Home » জাতীয় » শিকল বন্দি জীবন যে কারণে

শিকল বন্দি জীবন যে কারণে

 

আসাদ হোসেন রিফাতঃ

লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার সিঙ্গীমারী গ্রামের অসহায় দিন মজুর জহুরুল ইসলাম ( ৭২) নামের এই ব্যক্তি শৈসব জীবন থেকে একজন মুসলিম পরেহাজগার ও পাঞ্জেগানা নামাজি ব্যক্তি ছিল। গত প্রায় ২ বছর যাবত শিকলবন্দি জীবন কাটাচ্ছে, আর দিবানিশি প্রহর গুনছে কবে অবসান ঘটবে তার শিকল বন্দি জীবনের।
গতকাল সরেজমিনে জানা গেছে প্রায় ২ বছর পূর্বে হাতীবান্ধা উপজেলার সিঙ্গিমারী গ্রামের এক সময়ের সুফি মুসলিম ও পরেহাজগার পাঞ্জেগামা নামাজি ব্যক্তি ছিলেন জহুরুল ইসলাম। প্রায় ২ বছর পূর্বে আকর্ষিক ভাবে মস্তিস্কের বিকৃতি ঘটে। ২ ছেলে ৩ মেয়ে ও স্ত্রীসহ ৭ সদস্যের পরিবারকে নিয়ে মজুরি হাজিরায় সংসার চলে আসছিল জহুরুলের । পরর্বতীতে পর্যায় ক্রমে ২ ছেলে ও ৩ মেয়ে সকলেই বিবাহের পর অন্যত্র আলাদা সংসার পেতে বসবাস করছে । এমতাবস্হায় ভাগ্যের নির্মম পরিহাস প্রায় ৪ বছর পূর্বে জহুরুলের বৃদ্ধা স্ত্রী শরীফা বেগম আকর্ষিক ভাবে প্যারালাইসে আক্রান্ত হয়ে ১ হাত ১ পা অচল হয়ে পরে।অভাব আর অনটনের সংসারে অর্থাভাবে স্ত্রীর চিকিৎসা করতে ব্যর্থ হওয়ার পরে দৃর্ভোগের শিকার হয় জহুরুল। দুর্ভোগ আর দুচিন্তায় দিন কাটে না, বছর ঘুড়ে আসতে না আসতে জহুরুলের নিজেরও মস্তিস্ক বিকৃতি ঘটে।শুরু হয় সীমাহিন দুর্ভোগ ও মানবেতর জীবন যাপন এঅবস্হা দেখে নিরুপায় হয়ে দিন মজুর ছোট ছেলে শহিদুল ইসলাম একজন রাজ মিস্ত্রী। ঠিকমত দুবেলা খাবার জুটে না তার নিজের অস্বচ্চল সংসারে অসুস্হ্য বাবা ও মাকে খাওয়া পড়ানোর দায়িত্ব নিয়ে বিপাকে পড়েছে। এমতাবস্হায় অসুস্হ্য বাবা ও মায়ের চিকিৎসার জন্য অর্থ পাবে কোথায়? অপরদিকে চিকিৎসা করতে না পারায় পাগল বাবাকে আটকানো ভীষণ দায় হয়ে যায়। পাগল বাবা খোলাবস্হায় একটু সুযোগ পেলেই অজানার উদ্দেশ্যে চম্পট হয়ে যায় যা পরবর্তীতে খুঁজে পাওয়াই কঠিন হয়ে যায়। তাইতো দিনের বেলা বাবাকে গাছের সাথে ছিকল বেধে রাখা হয়।যেহেতু একটু খুলে দিলেই নিখোঁজ হয়ে যায়। এর আগে একাধিক বার নিখোঁজ হয়েছিলেন। এমনিঅবস্তায় আর কতদিন দুর্ভোগ পোহাতে হবে কে জানে। অবিশ্বাষ্য হলেও সত্য যে এলাকায় অনেক অর্থ সম্পদশালী ব্যক্তি থাকলেও আজও পর্যন্ত কোন সম্পদশালী দান শীল ব্যক্তি কিংবা সরকারি ভাবে সাহার্যের হাত বারিয়ে কেউ জহুরুলের অসহায় পরিবারের পাশে দাড়ায়নি। জহুরুলের পঙ্গু স্ত্রী শরীফা বেগম কান্নায় ভেঙ্গে পরে বিষয়টি এ প্রতিনিধিকে জানায়। সমাজের দয়াবান দের অপেক্ষায় চেয়ে সমস্ত পরিবারের।

 

0 Shares