Home » জাতীয় » ফাগুনের আনান্দ ভ্রমণ হতে পারে পাহাড় চূড়া মেঘের রাজ্যে, সাজেক ভ্যালিতে

ফাগুনের আনান্দ ভ্রমণ হতে পারে পাহাড় চূড়া মেঘের রাজ্যে, সাজেক ভ্যালিতে

 

লোকমান হোসেন, খাগড়াছড়ি : এই ফাগুনের মাসে শীত ও মেঘমুক্ত আকাশের মনমুগ্ধকর সাজেকের সকাল দেখা সহ খাগড়াছড়ি আলুটিলার গুহা, রিচাং ঝর্ণা, জেলা পরিষদ পার্ক সহ ভাইবোনছড়া মায়াবিনী লেক দেখতে সারা বাংলার হাজারও পর্যটকের আগমন পাহাড় ঘেরা এই সুন্দর সবুজেঘেরা খাগড়াছড়িতে।

আরও পড়ুন :

খাগড়াছড়ি’র মহালছড়িতে মহান একুশে ফেব্রুয়ারী উপলক্ষে,বীর ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ

খাগড়াছড়ি’র মহালছড়ি কাটিন টিলা থেকে চোংরাছড়ি যাতায়াত রাস্তা

সকল পর্যটনের সেরা পর্যটন স্পষ্ট ও পাহাড়ের চূড়ার মেঘময় সাজেকের অবস্থান রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলায় অবস্থিত, যাতায়াত ও সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার একমুখী করন হওয়ায়। এই খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা দিয়েই আসা-যাওয়া করতে হয়, সড়ক পথ খাগড়াছড়ি ছাড়া অন্য কোন উপায় নেই।

 

খাগড়াছড়ি প্রতিদিন সকাল বেলা ঢাকা সহ সারা দেশ থেকে আসা নাইট কোচের সকাল, হাজার হাজার ভ্রমন পিয়াসু ভাই বোনদের উপস্থিতি স্মরণ করিয়ে দেয় সকলের স্বপ্নের মত দেখা সাজেকের কথা। স্বপ্ন জাগীয়ে মনে দোলা দিয়ে বলে, চলো মেঘ মেলা ঘুরে আসি ওদের সাথে একবার স্বপ্ন ভেলী আকাশ ছোয়া সাজেকের পাহাড় চূড়ায়।

সাজেকের প্রধান আক্রশন হলো সকাল বেলার সূর্যদয় ও বিকাল বেলার সূর্যস্তয় সহ আরো আছে, সাজেকের পাহাড় থেকে আকাশের মেঘ ছোয়ার মত মজার যেন আর কিছু নাই।

আর সাজেক ভ্রমন পর্যটকদের জন্য খাগড়াছড়ি বাস মালিক সমিতি ও শান্তি পরিবহন মালিক সমিতির সহ সকল নাইট কোর্চের মালিকরাও গাড়ীর সংখ্যা বাড়িয়েছেন, যাতে করে ঢাকা সহ সারাদেশের পর্যটক ভাই বোনদের যাতায়াতে কোনরকম সমস্যা না হয়। এ দিকে খাগড়াছড়ি’র সেনাবাহিনী থেকে শুরু করে প্রশাসনের সকল স্তরে রয়েছে নিরাপত্তা নিশ্চিতের ব্যবস্থা।

খাগড়াছড়ি উচ নীচু অসংখ্য ঢেউ খেলানোর মত পাহাড়ের বুক চিরে আকা বাকা রাস্তা চলে গেছে দিগ-দিগন্ত হয়ে পাহাড় সীমানা ছাড়িয়ে সাজেকের পথে। সাজেকের পথে পথে প্রকৃতির অপরুপ সেীন্দর্য়্য যে কোন পর্যটকদের মন কেরে নিবে এ নীলা ভুমির সেীন্দর্য্য। তাইতো সারা বাংলার আনাচে কানাচের হাজারো পর্যটক ভীর জমেছে খাগড়াছড়ি শহরে।

খাগড়াছড়িতে সাজেক ছারাও ভ্রমনের জন্য স্থানগুলো হলো, খাগড়াছড়ি আলুটিলা পর্যটন স্পট ও গুহা, খাগড়াছড়ি রিচাং ঝর্ণা, খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ পার্ক ও ঝুলন্ত ব্রিজ.খাগড়াছড়ি চেংগী ব্রিজ আনসার ক্যাম্প হেরিটেস্ক্য পার্ক, খাগড়াছড়ির মাইসছড়ি থলিপাড়া দেবতা পুকুর, ভাইবোনছড়ার মায়াবিনী লেক, খাগড়াছড়ি’র পানছড়ি রাবার ডেম, অরণ্য কুটির।

“যাতায়াত সুবিধার্থে পরিচিতি”

যে ভাবে যাবেন পর্যটন স্পট ও স্থান গুলোতে, আপনারা বাংলার যে কোন স্থান থেকেই আসুন না কেন, প্রথমে খাগড়াছড়ি শহরের মৌক্ত মঞ্চে বা শাপলা চত্বরে নামতে হবে।

খাগড়াছড়ি থেকে আপনাদের ইচ্ছামত ছোট যান ও বড় যান, যেমন সিএনজি, মাহিন্দ্র, পিকাপ, চাঁন্দের গাড়ীতে করে যেতে পারেন আপনাদের ইচ্ছা মত ভ্রমনে পর্যটন স্পট গুলোতে। ভাড়াভিত্তিক চালিত এসব গাড়ীর কাউন্টারে, ভাড়ার চার্ট দেওয়া আছে, দেখে নিবেন।

উল্লেখ্য নিজস্ব বা ব্যক্তিগত গাড়ী রেখে,স্থানীয় ভাড়ার গাড়ী ব্যবহার করতে পারেন শুধু সাজেকের জন্য ( নিজের জান মালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে) নিরাপদ  ভ্রমণের জন্য।

তার পরেও কারোর কোন সমস্যা হলে স্থানীয় প্রশাসন ও পৌরসভার সহায়তা নিতে ভুলবেন না, নিকটবর্তী চেনা জানা লোক থাকলে তাদের সহায়তা নিন। যারা নিজস্ব গাড়ী আনতে চান, নিয়ে আসেন কিন্তু ভালো দক্ষ চালককের প্রয়োজন অবশ্যই আছে।

প্রয়োজনে সমসাময়িক পরামর্শের জন্য:- সাংবাদিক মোঃ লোকমান হোসেন খাগড়াছড়ি, মোবাইল ০১৫৫০৬০৫১৪৪। তবে করোনা’কালীন সময়ে পরিবেশ পরিস্থিতি শিথিল থাকলেও মাস্ক সহ অন্যান্য শর্তাবলী সম্পর্কে সচেতন হবেন।r

0 Shares