Home » সারাদেশ » ঈদুল আজহা উপলক্ষে প্রায় সাড়ে ৪ লাখ কোরবানির পশু প্রস্তুত

ঈদুল আজহা উপলক্ষে প্রায় সাড়ে ৪ লাখ কোরবানির পশু প্রস্তুত

 

 

মো.আককাস আলী, নওগাঁ : কোরবানি ঈদের আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। আসন্ন ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে নওগাঁয় প্রায় সাড়ে ৪ লাখ পশু প্রস্তুত করেছেন খামারিরা। জেলার ১১টি উপজেলায় মোট ২০ হাজার ৪০২ জন খামারি এসব পশু লালন-পালন করেছেন। কোরবানির পশু আমদানির প্রয়োজন নেই, নওগাঁয় পর্যাপ্ত পশু আছে। জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. মহির উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, জেলায় ১১টি উপজেলা ভিত্তিক হৃষ্ট-পুষ্ট কোরবানির পশুর সংখ্যা হচ্ছে- নওগাঁ সদর উপজেলায় ২ হাজার ১৩৪টি খামারে ষাঁড় ৬ হাজার ৬৬৯ টি, বলদ ২হাজার ৮৬৯ টি, গাভি ১ হাজার ৮৫১ টি, ছাগল ২৭ হাজার ৬৫৮ টি ও ভেড়া ৩ হাজার ৩৭৩টিসহ কোরবানির জন্য প্রস্তুত ৪২ হাজার ৪২০টি পশু।

রানীনগর উপজেলায় ১ হাজার ৮৬৫টি খামারে ৭ হাজার ১৮৮টি ষাঁড়, ১ হাজার ৬০২টি বলদ, ৩ হাজার ২৫১টি গাভি, ৮৯টি মহিষ, ২৬ হাজার ৮৬৩টি ছাগল ও ২ হাজার ৭৪৮টি ভেড়াসহ কোরবানির জন্য প্রস্তুত ৪১ হাজার ৭৪১টি পশু।

আত্রাই উপজেলায় ৭০১টি খামারে ৩ হাজার ৫৬৩টি ষাঁড়, ৯২১টি বলদ, ২ হাজার ৯৯৫টি গাভি, ১৫ হাজার ৫৭৯টি ছাগল ও ১ হাজার ৭২৫টি ভেড়াসহ কোরবানির জন্য প্রস্তুত ২৪ হাজার ৭৮৩টি পশু।

বদলগাছি উপজেলায় ১ হাজার ২১৬টি খামারে ৪ হাজার ৩৫৬টি ষাঁড়, ১ হাজার ১৬৭টি বলদ, ২ হাজার ৭৩০টি গাভি, ২২ হাজার ১৭৯টি ছাগল ও ১ হাজার ৯৪৭টি ভেড়াসহ কোরবানির জন্য প্রস্তুত ৩২ হাজার ৩৭৯টি।

মহাদেবপুর উপজেলায় ১৪৪টি খামারে ৮ হাজার ৯৩৯টি ষাঁড়, ৪১৫টি বলদ, ২ হাজার ৯৬৫টি গাভি, ২৪ হাজার ৬৮৯টি ছাগল ও ৩ হাজার ৬২১টি ভেড়াসহ কোরবানির জন্য প্রস্তুত ৪২ হাজার ৫৮৯টি পশু।

পত্নীতলা উপজেলায় ১ হাজার ৭২০টি খামারে ৭ হাজার ৬৩৩টি ষাঁড়, ১ হাজার ৯৯২টি বলদ, ৩ হাজার ২৭৭টি গাভি, ৩০ হাজার ৪৮৮টি ছাগল ও ৩ হাজার ৪২০টি ভেড়াসহ কোরবানির জন্য প্রস্তুত ৪৬ হাজার ৮১০টি পশু।

ধামইরহাট উপজেলায় ১ হাজার ৯১৮টি খামারে ৬ হাজার ৮২০টি ষাঁড়, ১ হাজার ৭৫২টি বলদ, ৮৫১টি গাভি, ২৪ হাজার ৭২২টি ছাগল ও ৩ হাজার ৪৫০টি ভেড়াসহ কোরবানির জন্য প্রস্তুত ৪৪ হাজার ৮২৫টি পশু।

সাপাহার উপজেলায় ২ হাজার ২৫৬টি খামারে ৩ হাজার ১৮৭টি ষাঁড়, ২ হাজার ৪৭৯টি বলদ, ৪৬৫টি গাভি, ৪টি মহিষ, ১ হাজার ৭২৩টি ছাগল ও ১ হাজার ৮২৮টি ভেড়াসহ কোরবানির জন্য প্রস্তুত ২৮ হাজার ৭৬৬টি পশু।

পোরশা উপজেলায় ১ হাজার ৬৫০টি খামারে ৩ হাজার ৮৮৬টি ষাঁড়, ১ হাজার ৪৯৪টি বলদ, ৭ হাজার ১৫৮টি গাভি, ১ হাজার ২৯৪টি মহিষ, ১৬ হাজার ২২৯টি ছাগল ও ৩ হাজার ৩৭৫টি ভেড়াসহ কোরবানির জন্য প্রস্তুত ৩৩ হাজার ৪৩৬টি পশু।

নিয়ামতপুর উপজেলায় ১২৭টি খামারে ৫ হাজার ৭৭২টি ষাঁড়, ১ হাজার ৭২২টি বলদ, ১ হাজার ৬৯৩টি গাভি, ৯টি মহিষ, ২ হাজার ১৪৪টি ছাগল ও ১ হাজার ৮৫৬টি ভেড়াসহ কোরবানির জন্য প্রস্তুত ৩২ হাজার ৯৬টি পশু।

মান্দা উপজেলায় ৪৩১টি খামারে ৯ হাজার ৭৯৭টি ষাঁড়, ৪ হাজার ৫৪১টি বলদ, ৮ হাজার ২২১টি গাভি, ৬২টি মহিষ, ৩১ হাজার ৯৭৫টি ছাগল ও ৮ হাজার ৬৩২টি ভেড়াসহ কোরবানির জন্য প্রস্তুত ৬৩ হাজার ২২৮টি পশু।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. মহির উদ্দিন জানান, লালিত-পালিত পশুর মধ্য রয়েছে ৬৭ হাজার ৮১০টি ষাঁড়, ২৪ হাজার ৬৪৪টি বলদ, ৪৬ হাজার ২৫৭টি গাভি, ২ লাখ ৫৮ হাজার ৬২৯টি ছাগল এবং ৩৫ হাজার ৯৭৫টি ভেড়া এবং ১ হাজার ৪৮৮টি মহিষ।

তিনি আরও বলেন, এ জেলায় প্রয়োজনের অতিরিক্ত কোরবানির পশু রয়েছে। এ কারণে বাইরে থেকে কোরবানির পশু আমদানির প্রয়োজন নেই বলেও জানান এই কর্মকর্তা।

0 Shares