Home » মতামত » সমৃদ্ধির জন্য প্রয়োজন মানব উন্নয়ন -ইমদাদ ইসলাম

সমৃদ্ধির জন্য প্রয়োজন মানব উন্নয়ন -ইমদাদ ইসলাম

একটা দেশের মানুষের গড় আয়ু, সামাজিক অসমতা, প্রসবকালীন মৃত্যুর হার, বেকারত্বের হার, দারিদ্র্যের হার, শিশুশ্রমের হার, কর্মহীন ও সামাজিকভাবে অসহায় হত-দরিদ্রের হার, বাল্যবিবাহের হার, বাল্য মাতৃত্বের হার, আয় বৈষম্যের হার, সাক্ষরতার হার, পরিবেশ বান্ধব টেকসই উন্নয়ন ইত্যাদি বিবেচনায় ‘মানব উন্নয়ন সূচক’ নির্ধারণ করা হয় । একটি দেশের অর্থনীতি কতটা কল্যাণমুখি তা মানব উন্নয়ন সূচকের মাধ্যমে জানা যায় । যে সমস্ত শ্রম বাজারে বিক্রি করা হয় না বা যায় না সেগুলোকে জিডিপি, জিএনপি এবং মাথাপিছু আয়ের ক্ষেত্রে বিবেচনা করা হয় না। ফলে একটি দেশের বিশাল জনগোষ্ঠীর শ্রম জাতীয় আয়ের অংশ হিসেবে মর্যাদা পায় না। যেমন, গৃহস্থালি দৈনন্দিন কাজে নারীরা যে শ্রম দেয় তা হিসাবের মধ্যে না নেয়ায় একদিকে যেমন মোট জাতীয় উৎপাদনের প্রকৃত হিসাব পাওয়া যায় না, অন্যদিকে তা গৃহস্থালি কাজে নারীর শ্রমকে মূল্যহীন করে তোলে। এধরনের সমস্যাসহ আরও নানা সীমাবদ্ধতার কারণে একটি দেশের মানুষ প্রকৃত বিচারে কেমন আছে তা জানার জন্য ব্যবহার হচ্ছে ‘মানব উন্নয়ন সূচক’ ধারণা। জাতিসংঘ মানব উন্নয়ন সূচকে পরিসংখ্যানগতভাবে কোন দেশের মানব উন্নয়ন সংক্রান্ত তথ্যাদি তুলে ধরা হয়। মানব উন্নয়ন সূচকের সাথে দেশের ভবিষ্যতের অর্থনীতির গতিধারা গভীরভাবে সম্পর্কযুক্ত। সেখানে একটি দেশের আর্থিক আয় কিংবা উৎপাদনশীলতার চেয়ে অন্যান্য বিষয়াদির উপর ব্যাপক গুরুত্বারোপ করা হয়। মাথাপিছু মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন কিংবা মাথাপিছু আয়ের পাশাপাশি আয়ের কতটুকু অংশ শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যখাতে ব্যয় হয়েছে তাও তুলে ধরা হয়।
বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় মানবসম্পদ উন্নয়নের গুরুত্ব নতুন মাত্রা লাভ করেছে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পাশাপাশি মানবসম্পদ উন্নয়নও বর্তমান বৈষম্য বিরোধী অন্তর্বর্তী সরকারের মূল লক্ষ্য। এ লক্ষ্যে সরকার আর্থ-সামাজিক খাতে মোট বাজেটের প্রায় এক পঞ্চমাংশ মানবসম্পদ উন্নয়নের সাথে সম্পৃক্ত খাতসমূহ যেমন – শিক্ষা ও প্রযুক্তি, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ, নারী ও শিশু, সমাজকল্যাণ, যুব ও ক্রীড়া উন্নয়ন, সংস্কৃতি, শ্রম ও কর্মসংস্থান ইত্যাদি ক্ষেত্রে ব্যয় করেছে। শিক্ষার সকল স্তরে ভর্তির সুযোগ সৃষ্টি ও শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়নের মাধ্যমে দক্ষ ও যোগ্য মানবসম্পদ সৃষ্টির লক্ষ্যে বহুবিধ কর্মসূচি পালন করছে। প্রাথমিক বিদ্যালয়সমূহে সকলের জন্য শিক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিদ্যালয়ে ভর্তি, প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা, উপবৃত্তি ও ছাত্র-শিক্ষক সংযোগ ঘণ্টা বৃদ্ধির প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলার লক্ষ্যে কারিগরি শিক্ষার উপর সর্বোচ্চ গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও জনসংখ্যা খাতে সরকারের নেয়া অগ্রাধিকারভিত্তিক বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের ফলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই এ সংক্রান্ত সহস্রাব্দ উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জন করা সম্ভব হয়েছে। গড় আয়ু বৃদ্ধিসহ নবজাতক শিশু ও মাতৃ-মৃত্যু হ্রাসে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে।
