Home » ইতিহাস ঐতিহ্য » “রাই কিশোরী দেবী স্মৃতি মন্দির”

“রাই কিশোরী দেবী স্মৃতি মন্দির”

প্রাচীন বাংলার রাজধানী বিক্রমপুর পরগনা

সময় চলে যায় স্মৃতি রয়ে যায়।

 

 

শহিদ শেখ, শ্রীনগর প্রতিনিধিঃ

 

আজ থেকে ৭৯ বসর আগে

মা’কে চির স্বরণীয় করে রাখার জন্য নির্মাণ করেন।

মায়ের স্মৃতিতে তিন পুত্র মিলে একটি মন্দির।

যে মন্দিরটি আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে আছে।

এভাবে একদিন কালের স্রোতে হারিয়ে যাবে প্রাচীন বাংলার রাজধানী বিক্রমপুরের অতীত নিরব সাক্ষী।

রাই কিশোরী দেবীর তিন পুএ,

শ্রী সত্যেন্দ্রনাথ বসু,

শ্রী যতীন্দ্রনাথ বসু ও শ্রী সুধীন্দ্রনাথ বসু।এই তিন ভাতৃত্রয় তাদের মা’কে চির স্বরণীয় করে রাখেছেন এই মন্দির নির্মাণ করে।

প্রাচীন মঠ বা স্মৃতি-মন্দিরগুলি আমাদের দেশের ইতিহাসেরই অংশ। চেষ্টা করবো মঠ গুলির সঠিক অবস্থান ও অবস্থার বর্ণনা করতে। সেই সাথে চেষ্টা করবো মঠ গুলির সামান্য ইতিহাস তুলে ধরতে। তবে অনেক ক্ষেত্রেই মঠগুলির কোনো ইতিহাস খুঁজে পাওয়া যায় না।

মূলত আদিতে সম্ভ্রান্ত, অভিজাত, মর্যাদাশালী, কুলীন, ধনী কোন হিন্দু ব্যক্তি মারা গেলে তার স্মৃতির উদ্দেশ্যে এই স্মৃতি-মন্দির গুলি তৈরি করা হতো। এই স্মৃতি-মন্দিরগুলি কালক্রমে এই বাংলায় মঠ নামে পরিচিতি পেয়ে গেছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় মনটা।

লেখাটি অসম্পূর্ণ রয়ে গেল

ভাগ্যের কী নির্মম পরিহাস

স্বজন

হারানোর বেদনা নতুন করে জাগিয়ে তোলে আমায়।

এই মঠ নিয়ে লিখতে গিয়ে।

আমার প্রিয় দাদি জান তোমার কথা মনে পড়ে গেল,

তোময় হারানো আমার জন্য বয়ে এনেছে

বুক ভরা কষ্ট, আর আর্তনাদ হাহাকার।

দাদি তোমায় হারিয়ে প্রথমে ডুকরে ডুকরে কেদেছি,

অনেকেই দেখে শান্তনা দিয়েছে। আস্তে আস্তে ডুকরে কাদা থেমে গেছে।

আজ এই মন্দিরের স্মৃতিগুলো লিখতে গিয়ে,

তোমায় হারানোর ব্যথা দাদি হারানোর ব্যাথা যে কত

কষ্টের তা পরিমাপের কোন যন্ত্র নেই, প্রকাশের

কোন ভাষা নেই।

আমি আর পারছি না, লিখার ভারসাম্য আমার হারিয়ে যাচ্ছে, চোখের জলে।

আর আসবে না। সব ব্যাথা ভুলে যাওয়া যায় না।

আঘাতের ব্যাথা সেরে যায়, বন্ধুদের দেয়া কষ্ট মুছে

যায়, দাদি হারানোর ব্যাথা শত চেষ্টায়ও ভুলে থাকা যায় না।

চির বিদায় দিয়ে পৃথিবীর বুক থেকে

চলে গেছে।পৃথিবীর বুকে রেখে গেছে আমাদের কে,

কোন শ্বান্তনাই আমায়

দাদি তোমার অভাব পূরণ করতে পারেনি।

দাদির মমতা মাখা আবেগ পূর্ণকরতে

পারেনি। কোন কিছুতেই মন শান্ত হয় না, আজও শান্ত হয়নি, আর হবেও না জানি। কারণ দাদি তুমি তো আর ফিরে আসবে না।

দাদি মানুষ মরে যায় ছেড়ে যায় কিন্তু তার দেয়া ভালোবাসা

অনুভুতি ও মায়া গুলোই শুধু থেকে যায় এটাই বোধয় প্রিথিবীর

নিয়ম ।

0 Shares