Home » সারাদেশ » বেনাপোলে ৮পাসপোর্ট যাত্রীর কাছ থেকে ২লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে ৮টি প্রতিষ্ঠান বন্ধ করেছে প্রশাসন

বেনাপোলে ৮পাসপোর্ট যাত্রীর কাছ থেকে ২লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে ৮টি প্রতিষ্ঠান বন্ধ করেছে প্রশাসন

 

বেনাপোল প্রতিনিধি :
বেনাপোল সীমান্তের ইমিগ্রেশন এলাকায় ৮ জন পাসপোর্ট যাত্রীদের কাছ থেকে প্রতারনা করে ২লাখ টাকা ও পাসপোর্ট হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত সংঘবদ্ধ দালাল চক্রের ৮টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে তালা মেরে সামায়িক বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন।
মঙ্গলবার সকালে পোর্ট থানার ওসি সুমন কুমার ভক্তের নের্তৃত্বে পুলিশের একটি দল বেনাপোল সীমান্ত এলাকায় অভিযান চালায়। এসময় বাজার কমিটি বিএনপির নেতা কর্মি ও পরিবহন শ্রমিক নেতারা অভিযানে সহায়তা করেন। অভিযুক্ত দালালদের ৮টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছাড়াও ৪টি প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বরতদের সতর্ক করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন ওসি সুমন কুমার ভক্ত।

ওসি সুমন কুমার ভক্ত ও স্থানীয়রা জানান। সোমবার সকালে ভারতে প্রবেশকালে সীমান্ত এলাকা থেকে ৮ পাসপোর্ট যাত্রীর কাছ থেকে প্রতারিত করে ২লাখ টাকা ও পাসপোর্ট হাতিয়ে নেয় সংঘবদ্ধ দালাল চক্রের সদস্যরা। পরে ২৩ হাজার টাকা ও পাসপোর্ট উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় পোর্ট থানায় মামলা হয়েছে। অভিযুক্তদের ধরতে চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে জানান ওসি সুমন কুমার ভক্ত।

বিএনপি নেতা ইদ্রিস আলী ইদু ও শ্রমিক নেতা কামাল বিশ্বাস সহ স্থানীয়রা জানান এ বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ৫ থেক৮ হাজার পাসপোট যাত্রী চিকিৎসা ব্যবসা ও ভ্রমণসহ বিভিন্ন কাজে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে যাতায়াত করে। বন্দরের সুনাম ও যাত্রীদের নির্বিঘ্নে যাতায়াতে প্রশাসনের সাথে সব ধবনের সহযোগিতা করছেন তারা।
চেকপোস্ট বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক মিলন হোসেন জানান বেনাপোল চেকপোস্ট এলাকায় কোন ধরনের দালালের অপতৎপরতা রুখে দিতে প্রশাসনের সাথে কাজ করছেন। যাত্রীদের সেবায় বাজার কমিটির পক্ষে সব ধরনেন সহযোগিতা দিতে চান তারা।
দেশি, বিদেশি পাসপোর্টধারী যাতায়াত করে বেনাপোল ইমিগ্রেশন দিয়ে ভোরে বাস থেকে নামার পর বন্দরের বাসটার্মিনাল ও প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল থেকে পাসপোর্ট ফরম ও ভ্রমণ কর কেটে দেয়ার কথা বলে চিহ্নিত ছিনতাইকারীরা তাদের বিভিন্ন গলিতে বসিয়ে কখনো ভয়ভীতি আবার কখনো টাকার নাম্বার এন্টির কথা বলে বড় অংকের অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে।
আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের আশে পাশে একাধিক জায়গায় ঘাপটি মেরে বসে থাকে দালাল পরিচয়ের একটি সংঘবদ্ধ ছিনতাই চক্র। পরে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা পাসপোর্ট যাত্রীদের টার্গেট করে। এরপর তাদেরকে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধার কথা বলে বিভিন্ন মার্কেটের গলিতে নিয়ে বিভিন্ন কৌশলে টাকা পাসপোর্ছিট হাতিয়ে নেয়। এসব ছিনতাইকারীর ভয়ে স্থানীয়রা কেউ প্রতিবাদ করতে পারে না। কারণ এরা দলে অনেক ভারী। আর এসব চক্রগুলোর নানা ভাবে সহযোগিতা করে নামধারী কিছু ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান ও কিছু অসাধু প্রশাসনের সদস্য ।

সোমবার সকালে ছিনতাই কারীর কবলে পড়া খুলনার বটিয়া ঘাটার সাগর হোসেন পাসপোর্ট (A04117714) বলেন, সকালে তিনি ভারতে গমনের উদ্দেশ্যে প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের সামনে সকালে লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। সেখানে কয়েকজন লোক তাকে বলে অনলাইনে ভ্রমণ ট্যাক্স জমা দিলে তারা বন্দরের লম্বা লাইনের আগে ইমিগ্রেশন এ পৌঁছে দিবে। পরে তাকে পাশেই একটি মার্কেটের গলিতে বসায়। সেখানে ট্যাক্স জমা দেয়ার পর টাকার নাম্বার লিখতে হবে জানিয়ে একটি রুমে বসায় ছিনতাইকারীরা। এক পর্যায়ে সাথে থাকা ৫২ হাজার টাকা নিয়ে দেখেন সেখান থেকে ২৩ হাজার টাকা সরিয়ে ফেলেছে। পরে বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ দিলে বন্দর ও বিজিবি সদস্যদের সহযোগিতায় ৭ হাজার টাকা ছিনকারীদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়।
বেনাপোল পোর্টথানা পুলিশের ওসি সুমন ভক্ত আরো জানান, তারা বহুবার ছিনতাইকারীদের প্রতিষ্ঠান বন্ধ করেছেন এবং আটক করেছেন। তবে তারা জেল থেকে ফিরে এসে আবারো এসব অপরাধ করছে। ছিনতাই পুরোপুরি বন্ধ করতে হলে পুলিশকে স্থানীয় ব্যবসায়ী, সাংবাদিক ও রাজনৈতিক ব‍্যক্তিদের সহযোগিতার প্রয়োজন।

0 Shares