মানবসম্পদ উন্নয়নের মূল ভিত্তি হিসেবে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতকে বিবেচনা করা হয়। ফলশ্রুতিতে জাতীয় বাজেটে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে সরকার প্রতিবছর পর্যাপ্ত বরাদ্দ প্রদান করছে। এ দুই খাতে মোট বাজেটের ১৭ দশমিক ৭ শতাংশ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে যা ১ লাখ ৩৬ হাজার ১১৮ কোটি টাকা। এর ফলে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে বাস্তবসম্মত কর্মসূচি বাস্তবায়নের মাধ্যমে সরকার শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণে কার্যকর ভূমিকা রাখছে। ফলশ্রুতিতে, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষার স্তরে লিঙ্গ বৈষম্য বিলোপ করে ছেলে ও মেয়ে শিক্ষার্থীর মধ্যে সংখ্যাসাম্য অর্জন সম্ভবপর হয়েছে। এছাড়াও, প্রজনন হার হ্রাস, শিশু ও মাতৃ-মৃত্যুহার হ্রাস, যক্ষ্মা ও এইডস এর বিস্তার রোধ, গড় আয়ু বৃদ্ধি ইত্যাদি ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জনের মাধ্যমে মানবসম্পদ উন্নয়নে অগ্রগতি হয়েছে। ক্রীড়া ও সংস্কৃতির উন্নয়নও মানবসম্পদ উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে।
বাংলাদেশের সংবিধানের ১৭ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নির্ধারিত স্তর পর্যন্ত সকল শিক্ষার্থীকে অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক শিক্ষাদান এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নিরক্ষরতা দূর করার জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের বাধ্যবাধকতা রয়েছে । এ প্রেক্ষাপটে সরকার প্রাথমিক শিক্ষার প্রতি গুরুত্বারোপ করে এ খাতে প্রয়োজনীয় বরাদ্দসহ নানা রকম পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে । ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রাথমিক শিক্ষা খাতে মোট বরাদ্দের পরিমাণ ৩৮ হাজার ৮১৯ কোটি টাকা ।
টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) এর ৪নং লক্ষ্যমাত্রায় ‘সকলের জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সমতাভিত্তিক গুণগত শিক্ষা নিশ্চিতকরণ এবং জীবনব্যাপী শিক্ষালাভের সুযোগ সৃষ্টির কথা বলা হয়েছে। এ লক্ষ্যমাত্রার আলোকে ২০৩০ সালের মধ্যে সকল শিশুর জন্য মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতকরণের সূচক নির্ধারণ করা হয়েছে। এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য সরকার উপবৃত্তি, চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি (পিইডিপি-৪), চাহিদাভিত্তিক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় উন্নয়ন প্রকল্প (১ম পর্যায়), চাহিদাভিত্তিক নতুন জাতীয়করণকৃত প্রাথমিক বিদ্যালয় উন্নয়ন প্রকল্প (১ম পর্যায়) এবং বিদ্যালয় বহির্ভূত ও ঝরে পড়া শিশুদের প্রাথমিক শিক্ষা প্রদান কার্যক্রমসহ আরো কিছু প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে প্রাথমিক শিক্ষায় ছাত্রী ভর্তির সংখ্যা ও হার ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়নের জন্য বাস্তবায়নাধীন বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষা ক্ষেত্রে সমান সুযোগ-সুবিধা প্রদান, ছাত্র-ছাত্রী ভর্তির হার বৃদ্ধি, শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা জোরদার করা হয়েছে। ফলে প্রাথমিক শিক্ষা ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে।
