Home » সারাদেশ » বেনাপোল বন্দরে হামলা ভাংচুর- আহত ১০, সড়ক অবরোধ

বেনাপোল বন্দরে হামলা ভাংচুর- আহত ১০, সড়ক অবরোধ

বেনাপোল প্রতিনিধি:
অধিপত্ত বিস্তার সহ বেনাপোল স্থলবন্দর হ্যান্ডলিং শ্রমিক বোমা বিস্ফোরণ ও কয়েক দফায় হামলা ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। এসময় ১০জনের মতো বোমা বিস্ফোরণে আহত হয়েছে। পুলিশ অভিযুক্ত ২ জনকে আটক করেছে। এঘটনার প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ করেছে বিক্ষুদ্ধ শ্রমিকরা। বন্ধ হয়ে গেছে আমদানি রফতানিসহ বন্দর এলাকার দোকানপাট।

পুলিশও স্থানীয়রা জানান-বেনাপোল স্থলবন্দরের শেড ও দুটি শ্রমিক ্ইউনিয়নের দখল দারিত্বসহ আধিপত্ত বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন যাবত মেয়র পক্ষীয়সহ বিবদমান দু গ্রুপের সমর্থকদের সাথে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। সোমবার সকালে কাউন্সিলর রাসেদ আলীর নেত্বত্বে লালজামা গায়ে কয়েকশত শ্রমিক বন্দর এলাকায় বোমাবিস্ফোরণ ঘটিয়ে ত্রাসের সৃষ্টি করে। এসময় ৮২৫ ও ৯৯১ শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্যরা তাদেরকে ধাওয়া করলে উভয়ের মধ্যে চলে ধাওয়াপাল্টা ধাওয়া। বোমা বিস্ফরণে আহত হয় শ্রমিকসহ পথচারিরা। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে পরিস্তিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। এসময়বন্ধ হয়ে যায় যশোর বেনাপোল সড়কের বন্দর এলাকার যোগাযোগ।

ঘটনার দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি চান শ্রমিক নেতা রাজু আহম্মেদ-জাহাঙ্গীর আলম জানে ও আলমগীর হোসেন । তারা বলেন- বহিরাগরতা লাল জামা পরে রাসেদের নের্তৃত্বে হামলা চালায়। প্রতিহত করে সাধারণ শ্রমিকরা। বিচারের দাবিতে সড়ক অবরোধ করেন তারা। অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তারা।

রাসেদসহ অভিযুক্তরা আটক না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন শ্রমিক নেতারাসহ সাধারণ শ্রমিকরা।
নাভারন সার্কেল যশোর,সিনিয়র এ এসপি জুয়েল ইমরান জানান, পরিস্তিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রশাসনের চৌকস টিম কাজ করছে। ঘটনাস্থলে অতিরিত্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। অভিযুক্ত দুইজনকে আটক সহ পরিস্তিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ করা হচ্ছে বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তা।
তবে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে পুরো বন্দর এলাকায়। পুলিশ পরিস্তিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে চেষ্টা চালাচ্ছেন বলে জানান প্রশাসনের সদস্যরা। পুলিশের দাবি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছেন তারা। অভিযুক্তদের আটকের চেষ্টা চলছে।

0 Shares