এম এ রহিম, বেনাপোল যশোর :
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খানের অপসারণ ও প্রতিহিংসা ও নিপীড়নমূলক বদলির আদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের ডাকা ‘কমপ্লিট শাটডাউন ও মার্চ টু এনবিআর’ কর্মসূচিতে অচল হয়ে পড়েছে বন্দর। ফাঁকা হয়ে পড়েছে বেনাপোল কাস্টমস হাউজ এলাকা। ক্ষতিগ্রস্ত আমদানি রফতানি কারকরা।বেকার বন্দর ব্যবহারকারী কয়েক হাজার শ্রমিক। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন আমদানি রফতানি কারকরা।
এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের ‘কমপ্লিট শাটডাউন ও মার্চ টু এনবিআর’ কর্মসূচির সাথে একত্মতা ঘোষণা করে বেনাপোল কাস্টমস হাউজে কেন্দ্রের নির্দেশনা অনুযায়ী সকাল থেকে বন্ধ রয়েছে আমদানি-রফতানি সংক্রান্ত শুল্কায়নের কাজ। বন্দর থেকে কোন পণ্য খালাস হচ্ছে না। গেটে ব্যানার ঝুলিয়ে দিয়ে বাইরের কাউকে কাস্টমস অভ্যন্তরে ঢুকতে দিচ্ছে না। কর্মকর্তাদের টেবিলে কাউকে দেখা যায়নি। বন্ধ করে দেয়া হয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের অনলাইন সার্ভার। এর ফলে আমদানি-রফতানি সংক্রান্ত কোনও বিল অব এন্টি দাখিল করা যায়নি। সার্ভার বন্ধের কারণে বেনাপোল-
পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে কোন আমদানি-রফতানি হচ্ছে না। তবে পাসপোর্টযাত্রী পরিষেবা স্বাভাবিক আছে বলে জানান বেনাপোল বন্দর কর্তৃপক্ষ।কাস্টমসের কাজ বন্ধ থাকায় কাঁচামালের অভাবে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে কারখানা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন তারা ।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান বলেন, কমপ্লিট শাটডাউনের কারণে রবিবার সকাল থেকে কাস্টমসের সকল কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। গত বৃহস্পতিবারের আইজিএম ইস্যু করা ৬টি ভারতীয় ট্রাক বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করার পর আর কোন ট্রাক পণ্য নিয়ে বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করেনি।
উল্লেখ থাকে যে, বেনাপোল কাস্টমস হাউজে গত সোমবার (২৩ জুন) সকাল ৯টা থেকে ১২ টা, মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে বেলা ২টা, বুধবার ও বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত কলম বিরতি পালন করা হয় এবং শনিবার (২৮ জুন) কমপ্লিট শাটডাউন ও মার্চ টু এনবিআর কর্মসূচি পালন করছেন।
শাটডাউনের আজ দ্বিতীয় দিন। শাটডাউন এর কারণে বেনাপোল বন্দর দিয়ে আজও সকাল থেকে আমদানি রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ রয়েছে। তবে বেনাপোল চেক পোস্ট দিয়ে দু’দেশের মধ্যে যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানান ইমিগ্রেশনের ওসি ইলিয়াস হোসেন । এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের ডাকা কমপ্লিট শাটডাউনের দ্বিতীয় দিনে বেনাপোল কাস্টমস খোলা থাকলেও কোন কর্মকর্তার উপস্থিতি দেখা যায়নি। কাস্টমসের কোন কোন গ্রুপের দরজায় তালা মারা থাকতে দেখা গেছে। বন্ধ রয়েছে শুল্কায়নের কার্যক্রম সহ সকল ধরনের কাজকর্ম । শুল্কায়নের কার্যক্রম বন্ধ থাকার কারণে সরকার এ বন্দর থেকে প্রতিদিন কোটি কোটি টাকার রাজস্ব আদায় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। এদিকে আমদানি রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ থাকার জন্য দু’দেশের বন্দর এলাকায় আটকা পড়েছে শত শত পণ্যবাহী ট্রাক। যার অধিকাংশই বাংলাদেশের শতভাগ রফতানি মুখি গার্মেন্টস শিল্পের কাঁচা মাল রয়েছে। বেনাপোল বন্দরের ডেপুটি পরিচালক মামুন কবির তরফদার জানান, কাস্টমস কর্মকর্তাদের আন্দোলনের কারণে বেনাপোল বন্দর দিয়ে শনিবার সকাল থেকে আমদানি রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ রয়েছে। তবে এ সময়ে বেনাপোল বন্দর থেকে ভারতীয় খালি ট্রাকগুলো সে দেশে ফেরত যেতে পারবে বলে তিনি জানান ।