ঢাকা : ব্র্যাক ব্যাংক রিডিং ক্যাফে ঢাকায় ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে লেখক হুমায়ূন আহমেদের বিখ্যাত উপন্যাস ‘কবি’ নিয়ে এক মনোরম আলোচনার আয়োজন করে।অনুষ্ঠানটি আগ্রহী পাঠক এবং সাহিত্যপ্রেমীদের একত্রিত করেছিল, যারা হুমায়ূন আহমেদ এবং তার ব্যতিক্রমী সাহিত্যকর্মের ব্যাপক প্রশংসা করেন।
১২জুন ২০২৩এর আলোচনায় অংশগ্রহণকারীরা সর্বসম্মতভাবে মতামত দিয়েছিলেন যে, হুমায়ূন আহমেদের ‘কবি’ উপন্যাসটি হলো নিজেকে আবিষ্কারের এক রোমাঞ্চকর যাত্রা।এই উপন্যাসে হুমায়ূন আহমেদ অত্যন্ত দক্ষতার সাথে এই চিন্তাধারাকে রূপায়িত করেছেন যে,কোনো ব্যক্তিই আসলে জন্মগতভাবে ততটা খারাপ নয়, যতটা তাকে প্রাথমিক দেখায় মনে হতে পারে।উপন্যাসের চরিত্রগুলো, বিশেষকরে আতাহার এবং সাজ্জাদ, তাদের অন্তর্নিহিতসত্তাকে বিরামহীনভাবে সন্ধান করতে থাকে, যা পাঠকদের গভীরভাবে কৌতূহলী করে তোলে।
চরিত্রগুলোর গভীরতা নিয়ে প্রশংসা করতে গিয়ে আলোচকরা বইটির শিরোনাম নিয়েও কথা বলেছেন। যদিও এই উপন্যাসের বর্ণনায় কবিতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে,তবুও চরিত্রগুলোর কাছে তাদের কাব্যিক ক্ষমতা অর্থপূর্ণজীবনের সন্ধানের চেয়ে কম গুরুত্বপূর্ণ—আলোচকরা উপন্যাসের এইদিকটির ওপর আলোকপাত করেছেন।
হুমায়ূন আহমেদের সাহিত্যকর্মকে রোমাঞ্চ সৃষ্টিকারী হিসেবে উল্লেখ করে উপস্থিত আলোচকরা তার অসাধারণ গল্প বলার ক্ষমতার কথা স্বীকার করেন।একজন পাঠক যখন তার বই পড়া শুরু করেন, তখন ঐ পাঠকের পক্ষে বইয়ের প্রথম পাতা থেকে শুরু করে বইটি শেষ না করা পর্যন্ত রেখে দেয়া অসম্ভব হয়ে পড়ে।পাঠকদের গল্পে বুঁদ করে রাখার ব্যাপারে হুমায়ূন আহমেদের এই অনন্য ক্ষমতা নিয়েও পাঠকরা নিজেদের মুগ্ধতা প্রকাশ করেন।
এরপর ব্র্যাক ব্যাংক রিডিং ক্যাফের সদস্যরা পরবর্তী মাসে কোন বই পড়বেন, সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেন।তারা ১৯৪৩সালে রাহুল সাংকৃত্যায়নের লেখা ২০টি ঐতিহাসিক কথা সাহিত্য-গল্প সংকলন ‘ভোলগা থেকে গঙ্গা’ নামক সাহিত্যের অনন্যসাধারণ সৃষ্টি পড়ার বিষয়ে সম্মতি দেন।
ব্র্যাক ব্যাংক রিডিং ক্যাফে সাহিত্যের প্রতি মানুষের ভালোবাসা বৃদ্ধি এবং একে অন্যের সাথে নিজেদের সম-সাহিত্যিক আগ্রহের মাধ্যমে যুক্ত হওয়ার ব্যাপারে প্রতিষ্ঠানটির পাঠকদের একটি ব্যতিক্রমধর্মি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।প্রতি মাসিক সমাবেশে এই ক্যাফের সদস্যরা সাহিত্যকর্মের গভীরতা অন্বেষণ এবং আগ্রহী পাঠকদের কাছ থেকে তাদের অনন্য অন্তর্দৃষ্টি শোনার লক্ষ্যে জড়ো হয়।
-প্রেস বিজ্ঞপ্তি