এম এ রহিম,বাংলাদেশ থেকে:
বেনাপোল-ব্যাপক উৎসব আনুষ্টানিকতা,নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে-বেনাপোল পাঠবাড়ী আশ্রমে নামাচার্য্য শ্রী শ্রী ব্রন্ম হরিদাস ঠাকুরের নির্যান তিথি মহাউৎসব পালিত হচ্ছে। উৎসবকে ঘিরে আশ্রমে বসছে দেশি বিদেশি ভক্তদের মিলন মেলা। ১৬ প্রহর ব্যাপি অখণ্ডনামযজ্ঞ অনুষ্ঠানসহ চলছে মহা নামযজ্ঞ ও কীর্ত্তন। বসেছে মিষ্টি সহ হরেক রকমের পণ্যের পসরা। ভক্তনুরাগীদের আগমন ও পদভরে ভরপুর আশ্রম এলাকা।
পাঁচশত বছর আগের তমালবৃক্ষের ছায়াতলে আশ্রম প্রাঙ্গণে প্রতি বছরের ন্যায় মহাউৎসবে ভারত, নেপাল, চিটাগাং খুলনা সাতক্ষিরা,কুমিল্লা রাজশাহী বাগেরহাট,নড়াইল সহ দেশ বিদেশ থেকে আসছেন ভক্তনুরাগীরা। বুধ ও বৃহস্পতিবার দু দিন ব্যাপি গভীয় শ্রদ্ধায় ভক্ত সাধকের স্মৃতি চেতনায় বিরতিহীন ভাবে চলছে পূণ্য উৎসব।গুরুবন্দনা বৈষ¦ব বন্দনা,পঞ্চতত্ব, শ্রীমদ্ভগবতগী,আশ্বাদন,ভক্তগীতি কীর্ত্তন, ভগবত আলোচনা,সণ্ধ্যা আরতি কীর্ত্তন,আলোচনা সভা। আনুষ্ঠানিকতায় মুগ্ধ ভক্তরা।
দূর দূরাত্ব থেকে আসা ভক্তরা বলেন,সারাজীবনের পাপ মুক্তির আশায় ও সাংসারিক সুখের আশায় বাবার দরবারে আসা। তার কৃপায় মঙ্গল আশায় প্রতিবছরের ন্যায় ঠাকুরের উৎসবে আসেন তারা।
ঢাকা ও চিটাগাং ও মাগুরা থেকে আসা তীর্থ যাত্রীরা বলেন, শ্রী হরিদাস ঠাকুকের আশ্রম ঐতিহাসিক পিঠ। হাজারও ভক্ত আসেন নির্য্যান তিথিতে বিভিন্ন গুনি সাধকরা আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।
কৃপা ও ভক্তির আশায় আসেন ভাল লাগে তাদের।
ব্যবসায়িরা জানান,উৎসবকে ঘিরে জমে উঠছে বেচাকেনা খুশি তারা। রাতে দিনে বিভিন্ন এলাকা থেকে আসনে ভক্তরা। এলাকার মানুষ ও কিনছেন পণ্য। লাভবান হচ্ছেন তারা।
বেনাপোল পাঠবাড়ী আশ্রম কমিটির সাধারণ সম্পাদক ফনি ভূষন পাল বলেন,পাঠবাড়ী আশ্রম কমিটির সম্পাদক বলেন,প্রশাসন স্থানীয় নেতৃৃবৃন্দ জনপ্রতিনিধি সহ সব শ্রেণি পেশার মানুষের সহযোগিতায় দর্শনার্থী ও ভক্তদের কাছে নির্যান তিথি মহাউৎস আরো মনমঙগ্ধকর হয়ে উঠছে। সেবায় ব্রত আছেন তারা।সকালে বিকালে চলছে ভক্তদের মধ্যে ভোজ বিতরণ। প্রায় ৬০হাজার মানুষের আগমনে উৎসব প্রাণচঞ্চল হয়ে উঠেছে।
মেটুসী বালা-কালিদাসী ও সনি দাস বলেন, আবেগ আপ্লুত তারা। মেলা উৎসব প্রাণের মেলায় পরিণত হয়েছে। তবে পরিবহন ভাড়া বেড়ে যাওয়ায় অনেক ভক্ত আসতে পারেনি উৎসবে।