অ্যাডভোকেসিগ্রুপগুরুত্বপূর্ণভূমিকাপালনকরে। যেমন: বিবিসিট্রাস্ট (যুক্তরাজ্যে) বাপিবিএস ও এনপিআর (মার্কিনযুক্তরাষ্ট্রে) রাষ্ট্রীয়অর্থায়নেপরিচালিতহলেওকার্যতস্বাধীনভাবেসংবাদপরিবেশনকরে। পাশাপাশিরিপোর্টার্সউইদাউটবর্ডার্স, অ্যামনেস্টিইন্টারন্যাশনালসহনানাসিভিলসোসাইটিসংগঠনসরকারেরসিদ্ধান্তবানীতিমালারসংবাদমাধ্যম-বিরোধীদিকগুলোনিয়েসোচ্চারথাকে। ফলে, সাংবাদিকদেরস্বাধীনতাশুধুআইনিনয়—সমাজেরচর্চারমধ্যেওদৃঢ়ভাবেপ্রোথিত।
উন্নয়নশীলরাষ্ট্রগুলোতেগণমাধ্যমেরস্বাধীনতাঅনেকসময়রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিকবাধারমুখোমুখিহয়। রাষ্ট্রীয়ক্ষমতারকেন্দ্রীকরণ, দুর্বলগণতান্ত্রিকপ্রতিষ্ঠান, রাজনৈতিকসহিষ্ণুতারঅভাবএবংনিরাপত্তা ও গোয়েন্দাসংস্থারঅতিসক্রিয়তাঅনেকক্ষেত্রেসংবাদমাধ্যমকেনিয়ন্ত্রণেরাখতেভূমিকারাখে। এসবদেশেসাংবাদিকদেরওপরনজরদারি, মামলা-মোকদ্দমা, গ্রেপ্তারবানিখোঁজহওয়ারমতোঘটনাওঘটে, যাসাংবাদিকতাচর্চাকেভীতিকর ও সীমিতকরেতোলে। অর্থনৈতিকভাবেস্বনির্ভরতাঅর্জনেব্যর্থঅনেকগণমাধ্যমমালিকানাভিত্তিকস্বার্থেরওপরনির্ভরশীলহয়েপড়ে, ফলেসাংবাদিকরাঅনেকসময়সম্পাদকীয়স্বাধীনতাহারান। পাশাপাশিঅনেকউন্নয়নশীলদেশেমিডিয়াহাউজগুলোরবিজ্ঞাপননির্ভরতাসরকারেরকাছেএকধরনেরচাপতৈরিকরে, যারফলেসরকারবিরোধীবাসমালোচনামূলকরিপোর্টপ্রকাশেঅনীহাদেখাযায়। আবারগণমানসিকতা ও রাজনৈতিকমেরুকরণেরপ্রভাবেঅনেকসময়সংবাদমাধ্যমপক্ষপাতদুষ্টহয়েপড়ে, যারফলেজনগণেরআস্থাহারায়এবংসত্যিকারেরমুক্তসাংবাদিকতাবাধাগ্রস্তহয়।
সামাজিকযোগাযোগমাধ্যমগণমাধ্যমেরস্বাধীনতাকেএকদিকেযেমনসম্প্রসারিতকরেছে, অন্যদিকেকিছুনতুনচ্যালেঞ্জওতৈরিকরেছে। ফেসবুক, টুইটার (বর্তমানএক্স), ইউটিউব, ইনস্টাগ্রামসহবিভিন্নপ্ল্যাটফর্মসাংবাদিকদেরজন্যতথ্যছড়িয়েদেওয়ার, ভিন্নমতপ্রকাশেরএবংবিকল্পসংবাদপরিবেশনেরএকটিস্বাধীন ও দ্রুতগতিরমাধ্যমহয়েউঠেছে। মূলধারারগণমাধ্যমযখনকোনোকারণেনিরবথাকেবাবাধাপ্রাপ্তহয়, তখনসামাজিকযোগাযোগমাধ্যমঅনেকসময়সত্যঘটনাকেসামনেআনতেভূমিকারাখে—যাগণতন্ত্রেরজন্যইতিবাচক। তবেএইপ্ল্যাটফর্মগুলোতেমিথ্যাতথ্য, গুজবএবংবিদ্বেষমূলকবক্তব্যছড়িয়েপড়ারপ্রবণতাসাংবাদিকতারগ্রহণযোগ্যতা ও নিরপেক্ষতাকেক্ষতিগ্রস্তকরে। অনেকসময়সাংবাদিকরাসামাজিকমাধ্যমেহয়রানি, চরিত্রহনন, এমনকিমৃত্যুরহুমকিরশিকারহন। সরকার ও রাষ্ট্রীয়সংস্থাগুলোওএইপ্ল্যাটফর্মগুলোরওপরনজরদারিবাড়িয়েদেয়, যারফলেনাগরিকসাংবাদিকতা ও স্বাধীনমতপ্রকাশেরওপরনিয়ন্ত্রণআরোপেরসুযোগতৈরিহয়। ফলেসামাজিকযোগাযোগমাধ্যমআজএকজোড়াধারালোতরবারিরমতো—যাএকদিকেপ্রেসফ্রিডমেরপ্রসারঘটায়, আবারঅন্যদিকেতাসংকুচিতকরারসুযোগওতৈরিকরে।
গণমাধ্যমেরস্বাধীনতাকেতখনইঅর্থবহহয়যখনগণমাধ্যমদায়িত্বশীলভাবেনির্ভরযোগ্য, তথ্যভিত্তিকএবংযাচাইকৃতসংবাদপরিবেশনকরে। এইপর্যায়েফ্যাক্টচেকিংবাতথ্যযাচাইএকটিঅপরিহার্যউপাদানহিসেবেবিবেচিত। সংবাদপ্রকাশেরআগেতথ্যেরসত্যতাযাচাইসাংবাদিকতারনৈতিকতাএবংবিশ্বাসযোগ্যতারক্ষায়গুরুত্বপূর্ণভূমিকারাখে। স্বাধীনসাংবাদিকরাযখনযাচাইকৃততথ্যনিয়েকাজকরেন, তখনতারাষ্ট্র, সমাজএবংজনসাধারণেরমধ্যেআস্থাসৃষ্টিকরে—যাএকটিগণতান্ত্রিকসমাজেরভিত্তি। অন্যদিকে, ফ্যাক্টচেকিংপ্রক্রিয়াকেযদিসীমিতকরাহয়বানিরপেক্ষভাবেচালাতেনাদেওয়াহয়তাহলেগণমাধ্যমেরস্বাধীনতাকার্যতবাধাগ্রস্তহয়। তাইফ্যাক্টচেকিংশুধুসংবাদশুদ্ধিরমাধ্যমনয়—এটিএকটিগণতান্ত্রিকপ্রতিরক্ষাব্যুহযাগণমাধ্যমেরস্বাধীনতাকেকার্যকররাখেএবংঅপপ্রচার, গুজব ও প্রোপাগান্ডার বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের রক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করে।

লেখক: সহকারী তথ্য অফিসার, তথ্য অধিদফতর
-পি. ফি.

0 Shares