ঢাকা :
পানি সম্পদ এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, পরিবেশ রক্ষা ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য টেকসই শাসন ব্যবস্থা জরুরি। জ্বালানি ক্ষেত্রে প্রকল্প গ্রহণের সময় সম্ভাব্যতা যাচাই করে পরিবেশবান্ধব, জনবান্ধন ও প্রকল্পের সামাজিক প্রভাব বিবেচনা করতে হবে।
উপদেষ্টা আজ রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ‘সাসটেইনেবিলিটি গর্ভানেন্স অব চায়না’স এনার্জি ইনভেস্টমেন্ট ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক ওয়ার্কশপে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন ।
উপদেষ্টা বলেন, চীন বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন অংশীদার। দু’দেশের মধ্যে দীর্ঘদিনের কূটনৈতিক সম্পর্ক বিরাজমান। তারা বাংলাদেশের অবকাঠামোগত উন্নয়ন, আর্থসামাজিক উন্নয়ন, নদী দূ্ষণ এবং পরিবেশ দূষণে আর্থিক ও কারিগরি সহযোগিতা করে আসছে।
উপদেষ্টা আরো বলেন, বাংলাদেশে গ্রীণ বিল্ডিংয়ের প্রচলন নেই। গ্রীণ টেকনোলজি ব্যবহার করে গ্রীণ বিল্ডিং বানাতে হবে। ২০৩০ সালের মধ্যে ৩০ শতাংশ নবায়নযোগ্য জ্বালানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এসময় তিনি বাংলাদেশের সর্বত্র পরিচ্ছন্ন বায়ু, উন্নত বর্জ্যব্যবস্থাপনা এবং টেকসই উন্নয়নে চীনের প্রয়োজনীয় বিনিয়োগ ও প্রযুক্তিগত সহায়তার অনুরোধ জানান।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বদরুল আমিনের সভাপতিত্বে উপ- উপাচার্য (প্রশাসন), ড. সায়েমা হক ও বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের চেয়ারম্যান জালাল আহমেদ অনুষ্ঠিত কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন।
-ত.বি.