Home » জাতীয় » নওগাঁয় প্রবীণদের চিত্ত বিনোদনের জন্য ব্যবস্থা করার দাবি

নওগাঁয় প্রবীণদের চিত্ত বিনোদনের জন্য ব্যবস্থা করার দাবি

মো.আককাস আলী,নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি:- নওগাঁয় প্রবীণদের জন্য চিত্র বিনোদনের ব্যবস্থা করার জোর দাবি প্রবীণ হিতৈষীদের। ১ অক্টোবর বিশ্ব প্রবীণ দিবস পালিত হয়েছে। সারা বিশ্বে আজ দিবসটি পালিত হলেও গ্রামগঞ্জে এ দিবসের প্রচারণা না থাকায় প্রবীণদের কাছে এ দিবসের গুরুত্ব নেই বললেই চলে। বর্তমানে নওগাঁ জেলায় প্রবীণরা নানা সমস্যায় জর্জরিত। দিনের পর দিন তাদের সমস্যা বেড়েই চলছে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে গেছে যে, সুস্থ পরিবেশ না থাকায় প্রবীণরা বর্তমানে ঘর ছাড়া আর বাইরে তেমন বের হতে পারছেন না। এ সব সমস্যা সমাধানে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে এক্ষুণি উদ্যোগ গ্রহণ করা না হলে পরিস্থিতি আরও জটিল আকার ধারণ করবে। প্রবীণরা বলেন, এলাকায় একটি হলেও চিত্ত বিনোদনের স্থান গড়ে তোলা হোক। এক সময়ের ঘনিষ্ঠ নিজ পরিবার ও সমাজ তাদের বোঝা মনে করে এড়িয়ে চলতে থাকে। পরিবার ও সমাজে তাদের এই অসহায়ত্ব উপলব্ধি করার কেউ থাকে না।
প্রবীণদের অন্যতম প্রধান সমস্যা হলো চিত্ত বিনোদনের সমস্যা। বড় বড় শহরে পার্কের ব্যবস্থা থাকলেও উপজেলা সদর বা ইউনিয়ন পর্যায়ে ওই ধরনের ব্যবস্থা নেই বললেই চলে। অথচ একটি পার্ক বা বিনোদনের স্থান থাকলে সেখানে প্রবীণরা প্রতিদিন মিলিত হতো এবং তাদের সমস্যা ও সুখ দুঃখ ভাগ করে নেয়ার সুযোগ হতো। বর্তমানে বাজারগুলোর রাস্তার পাশে মোড়ে মোড়ে চায়ের দোকানে প্রবীণদের সময় কাটানোর একমাত্র অবলম্বন স্থল হয়ে উঠেছে। তবে সেখানেও প্রতিনিয়ত দেখা দেয় বিড়ম্বনা। প্রবীণরা চায়ের দোকানে বসে থাকলে অল্প বয়সী বা মধ্য বয়সীরা দোকানে আসতে চায় না। এতে চা দোকানিরা প্রবীণদের ব্যাপারে তাদের আপত্তি জানান। এ ব্যাপারে প্রবীণ ব্যক্তিত্ব রামপিরিত রবিদাস বলেন, প্রবীণ হওয়ায় তাদের সাথে সমাজের লোকজন তেমন কথা বলতে চায় না। তাই ঘরে বসে থাকতে হয়। প্রবীণরা দাবি করেন দ্রুত গ্রামে গ্রামে একটি সমৃদ্ধ লাইব্রেরি স্থাপন ও কয়েকটি জাতীয় পত্রিকা বরাদ্দের ব্যবস্থা করা হোক। এতে আমাদের মত প্রবীণদের অসহায়ত্বে বিড়ম্বনা থেকে কিছুটা পরিত্রাণ পাওয়া যেত। এ ব্যাপারে সাংবাদিক,কবি মো.আককাস আলী বলেন, আজকের তরুণ আগামী দিনে প্রবীণে পরিণত হবে। তাই প্রবীণদের সমাজে তাদের সঠিকভাবে মূল্যায়ণ করতে হবে। কবি ও গবেষক আফজাল হোসেন বলেন, প্রবীণ শব্দটি একটি স্পর্শকাতর শব্দ। তাদের যথাযথভাবে চলাফেরা ও বিনোদনের জন্য যা যা করা দরকার সেই সব ব্যবস্থা করতে হবে। এমপি ছলিম উদ্দীন তরফদার সেলিম বলেন,প্রবীণরা আছেন বলে আমরা তাদের নিকট থেকে অনেক কিছু শিখতে পারছি। অর্থ প্রাপ্তি সাপেক্ষে প্রবীণদের বিনোদনের জন্য একটি পার্ক স্থাপন করা হবে।

0 Shares