Home » জাতীয় » বঙ্গবন্ধুর দেয়া সংবিধানের চার মূলনীতি সমাজ ও রাষ্ট্রীয় জীবনের মূল ভিত্তি — ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী

বঙ্গবন্ধুর দেয়া সংবিধানের চার মূলনীতি সমাজ ও রাষ্ট্রীয় জীবনের মূল ভিত্তি — ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী

ঢাকা :
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সংঘটিত অপরাধ প্রতিকারে জনসাধারণের অভিযোগ গ্রহণের সুযোগ সৃষ্টির উদ্যোগ নেয়া হবে। বিটিআরসির মাধ্যমে এ ধরনের ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আমরা কাজ করছি। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর দেয়া সংবিধানের চার মূলনীতি সমাজ ও রাষ্ট্রীয় জীবনের মূল ভিত্তি। মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তি ও তাদের এদেশীয় দোসরদের একাত্তর পরবর্তীতেও সাম্প্রদায়িকতা, সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের ষড়যন্ত্র থেমে থাকেনি। মন্ত্রী অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তিকে সমন্বিত উদ্যোগে রাজেনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
মন্ত্রী আজ ঢাকায় একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির আহ্বায়ক শহীদ জননী জাহানারা ইমামের ৯৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি আয়োজিত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মৌলবাদীদের সাম্প্রদায়িক জিহাদ প্রতিরোধ শীর্ষক এক আন্তর্জাতিক ওয়েবিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ আহ্বান জানান।
নির্মূল কমিটির সভাপতি লেখক-সাংবাদিক শাহরিয়ার কবিরের সভাপতিত্বে ওয়েবিনারে ধারণাপত্র পাঠ করেন নির্মূল কমিটির বহুভাষিক সাময়িকী জাগরণ-এর যুগ্ম সম্পাদক অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট লেখক মারুফ রসুল। সম্মানিত আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নির্মূল কমিটির কেন্দ্রীয় নেতা ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ, টুয়েন্টি ফার্স্ট সেঞ্চুরি ফোরাম ফর হিউম্যানিটি তুরস্ক সাধারণ সম্পাদক লেখক ও চলচ্চিত্রনির্মাতা শাকিল রেজা ইফতি, সর্ব ইউরোপীয় নির্মূল কমিটির সভাপতি সমাজকর্মি তরুণ কান্তি চৌধুরী, সুইডেনে অবস্থানকারী নির্মূল কমিটির কেন্দ্রীয় নেতা ও জাগরণ-এর যুগ্ম সম্পাদক লেখক সাংবাদিক সাব্বির খান, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক ব্লগার ও অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট লেখক সুইজারল্যান্ড প্রবাসী অমি রহমান পিয়াল, জাগরণ হিন্দি বিভাগের সম্পাদক ভারতের সমাজকর্মি তাপস দাস, ভারত থেকে অনলাইন একটিভিস্ট আইনজীবী সালমান আখতার, নির্মূল কমিটি আইটি সেল সভাপতি শহীদ সন্তান আসিফ মুনীর তন্ময়, ব্লগার এন্ড অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট নেটওয়ার্ক-এর সভাপতি ড. কানিজ আকলিমা সুলতানা, কলামিস্ট ও অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট সমাজকর্মি লীনা পারভীন ও নির্মূল কমিটির আইন সহায়ক কমিটির সদস্য এডভোকেট নাসির মিঞা।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেই নয় আর্থিক ক্ষেত্রেও ডিজিটাল অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে উল্লেখ করে বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বিশেষ করে ফেসবুক ও ইউটিউব তাদের কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড মেনে চলে কিন্তু আমেরিকার কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড আমাদের সাথে মিলে না। সাম্প্রদায়িক অপশক্তি যাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে আর কোন নাসিরনগর কিংবা রামুর ঘটনার পুণরাবৃত্তি ঘটাতে না পারে সে ব্যাপারে আমরা কাজ করছি। অপপ্রচার কিংবা গুজবের বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে কেউ জানালে আমি আশা করছি ফেসবুকের সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষকে জানাতে পারব- প্রতিকার পাবো। ২০১৮ সালে ফেসবুকের সাথে বার্সিলোনায় দ্বিপাক্ষীক বৈঠকের ধারাবাহিকতায় নিয়মিত যোগাযোগ তারা আমাদের সাথে রক্ষা করে যাচ্ছে। আগে তাদেরকে অনুরোধ করলে কোন কন্টেন্ট সরানোর ব্যাপারে খুব কমই সহযোগিতা করেছে কিন্তু এখন আমরা যথেষ্ট সহযোগিতা পাচ্ছি বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, দেশে প্রায় পাঁচ কোটি ফেসবুক ব্যবহারকারীর মধ্যে আনুমানিক চার লাখ একাউন্ট ব্যবসার সাথে জড়িত। বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তাফা জব্বার বলেন, একাত্তরে আমরা একটা সংগ্রাম শেষ করেছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার যে লড়াইটা চলছে তা স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ থেকে চালিয়ে যেতে হবে। একাত্তরে হারিনি এখনও হারবো না।
ওয়েবিনারের সভাপতির প্রারম্ভিক বক্তব্যে নির্মূল কমিটির সভাপতি লেখক সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির ৯৩তম জন্মবার্ষিকী উদযাপনকালে শহীদ জননী জাহানারা ইমামের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবদেন করে বলেন, ‘তিন দশকেরও অধিককাল পূর্বে আমরা শহীদ জননী জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে যে অভূতপূর্ব নাগরিক আন্দোলনের সূচনা করেছিলাম তার দু’টি প্রধান উদ্দেশ্য ছিল; ৭১-এর গণহত্যাকারী ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এবং স্বাধীনতাবিরোধী গণহত্যাকারীদের ধর্মের নামে রাজনীতি নিষিদ্ধ করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ধর্মনিরপেক্ষ কল্যাণ রাষ্ট্র ও সমাজ গড়ে তোলা। -ত.বি.

0 Shares