রাষ্ট্রীয় ও জনজীবনের সর্বক্ষেত্রে সম-অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং নারীর প্রতি সকল প্রকার বৈষম্য দূরীকরণের লক্ষ্যে সরকারের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় আইন ও বিধিমালা প্রণয়ন করার পাশাপাশি বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প, কর্মসূচি ও অন্যান্য কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। দুঃস্থ, সুবিধাবঞ্চিত, অবহেলিত, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ও এতিম জনগোষ্ঠীর কল্যাণে সরকার বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছে। বৈষম্য বিরোধী বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার সুষম উন্নয়ন নিশ্চিত করতে এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠায় আর্থিক খাতে সংস্কার, দুর্নীতি দমন ও প্রতিরোধমূলক দৃশ্যমান কার্যক্রমসহ বিভিন্ন সংস্কারমূলক পদক্ষেপ ইতোমধ্যে গ্রহণ করে তা বাস্তবায়ন শুরু করেছে।
দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে হলে দক্ষ জনগোষ্ঠী গড়ে তোলা আবশ্যক। বর্তমানে বাংলাদেশে বিপুল সংখ্যক কর্মক্ষম মানুষ রয়েছে। এ বিপুল কর্মক্ষম মানবসম্পদকে কাজে লাগিয়ে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড আহরণে বাংলাদেশ বেশ সুসংহত অবস্থানে রয়েছে। দেশের ১৫ বছর বয়সের ঊর্ধ্বে অর্থনৈতিকভাবে কর্মক্ষম শ্রমশক্তি মোট জনসংখ্যার এক তৃতীয়াংশরও বেশি। এই বিপুল কর্মক্ষম জনসম্পদকে কাজে লাগিয়ে জনভিত্তিক লভ্যাংশ আহরণে বাংলাদেশ সরকার নানা উন্নয়নমুখী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে। এ প্রেক্ষাপটে সরকার বিভিন্ন কর্মসূচির দ্বারা সুবিধাবঞ্চিত ও দরিদ্র জনসাধারণের জীবনমান উন্নয়নের মাধ্যমে মানবসম্পদ উন্নয়নের নিরন্তর প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। ফলে মানব উন্নয়ন সূচকে বাংলাদেশ ক্রমশ এগিয়ে যাচ্ছে। ‘মানব উন্নয়ন রিপোর্ট – ২০২৩/২৪’ অনুযায়ী ২০২২ সালে মানব উন্নয়ন সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ১২৯ তম। মানব উন্নয়ন সূচকের হিসেবে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশসমূহের মধ্যে শ্রীলঙ্কা (৭৮), মালদ্বীপ (৮৭) ও ভূটান (১২৫) বাংলাদেশের উপরে এবং ভারত (১৩৪), নেপাল (১৪৬), মায়ানমার (১৪৪), পাকিস্তান (১৬৪) এবং আফগানিস্তান (১৮২) বাংলাদেশের নিচে অবস্থান করছে।
জাতিসংঘের ই-গভর্নমেন্ট ডেভেলপমেন্ট ইনডেক্সে ও ই-পার্টিসিপেশন দুটি সূচকেই বাংলাদেশের অগ্রগতি হয়েছে।জাতিসংঘের ই-গভর্নমেন্ট ডেভেলপমেন্ট ইনডেক্সে (ইজিডিআই) বাংলাদেশ ১১ ধাপ এগিয়েছে। এছাড়া ই-পার্টিসিপেশন সূচকেও পাঁচ ধাপ উন্নীত হয়েছে বাংলাদেশের। দুই দশক তথা ২০০৩ সালের পর ই-গভর্নমেন্ট ডেভেলপমেন্ট ইনডেক্সে বাংলাদেশে এবার সর্বোচ্চ পয়েন্ট (০.৬৫৭০) অর্জন করেছে।জাতিসংঘের এ সূচক অনুযায়ী বিশ্বের ১৯৩ দেশের মধ্যে বাংলাদেশ এখন ১০০ তম অবস্থানে রয়েছে। ২০২২ সালে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১১১ তম। এছাড়া ২০২০ সালে বাংলাদেশ সূচকে ১১৯তম অবস্থানে ছিল।