Home » প্রধান খবর » ফখরুলের মুখে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ‘ভূতের মুখে রাম নাম’: ওবায়দুল কাদের

ফখরুলের মুখে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ‘ভূতের মুখে রাম নাম’: ওবায়দুল কাদের

নিউটার্ন প্রতিবেদক : বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মুখে গণমাধ্যমের স্বাধীনতার কথা ‘ভূতের মুখে রাম নাম’ ছাড়া কিছু নয় বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ২৩ মে সোমবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, ‘বিএনপির শীর্ষ নেতারা দুর্নীতি ও এতিমের অর্থ আত্মসাতের দায়ে সাজাপ্রাপ্ত হওয়ায় বিএনপি এখন দেউলিয়া ও দিশেহারা হয়ে পড়েছে। জনবিচ্ছিন্ন বিএনপির একমাত্র অস্ত্রই হলো মিথ্যাচার ও গুজব।’ ‘দেশবাসী ভুলে যায়নি, বিএনপি-জামাত জোটের শাসনামলে (২০০১-২০০৬) বিবিসির সাংবাদিক মানিক চন্দ্র সাহা, খুলনা প্রেসক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক জন্মভূমি পত্রিকার সম্পাদক হুমায়ুন কবির বালুসহ ১৬ জন সাংবাদিককে হত্যা করা হয়েছিল। ওই সময়ে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ৫০০টিরও বেশি মামলা এবং ৮০০ হামলা হয়েছিল। এমনকি ব্রিটিশ টেলিভিশন চ্যানেল ৪-এর সাংবাদিক লিওপোল্ড ব্রুনো সরেন্তিনো, জেইবা মালিকসহ কয়েকজন বিদেশি সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করে নির্যাতন চালানো হয়েছিল।’

বিএনপির শামসনামলে জঙ্গি হামলার ঘটনায় উদ্দেশ্যেপ্রণোদিতভাবে অনেক সাংবাদিককে আসামি করা হয়েছিল, উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এ কারণে রিপোর্টার উইদাউট বর্ডারস বিএনপির শাসনামলে বাংলাদেশকে সাংবাদিকদের জন্য পৃথিবীর সবচেয়ে বিপজ্জনক রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করেছিল।’ বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, ‘আমরা মির্জা ফখরুল ইসলামদের মর্মবেদনা বুঝি। রাজনৈতিক ব্যর্থতার ভারে ন্যুব্জ বিএনপির কাছে স্বাধীনতার অর্থ কী তা দেশবাসী জানে। বন্দুকের নলের মুখে গণমাধ্যমকর্মীদের জিম্মি করে রেডিও-টেলিভিশন ভাষণে নিজেকে অবৈধভাবে রাষ্ট্রপতি ঘোষণার মধ্য দিয়ে অসাংবিধানিক পন্থায় রাষ্ট্র ক্ষমতাদখলকারী স্বৈরাচার জিয়াউর রহমানের হাতে প্রতিষ্ঠিত দল বিএনপি নেতাদের মুখে গণমাধ্যমের স্বাধীনতার কথা মানায় না।’

‘আজকে তারা বাকস্বাধীনতার কথা বলেন! স্বাধীনতা তাদেরই থাকে, যারা দায়িত্বশীল নিয়মসিদ্ধ আচরণ করে ও স্বীয় কর্তব্য সম্পর্কে সচেতন থাকে। একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে স্বাধীনতার নেতৃত্বাদানকারী সংগঠন আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও গুজব ছড়ানো এবং জাতীয় ঐক্যের মূল ভিত্তি মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করে বিএনপি সব সময় বাকস্বাধীনতার অপব্যবহার করে আসছে।’ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি নেতাদের কাছে যদি প্রশ্ন করি, বিএনপি ক্ষমতায় থাকতে এ দেশে গণমাধ্যমের বিকাশ, উৎকর্ষ সাধন এবং সাংবাদিকদের কল্যাণ ও স্বার্থ সংরক্ষণে কী করেছে? বরং তারা গণমাধ্যমের বিকাশ রোধে এবং সাংবাদিকদের কণ্ঠরোধে রাষ্ট্রক্ষমতার অপব্যবহার করেছে। দেশবাসী তা ভুলে যায়নি।’

গণমাধ্যম নিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্য গণমাধ্যম ও সাংবাদিকতাবিরোধী নতুন ষড়যন্ত্রের বহিঃপ্রকাশ, মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমরা বিএনপি নেতাদের প্রতি আহ্বান জানাবো, আপনারা মিথ্যাচার ও অপপ্রচারের পথ পরিহার করে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় আস্থা রেখে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করুন।’ ‘আপনারা ষড়যন্ত্রের পথ পরিহার করে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করলে বাংলাদেশের অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির পথ প্রতিবন্ধকতা মুক্ত হবে। অন্যথায় আপনাদেরকে মারাত্মক বিপর্যয়ের সম্মুখীন হতে হবে।’ গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর চিরাচরিত মিথ্যাচার ও দূরভিসন্ধিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন, অভিযোগ করে এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান ওবায়দুল কাদের।
নিউটার্ন/এআর

0 Shares