এম এ রহিম,বেনাপোলযশোর:-
যানজটের নগরীতে পরিণত হয়েছে স্থলবন্দর বেনাপোল। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত যশোর বেনাপোল মহাসড়কের বন্দর এলাকায় থাকছে পণ্যবাহি ট্রাক ও যানজট। ফলে দুর্ভোগে পড়ছেন পথচারিসহ আমদানি রফতানির সাথে সংশ্লিষ্টরা। ভোগান্তিতে পড়ছেন দেশ বিদেশের পাসপোর্ট যাত্রীরা। যানজটে নাকাল বন্দরবাসি। ৫ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে আমদানি রফতানিবাহি ট্রাকের দীর্ঘ লাইনে সৃষ্ট হচ্ছে ভয়াবহ যানজটের।নির্বাক প্রশাসন।
দেশের বৃহৎ স্থলবন্দর বেনাপোল দিয়ে প্রতিদিন যাতায়াত করে ৫থেকে ৭হাজার পাসপোর্টযাত্রী ও ৬শতাধিক আমদানি রফতানিবাহিট্রাক। দূর পাল্লার পরিবহন বাস মাইক্রো প্রাইভেট নসিমন ইজিবাইক ও ভ্যানসহ হাজারও ছোটবড় বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করে একই মহাসড়কে। বন্দরে নেই কোন আমদানি-রফতানি টার্মিনালসহ পর্যাপ্ত জায়গা। ফলে যানজটের নগরীতে পরিণত হয়েছে স্থলবন্দর বেনাপোল। এদিকে গত ২দিন বন্ধের পর বেড়েছে আমদানি রফতানিবাহি ট্রাকের চাপ। নেই ট্রাফিক ব্যবস্থাসহ প্রশাসনের নজরদারি।ফলে যানজটে হাপিয়ে উঠছে সর্বসাধারণ।শিক্ষার্থী চাকরিজীবী ব্যবসায়িসহ দূরদূরান্ত থেকে আসা যাত্রীরা পড়ছেন বিড়ম্বনায়। নষ্ট হচ্ছে সময় খরচ বাড়ছে । লোকসানে পড়ছেন ব্যবসায়িরা। বন্দরে ধারন ক্ষমতা কম থাকায় আমদানি রফতানি বাণিজ্যের সাথে সংশ্লিষ্টরা ঝুঁকছেন অন্যবন্দরে। ফলে হুমকির মুখে পড়ছে বেনাপোল বন্দর। দ্রুত জায়গা সম্প্রসারণসহ যানজট রোধে বন্দর ও কাস্টম কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন আমদানি রফতানির সাথে সংশ্লিষ্টরা।
বাংলাদেশ ভারত চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক মতিয়ার রহমান জানান আগের থেকে বেনাপোল বন্দর দিয়ে বাড়ছে আমদানি রফতানি। তবে অবকাঠোমগত উন্নয়ন স্বল্পতা রয়েছে এখনও। জনবল বাড়লেও রয়েছে ইকুপমেন্ট স্বল্পতা। জায়গা সম্প্রসারণ জরুরি হয়ে পড়েছে। যাত্রীবাহি ও আমদানি রফতানি সড়ক পৃথক হলে কমবে যানজট। বন্দরে বাড়বে গতি ফিরবে স্বস্তি। লাভবান হবে সরকার ও ব্যবসায়িরা। বাণিজ্য সম্প্রসারণে ভারত বাংলাদেশ সংশ্লিষ্ট দফতরের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন তিনি।
বেনাপোলে যানজটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থাকছে যাত্রীরা,সিরিয়ালে পড়ে ব্যাহত হচ্ছে বাণিজ্য এ থেকে পরিত্রাণ চান ভুক্তভোগীরা।
চালক মনির হোসেন ও জয়দেব কুমার বলেন দুদিন আগে এসেছেন বন্দরে। পড়ে আছেন সিরিয়ালে। ফলে যানজটে আটকে খেয়ে না খেয়ে দুর্ভাগে দিন কাটছে তাদের।
বেনাপোল বন্দরে যানজটে আটকা পড়ে আমদানি রফতানিতে সৃষ্টি হচ্ছে জটিলতা বাড়ছে ডেমারেজ ভোগান্তিতে পড়ছেন বন্দর ব্যবহারকারীরা। দুর্ভোগ থেকে পরিত্রাণ চান আমদানি রফতানির সাথে সংশ্লিষ্টরা।
তবে বন্দরকর্তৃ পক্ষ জানান.গত ২দিন সরকারি ছুটিতে পোর্ট বন্ধ থাকায় স্থলবন্দরে বেড়েছে ট্রাকের চাপ।সৃষ্ট জটিলতা নিরসনে কাজ করছেন তারা। বন্দর ব্যবহারকারী বিভিন্ন সংগঠন ও প্রশাসনের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে বলে জানান বন্দরকর্তৃপক্ষ।