ইজিডিআই ছাড়াও ই-পার্টিসিপেশন সূচকে বাংলাদেশের অগ্রগতি হয়েছে। বর্তমানে এ সূচকে বাংলাদেশ ৭০তম অবস্থানে রয়েছে। ২০২২ সালে এ সূচকে ৭৫ তম অবস্থান ছিল। স্বল্পোন্নত দেশগুলোর মধ্যে এ বছর সর্বোচ্চ ইজিডিআই মান অর্জন করেছে বাংলাদেশ।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিভিত্তিক শিক্ষা বিশেষত চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রস্তুতি হিসেবে শিক্ষা ব্যবস্থাপনা ও শিক্ষা কার্যক্রমে আইসিটি এবং ডিজিটাল প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে কারিগরি শিক্ষাকে মূলধারায় অন্তর্ভুক্তকরণে বিভিন্ন পদক্ষেপ ইতোমধ্যে গ্রহণ করা হয়েছে। প্রচলিত ও গতানুগতিক শিক্ষাধারা থেকে বেরিয়ে এসে আধুনিক কর্ম ও বিশ্বের শ্রমশক্তির চাহিদা পূরণ করাই দেশের কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা ব্যবস্থার মূল লক্ষ্য। দেশের বিপুল সম্ভাবনাময় জনগোষ্ঠীকে দক্ষ শ্রমশক্তিতে রূপান্তরের লক্ষ্যে বিভিন্ন নীতি প্রণয়ন করে তা বাস্তবায়ন ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। তন্মধ্যে কারিগরি ও বৃত্তিমূলকশিক্ষাও প্রশিক্ষণ (টিভিইটি) উন্নয়ন কর্মপরিকল্পনা- ২০২০ প্রণীত হয়েছে, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের ‘খসড়া গবেষণা নীতিমালা – ২০২১’ অনুমোদিত হয়েছে এবং ন্যাশনাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ভোকেশনাল কোয়ালিফিকেশন ফ্রেমওয়ার্ক (এনটিভিকিউএফ) বাস্তবায়িত হচ্ছে।
বর্তমানে দেশে মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক অনুমোদিত সরকারি ও বেসরকারি (এমপিওভুক্ত) আট হাজারেরও বেশি মাদ্রাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ২০১০ সালে মাদ্রাসা শিক্ষায় ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল কম-বেশি ২৪ লাখ যা ২০২৪ সালে বৃদ্ধি পেয়ে ২৭ লাখ ৫৮ হাজার ৫০৪ জনে উন্নীত হয়েছে। মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের কর্মমুখি করার লক্ষ্যে যুগোপযোগী পাঠ্যসূচি প্রণয়ন করা হয়েছে। এছাড়াও, মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদেরকে কারিগরি শিক্ষায় দক্ষতা আনয়নের লক্ষ্যে ৫৩৯টি মাদ্রাসায় ভোকেশনাল কোর্স চালু করা হয়েছে। পূর্বে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা মেডিকেল, ইঞ্জিনিয়ারিং ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারত না, বর্তমানে ভর্তির সুযোগ রয়েছে।
সরকারি-বেসরকারি নানানমুখি উদ্যোগের ফলে দেশের মানব উন্নয়ন সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান দিন দিন উন্নীত হচ্ছে। জাতিসংঘের গবেষণা অনুসারে, বর্তমান বৈশ্বিক সংকট ৯০ শতাংশেরও বেশি দেশের ওপর প্রভাব পড়েছে। জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি(ইউএনডিপি) মানব উন্নয়ন সূচকে সুইজারল্যান্ড শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে। অন্যদিকে দক্ষিণ সুদান, চাঁদ ও নাইজারের অবস্থান সবার নিচে।২০২৪ সালের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মূল লক্ষ্যই ছিল বৈষম্যহীন নতুন বাংলাদেশ গড়ে তোলা। আর এজন্যই দেশের মানব উন্নয়নের মাধ্যমে বৈষম্যহীন নতুন বাংলাদেশ গড়তে সবাইকে সচেতন ও ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে হবে।

-পি. ফি.

0 Shares