Home » জাতীয় » এমপি হিসেবে নয় সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে মানুষের পাশে থাকতে চাই -আদেল

এমপি হিসেবে নয় সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে মানুষের পাশে থাকতে চাই -আদেল

 

কিশোরগঞ্জ(নীলফামারী)প্রতিনিধি : সংসদ সদস্যতো দূরের কথা, নিবার্চিত হওয়ার পর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের দেখা পাওয়াই দুঃস্কর। যিনি যখন নিবার্চিত হন তিনিই ক্ষমতায় আসিন হয়ে ভুলে যান ভোটারদের অবদান। এঁটা নতুন নয় ।

কিন্তু নীলফামারী ৪ (সৈয়দপুর-কিশোরগঞ্জ )আসনের এমপি সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের আপন ভাগনে এবং নীলফামারী ৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আসাদুর রহমান ও মেরিনা দম্পত্তির ছেলে আহসান আদেলুর রহমান আদেল সম্পূর্ণ এর বিপরীত।

তিনি সংসদ সদস্য হয়েও গ্রামে গ্রামে গিয়ে সাধারণ মানুষের সাথে কথা বলছেন। শুনছেন তাদের বিভিন্ন সমস্যার কথা। ফলে সাধারণ মানুষ সরাসরি এমপির সাথে কথা বলতে পারছেন জানাতে পারছেন বিভিন্ন সমস্যার কথা আর সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিচ্ছেন সংসদ সদস্য।

বাহাগিলি ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা আজিজুল হক, ইয়াছিন আলী, একরামুল হক বলেন, বাহাগিলি বসুনিয়াপাড়া থেকে বাহাগিলি খামাতপাড়া পর্যন্ত দুই কিলোমিটার সড়ক চলাচলের অনুপোযোগী হওয়ায় সড়কটি সংস্কারের জন্য এমপির কাছে অনুরোধ করি। তাৎক্ষণিক তিনি গামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে সড়কটি সংস্কারের নির্দেশ দেন। এমনকি সড়কটি সঠিকভাবে সংস্কার হয়েছে কিনা সেজন্য গত বৃহস্পতিবার নিজে এসে পরিদর্শন করেন। এবং এলঅকার আরো কোন সমস্যা থাকলে অবগত করতে বলেন।

নীলফামারী ৪ আসনের সংসদ সদস্য আহসান আদেলুর রহমান আদেল বলেন, আমি সংসদ সদস্য হিসেবে নয় এই উপজেলার বাসিন্দা হিসেবে সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে মানুষের পাশে থাকতে চাই । গ্রামীণ মানুষের কাছাকাছি থেকে কিভাবে এলাকার সমস্যাগুলো চিহ্নিত করা যায় সেজন্য মাঝে মাঝে বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে জনগণের সাথে খোলামেলা কথা বলি। পাশাপাশি সরকারি বরাদ্দ সমূহ যাতে সঠিক বাস্তবায়ন হয় সেজন্য গ্রামের মানুষের সাথে কথা বলে প্রকল্প সিলেক্ট করি। এতে করে একদিকে নেতৃত্বের প্রতি যেমন বাড়বে ভোটারদের আস্থা তেমনি জনপ্রতিনিধিদের প্রতি তৈরী হবে মানুষের বিশ্বাস। তিনি আরো বলেন, আমি মোটরবাইকে করে কয়েকটি এলাকায় গিয়ে গ্রামীণ রাস্তা চলাচলের অনুপোযোগী দেখতে পেয়ে আমার ব্যক্তিগত তহবিল থেকে ৫ কোটি টাকা ব্যয় করে ৬ কিলোমিটার রাস্তা পাঁকা করণের প্রত্যয়ন দিয়েছি। এছাড়াও চলতি করোনা ভাইরাসে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার মানুষ করোনার টিকা গ্রহণে অনিহা প্রকাশ করছে। বাধ্য হয়ে প্রথম পর্যায়ের বরাদ্দের দুই হাজার টিকার ডোজ ডোমার উপজেলায় পাঠানো হয়েছে। টিকা গ্রহণের জন্য উপজেলা প্রশাসনের পাশাপাশি আমিও ব্যক্তিগত এবং দলীয়ভাবে সাধারণ মানুষকে বলছি ।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকতার্ আবু সফি মাহমুদ জানান, প্রথম পযার্য়ে কিশোরগঞ্জ উপজেলায় ৮ হাজার ৫৪০ টি করোনার(টিকা) ডোজ বরাদ্দ ছিল। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে টিকা শেষ করতে না পারায় বাধ্য হয়ে ২ হাজার ডোজ ডোমারে পাঠানো হয়েছে । তবে বর্তমানে মানুষের মাঝে টিকা নেয়ার আগ্রহ বাড়ায় দ্বিতীয় পযার্য়ে ৭০০ টিকার ডোজ নিয়ে আসা হয়েছে।r

0 Shares