শহিদ শেখ পাখি, মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি :
মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই জায়ের বিরোধ। বড় জা-শারমিনকে বটি দিয়ে কুপিয়ে কাটার হুমকি।গত মঙ্গলবার রাত ৮ টায় উপজেলার বীরতারা ইউনিয়নের সাতগাও গ্রামে ঘটে এই ঘটনা।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, পূর্ব শত্রুতাকে কেন্দ্র করে বেশ কিছু দিন যাবত মোঃ সাগর উল্লাহ’র স্ত্রী রিতু আক্তার তার বড় জা মোঃ নুরু উল্লাহ’র স্ত্রী শারমিনের বিরুদ্ধে এলাকায় মিথ্যাচার করে আসছে। এতে করে শারমিনের সংসার ভেঙ্গে যাওয়ার উপক্রম হয়ে যায়। গত মঙ্গলবার আনুমানিক রাত ৮ টায় শারমিন তার ছোট জা রিতুর বাড়িতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আসলে রিতু অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এক পর্যায় বটি নিয়ে কোপাতে আসলে শারমিনের চিৎকার চেচামেচি শুনে স্থানীয় লোকজন তাকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করেন।
স্থানীয় নাজমা বেগম বলেন, গত মঙ্গলবার রাত ৮ টার দিকে শারমিন তার ছোট জা রিতুর বাড়িতে আসে। এসে রিতু-কে বলে তুমি যে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা কথা রটাচ্ছো হয় এটার প্রমাণ দিবা আর নাহয় আমার স্বামীকে কল দিয়ে বলবা তুমি মিথ্যা কথা বলছো। এটা বলার পর প্রতি উত্তরে রিতু বলে আমি প্রমাণ দিবো না আর তোর স্বামীকে ও বলবো না। একপর্যায়ে রিতু শারমিনকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন পরবর্তীতে ঘর থেকে বটি এনে শারমিনকে কোপাতে আসে।পরে আমরা সেখান থেকে শারমিন কে সরিয়ে নিয়ে আসি।
এবিষেয় শারমিনের চাচা শশুড় মজিবুর রহমান বলেন, ঘটনার সময় আমি মসজিদে ছিলাম পরবর্তীতে শারমিনের মাধ্যমে আমি ঘটনাটি শুনতে পাই। ঘটনা শুনার পর উভয় পক্ষকে বুঝানোর চেষ্টা করি এবং বলি আমরা সকলে এক সাথে বসে এটার সমাধান করবো। আমার বড় ভাতিজা বউ শারমিন আমাদের কথা মেনে সেখান থেকে চলে আসে । কিন্তু আমার ছোট ভাতিজা বউ সাগর উল্লাহ’র স্ত্রী রিতু আমার কথা না মেনে শারমিন এর বিরুদ্ধে দুইটা ফেসবুক আইডি দিয়ে মিথ্যা প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছে এবং শ্রীনগর মাথায় একটি মিথ্যা বানোয়াট অভিযোগ করেন যার কোন সত্যতা নেই।
এবিষয়ে শারমিন আক্তার বলেন, ৫ দিন আগে আমার ছোট জা রিতুর সাথে আমার একটি ঝামেলা হয়। ঝামেলার পর আমার চাচা শশুড় দেবর ভাসুর তারা সবাই বসে এটার একটা সমাধানের আশ্বাস দেন। কিন্তু আমার ছোট জা রিতু তাদের কথার তোয়াক্কা না করে শ্রীনগর থানায় একটি মিথ্যা অভিযোগ করেন। তার পর দিন থেকেই দুইজন ব্যক্তি নামধারী সাংবাদিক পরিচয়ে তাদের ফেসবুক আইডিতে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচার চালাচ্ছে।
এবিষয় মুঠোফোনে বেশ কয়েকবার রিতু আক্তার এর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
এবিষয়ে অভিযোগ তদন্তকারী কর্মকর্তা শরীফুল ইসলাম জানান, অভিযোগের তদন্ত প্রতিবেদন কোর্টে পাঠানো হয়েছে। কোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।