এম এ রহিম, বেনাপোল যশোর:-
দেশের বৃহৎ স্থলবন্দর বেনাপোল। এই বন্দর দিযে সিংহ ভাগ পণ্য আমদানি রফতানি হয়। ইকুপমেন্ট ও জায়গা স্বল্পতার কারণে বাড়ত যানজট ও পণ্যজট, ব্যাহত হতো বাণিজ্য। সস্প্রতি বন্দরে ভেহিকাল টার্মিাাল চালুতে পাল্টে গেছে চিত্র। বাড়ছে বাণিজ্য কমছে যানজট।
১৯৭৩ সালে শুরু হয় এই বন্দরের যাত্রা। বন্দরটি বাংলাদেশ ওয়্যার হাউজিং কর্পোরেশনের অধীনে থাকার সময়ে সীমিত আকারে বন্দর দিয়ে হতো ভারত-
বাংলাদেশের মধ্যে আমদানি ও রপ্তানি বাণিজ্য। ১৯৯৬
সালের পর থেকে দুদেশের মধ্যে আমদানি ও রপ্তানি বাড়তে থাকে। ২০০৮ সালের বন্দরের অবকাঠেমোগত উন্নয়নে বদলাতে থাকে বেনাপোল।বাড়ে আমদানি রফতানি। তবে জায়গা স্বল্পতার কারণে যান ও পণ্যজটে ক্ষতিগ্রস্ত হয় ব্যবসার সাথে সংশ্লিষ্টরা। একোয়ার করা হয় ২৪একর জমি।২৯শ২৯ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয় প্রায় ২হাজার ধারন ক্ষমতা সম্পূন্ন আধুনিক ভেহিক্যাল টার্মিনাল। চলতি বছরের ১৪নভেম্বর বৃহস্পতিবার নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবঃ)ড.এম সাখাওয়াত হোসেন বেনাপোল স্থলবন্দরে নির্মিত কার্গো ভেহিক্যাল টার্মিনাল উদ্বোধন করেন।এটি খুলে দেয়ায় একসঙ্গে এই টার্মিনালে ১৩শ থেকে ১৮শপণ্যবাহী ট্রাক রাখা যাবে।এরফলে দীর্ঘদিনের ভোগান্তি কমেছে বাড়ছে বাণিজ্য ও রাজস্ব আয়।
-ব্ংলাদেশ ভারত চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক মতিয়ার রহমান ও ব্যবসায়ি নেতা মফিজুর রহমান সজন জানান বেনাপোলে যানজট কমলেও এখন রয়েছে জায়গা স্বল্পতা সহ বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা। বেনাপোলে ব্যবসা বান্ধব পরিবেশ তৈরীতে পোর্ট অথরিটি সহ কাস্টম ও বন্দর সংশ্লিষ্টদের হয়রানি বন্ধে পদক্ষেপের দাবি জানান তারা।
তবে বন্দরে পণ্য ওঠানামার কাজে ব্যবহৃত অধিকাংশ ক্রেন ও ফরক্লিপ সংকটে বাণিজ্য হচ্ছে ব্যহত। দীর্ঘদিন এসব অকেজো পড়ে থাকলেও, মেরামতের কোনো উদ্যোগ নেয়নি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠা। ফলে হয়রানি ও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন তারা। কমছে রাজস্ব। প্রতিকার চান বন্দর ব্যবহারকারীরা।