Home » আন্তর্জাতিক » শান্তির চেয়ে রাজনীতির গুরুত্ব বেশি! ট্রাম্প নোবেল পুরস্কার না-পাওয়ায় ক্ষুব্ধ হোয়াইট হাউস

শান্তির চেয়ে রাজনীতির গুরুত্ব বেশি! ট্রাম্প নোবেল পুরস্কার না-পাওয়ায় ক্ষুব্ধ হোয়াইট হাউস

 

কেন ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নোবেল পুরস্কার দেয়া হল না, তার ব্যাখ্যা দিয়েছে নরওয়ের নোবেল কমিটি। সাংবাদিক বৈঠকে কমিটির প্রধান ইয়োর্গেন ওয়াটনে ফ্রিডনেস জানান, আলফ্রেড নোবেলের কাজ এবং আদর্শের কথা মাথায় রেখেই পুরস্কার দেয়া হয়।

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

শান্তির চেয়ে রাজনীতি বেশি গুরুত্ব পেয়েছে! নোবেল শান্তি পুরস্কার ঘোষণার পর এমনই প্রতিক্রিয়া হোয়াইট হাউসের। শুধু তা-ই নয়, তাদের আরও দাবি, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিশ্বে শান্তিপ্রতিষ্ঠা করতে এবং যুদ্ধের অবসান এবং জীবন বাঁচানোর লড়াই চালিয়ে যাবেন!আনন্দবাজার ডট কম

শুক্রবার নরওয়ের নোবেল কমিটি ঘোষণা করে, এ বছর শান্তি পুরস্কার পাচ্ছেন ভেনেজুয়েলার মারিয়া কোরিনা মাচাদো। বিশ্বের নানা প্রান্তে সাতটি যুদ্ধ থামিয়ে দেয়ার কৃতিত্ব দাবি করেও ট্রাম্প নোবেল শান্তি পুরস্কার না-পাওয়ায় হতাশ হোয়াইট হাউস। তারা সরাসরি নোবেল কমিটিকে নিশানা করেছে। এক্স পোস্টে হোয়াইট হাউসের দাবি, ‘‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প শান্তি চুক্তি এবং যুদ্ধ অবসানের জন্য কাজ চালিয়ে যাবেন। তার মধ্যে মানবতাবাদী হৃদয় রয়েছে। তার মতো কেউ আর কখনও আসবেন না। তিনি তার ইচ্ছাশক্তির জোরে পাহাড় সরাতে পারেন।’’

নোবেল কমিটিকে কটাক্ষ করে হোয়াইট হাউসের বিবৃতি, ‘‘আবারও নোবেল কমিটি প্রমাণ করল যে, তারা শান্তির চেয়ে রাজনীতিকে বেশি গুরুত্ব দেয়।’’ ট্রাম্প যাতে নোবেল পুরস্কার পান, তার জন্য সক্রিয় হয়েছিল হোয়াইট হাউস। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নিজেই বলেছিলেন যে, তিনি ওই পুরস্কারের দাবিদার। কিন্তু শুক্রবার সব অবসান ঘটিয়ে ট্রাম্পের বদলে নোবেল শান্তি পুরস্কার প্রাপক হিসেবে বেছে নেয়া হয় ভেনেজুয়েলার মারিয়াকে।

‘সাত যুদ্ধ থামিয়েও’ ট্রাম্পের ‘শান্তি’ মিলল না! সাংবাদিক বৈঠকে কারণ ব্যাখ্যাও করে দিল নোবেল কমিটি
কেন ট্রাম্পকে নোবেল পুরস্কার দেয়া হল না, তার ব্যাখ্যা দিয়েছে নরওয়ের নোবেল কমিটি। সাংবাদিক বৈঠকে কমিটির প্রধান ইয়োর্গেন ওয়াটনে ফ্রিডনেস জানান, এই পুরস্কারের প্রবর্তক আলফ্রেড নোবেলের কাজ এবং আদর্শের কথা মাথায় রেখেই পুরস্কার দেয়া হয়। তিনি বলেন, ‘‘নোবেল কমিটির সদস্যেরা এই ঘরে যখন বসেন, তখন কেবল পুরস্কারজয়ীদের ছবিই আশপাশে থাকে না, থাকে সাহস এবং সততাও। তাই আমরা আলফ্রেড নোবেলের ইচ্ছাপত্র (উইল) এবং কাজকে অনুসরণ করেই সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকি।”

চলতি বছর নোবেল শান্তিতে ৩৩৮টি মনোনয়ন জমা পড়েছিল। তার মধ্যে ৯৪টি সংগঠনের সম্মাননার জন্য মনোনয়ন জমা পড়েছিল। সেই তালিকায় ছিল আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নাম। তবে শেষ পর্যন্ত ভেনেজুয়েলার বিরোধী দলনেত্রী মারিয়াকেই এ বছর নোবেল শান্তি পুরস্কার দিচ্ছে নোবেল কমিটি। হোয়াইট হাউসের তরফে প্রতিক্রিয়া জানানো হলেও এখনও পর্যন্ত নোবেল শান্তি পুরস্কার নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি ট্রাম্প।

0 Shares