ভারত গমনে যাত্রী সুবিধা চার্জ অনলাইনে আদায় কার্যক্রমের উদ্বোধন
এম এ রহিম, বেনাপোল যশোর:-
আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারত গমনে যাত্রী সুবিধা চার্জ অনলাইনে আদায় কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে রবিবার সকালে বন্দর প্যাসেজ্ঞার টার্মিনাল কনফারেন্সরুমে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে
প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তপক্ষের চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান,
বিশেষ অতিথি মিজানুর রহমান (যুগ্মসচিব) যুগ্ম প্রকল্প পরিচালক এটুআই প্রোগ্রাম আইসিটি ডিভিশন। অনুষ্ঠানে
সভাপতিত্ব করেন জাহাঙ্গীর কবীর (যুগ্মসচিব) সদস্য (ট্রাফিক) বাংলাদেশে স্থলবন্দর কতৃপক্ষ।
অন লাইনে চার্জ প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধনের ফলে উপকৃত হবে যাত্রীরা। ঘরে বসেই http://passenger
.blpa.gov.bd লিংকে প্রবেশ করে ফরম পূরণ করে অনলাইনে যাত্রীসুবিধা ফি প্রদান করা যাবে। যাত্রীরা তাদের মুঠোফোন দিয়ে বিকাশ, নগদ, উপায়, রকেট, মাস্টার কার্ড ও ভিসা কার্ড দিয়ে ফি প্রদান করতে পারবেন।
বেনাপোল স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের পরিচালক (ট্রাফিক) রেজাউল করিম জানান , বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ কেন্দ্রীয়ভাবে একটিমাত্র প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে বেনাপোল, বাংলাবান্ধা, বুড়িমারী ও নাকুগাঁও স্থলবন্দরে যাত্রীসুবিধা ফি অনলাইনে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভারতগামী যাত্রী নিজেই অনলাইনে যাত্রীসুবিধা ফি প্রদান করতে পারবেন। রবিবার থেকে সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে। অনলাইনে ফি প্রদানের পর রসিদ সাত দিন পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।
তাদের লক্ষ্য পুরোপুরি অনলাইনে যাত্রীসুবিধা ফি আদায়ের। তবে আপাতত কিছুদিন আন্তর্জাতিক যাত্রী টার্মিনালের কাউন্টারেও এই ফি নেয়া হবে।.
যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতগামী যাত্রী মোকলেসুর রহমান ও নাসিমা বেগম বলেন, তাদোর হয়রানি ও ঝামেলা কমবে। বাচবে সময় ও অর্থ। এ বছর থেকে এই ফি বাবদ যাত্রীপ্রতি ৫৪ টাকা ৫২ পয়সা দিতে হচ্ছে।
ভারতে যাওয়ার সময় স্থলবন্দরের তল্লাশি চৌকির পাশে নির্মিত আন্তর্জাতিক যাত্রী টার্মিনালের কাউন্টারে এই যাত্রীসুবিধা ফি পরিশোধ করে রসিদ নিতে হয়। আন্তর্জাতিক যাত্রী টার্মিনালের ফটকে সেই রসিদ দেখিয়ে স্থলবন্দরে প্রবেশ করতে হয় ভারতগামী হাজার হাজার নারী শিশু পুরুষ ও বৃদ্ধ যাত্রীদের। যাওয়ার পথে শুধু যাত্রীসুবিধা ফি নেয়া হয়।
স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ জানান. বাংলাদেশ থেকে ভারতগামী যাত্রীদের সেবার মান বাড়াতে বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে বেনাপোল স্থলবন্দরের তল্লাশি চৌকির পাশে নির্মাণ করা হয়েছে আন্তর্জাতিক যাত্রী টার্মিনাল। ছয়তলা ভিত্তির ওপর তৃতীয় তলা পর্যন্ত ১ লাখ ৩ হাজার ৬৭৫ বর্গফুটের এই ভবন নির্মাণে ব্যয় হয় ৭ কোটি ৬৮ লাখ ১৭ হাজার ৮৮২ টাকা। ২০১৭ সালের ২ জুন টার্মিনালটি উদ্বোধন করা হয়। এরপর টার্মিনালটি যাত্রীদের জন্য খুলে দেওয়া হয়। চারটি খাতে যাত্রীসুবিধা ফি নির্ধারণ করা হয় ৩৮ টাকা ৭৬ পয়সা। এর মধ্যে প্রবেশ ফি ৯ টাকা ৯১ পয়সা, অপেক্ষা ফি ৯ টাকা ৯১ পয়সা, সার্ভিস চার্জ ৩ টাকা ৯৭ টাকা ও টার্মিনাল চার্জ ৯ টাকা ৯১ পয়সা। শতকরা ১৫ টাকা হারে ভ্যাট ৫ টাকা ৬ পয়সা। প্রতিবছর শতকরা ৫ টাকা হারে বৃদ্ধিতে ২০২৪ সালে এসে ফি দাঁড়িয়েছে ৪৭ টাকা ৪১ পয়সা। শতকরা ১৫ টাকা হারে ভ্যাট ৭ টাকা ১১ পয়সা। মোট ৫৪ টাকা ৫২ পয়সা। এত দিন যাত্রীরা আন্তর্জাতিক যাত্রী টার্মিনালের কাউন্টারে এই যাত্রীসুবিধা ফি পরিশোধ করে রসিদ নিতেন।
নিরাপত্তাকর্মিদের রসিদ দেখিয়ে যাত্রীরা আন্তর্জাতিক যাত্রী টার্মিনাল ভবনে প্রবেশ করেন। এরপর কাস্টমসের কার্যক্রম সম্পন্ন করে যাত্রীরা পুনরায় নিরাপত্তাকর্মিদের রসিদ দেখিয়ে পাশের পাশের ভবনে অবস্থিত বহির্গমন (ইমিগ্রেশন) বিভাগে প্রবেশ করেন। বহির্গমন বিভাগে কার্যক্রম সম্পন্ন করে যাত্রীরা আন্তর্জাতিক শূন্যরেখা দিয়ে ভারতের পেট্রাপোল স্থলবন্দরে প্রবেশ করেন।
রোববার থেকেই ভারতগামী যাত্রীদের জন্য চালু হলো স্মার্ট সেবা। খুশি যাত্রীরা।
তবে প্যাসেজ্ঞার টামিনালে প্রকৃত সেবা না পেয়ে ক্ষুদ্ধ পর্যটকরা। দেশ বিদেশের যাত্রীরা বলেন পোট ট্যাক্স দিয়ে ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে প্রবেশ করেন তারা। এখানে পাননা বিশ্রামের পরিবেশ। রয়েছে বহিরাগতদের অনুপ্রবেশ। নেই টয়লেটসহ শিতল কোর রুম।ফলে কষ্ট বাড়ে তাদের। এ থেকে সুরাহা চান তারা।