Home » সারাদেশ » দুর্গাপূজায় বাংলাদেশ -ভারত সীমান্তে যাত্রী যাতায়াতে ভীড়

দুর্গাপূজায় বাংলাদেশ -ভারত সীমান্তে যাত্রী যাতায়াতে ভীড়

এম এ রহিম,বেনাপোল, যশোর :

উৎসব আনুষ্ঠানিকতা কেনাকাটা ও ঘোরাফেরা কার না ভাল লাগে। যদি হয় বিদেশ ভ্রমণ। ঈদ ও দুর্গাপূজায় যোগ হয় নতুন মাত্রা। তাইতো শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন স্থলবন্দর ও সীমান্তের ইমিগ্রেশন দিয়ে বেড়েছে ভারত ও বাংলাদেশে মধ্যে যাত্রী যাতায়াত। দীর্ঘ লাইনে ভোগান্তি বাড়লেও হয়রানি কমায় বেড়েছে স্বস্তি। কমছে দুর্ভোগ।
ভারত গমনে নতুন কোন ভ্রমণ ভিসা ইস্যু না হওয়ায় কমে যায় যাত্রী যাতায়াত।দুর্গাপূজা উপলক্ষে ৫দিনের ছুটি কাটাতে সহ পূজা দেখা ও কেনাকাটাসহ চিকিৎসা করাতে অনেকেই যাচ্ছেন ভারতে। প্রতিদিন এ সীমান্ত দিয়ে সাড়ে ৪হাজার থেকে ৫ হাজার যাত্রী যাতায়াত করলেও গত ২দিনে বেড়েছে যাত্রীর চাপ। যেখানে গত সপ্তায় সোমবার থেকে বুধবার পর্যন্ত গত ৩ দিনে ভারত বাংলাদেশের মধ্যে যাতায়াত করেছে ১৬হাজার ৮শ ৪জন। যা বৃহস্পতি ও শুক্রবার গত ২দিনে গেছে ১৩হাজার ৮শ৩৬জন যাত্রী। আগমন কমলেও প্রত্যাগমন বেড়েছে বলে জানান ইমিগ্রেশন ওসি ওমর ফারুক মজুমদার।শনিবার বিকেল পর্যন্ত প্রায় ৪হাজার যাত্রী যাতায়াত করেছে বলে জানান ইমিগ্রেশন সংশ্লিষ্টরা।
বুধবার থেকে পূজার টানা ৫দিনের ছুটিতে বেড়ে যায় পাসপোর্ট যাত্রীদের ভীড়। সকাল ও সন্ধ্যায় যাত্রীদের ভীড়ে সরগরম থাকছে সীমান্ত এলাকা। গত ৩দিন বেড়েছে যাত্রীদের চাপ। ভারত ও বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা নারী শিশুবৃদ্ধসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের চাপ সামলাতে অতিরিক্ত জনবল বাড়িয়েছে প্রশাসন। পুলিশ বিজিবি কাস্টম আর্মড পুলিশ ও আনসার সদস্যদের সার্বিক সহযোগিতায় বাড়ানো হয়েছে যাত্রীসেবা। তবে টুকটাক যাত্রী হয়রানি চললেও বেনাপোল পেট্রাপোল কাস্টম ও ইমিগ্রেশনে বেড়েছে সেবার মান। কমেছে হয়রানি ও উৎকোচ বাণিজ্য। বহিরাগত দালালের উৎপাত রয়েছে স্তমিত।দীর্ঘলাইনে দাঁড়িয়ে যাত্রীদের ভোগান্তি বাড়লেও ইমিগ্রেশন ও কাস্টম সে যাত্রীদের কার্য্যক্রম দ্রুত গতিতে সম্পূন্ন করায় কিছুটা স্বস্তি ফিরছে বলে জানান ভুক্ত ভোগী যাত্রীরা।


কাস্টম ও ইমিগ্রেশনের কতিপয় অসাধু সদস্যদের কৌশল বাণিজ্য কমেছে বলে জানান ভুক্তভোগীরা। ফলে কিছুটা শৃঙ্খলা ফিরেছে বলে জানান স্থানীয়রা।যাত্রী মধু হোসেন রাকিব আহম্মেদ ও পারুল খাতুন ও মনিষা দাস বলেন বিজিবির নজরদারি ও সহযোগিতা যাত্রীদের স্বস্তি দিচ্ছে। দেশ বিদেশে থেকে আসাযাত্রীদের ভ্রমণ হচ্ছে অনেকটা নিরাপদ। ভ্রমণ ভিসা বন্ধ থাকায় অন্যবারের ন্যায় এবার যাত্রী চাপ কিছুটা কম বলে জানান বন্দর সংশ্লিষ্টরা।তবে অতিমাত্রায় চেকিংয়ের কারণে কিছু যাত্রীর হয়রানির অভিযোগ রয়েছে নিত্যদিনের। এসবের অবসান চান তারা।
ভারত থেকে ফেরা যাত্রীরা পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন ও কাস্টমসের সেবায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তবে বাংলাদেশ থেকে ভারত গমনে সীমান্তের জিরোলাইনে ও পেট্রাপোল ইমিগ্রেশনে অতিরিক্ত ভোগীন্তিতে পড়ছেন বলে জানান ভুক্তভোগী যাত্রীরা।পেট্রাপোলে চেকিং ও ইমিগ্রেশনে ধীরগতির কারণে ভোগান্তিতে পড়েন বলে জানান তারা । তবে দুদেশের সীমান্তে যাত্রী সেবা আগের চেয়ে বেড়েছে বলে জানান বিদেশি পর্যটকেরা।


প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদশ ও ভারতের মধ্যে যাত্রী সেবায় স্থলবন্দর এলাকাগুলোতে বেড়েছে সেবা। হয়েছে অবকাঠামোগত উন্নয়ন। এরই মধ্যে কাস্টম ও ইমিগ্রেশন এলাকা অনেকটা সংরক্ষিত করা হয়েছে। বিমানবন্দরের ন্যায় যাত্রী সেবা চান ভুক্তভোগীরা। অভিযোগ রয়েছে বাংলাদেশ অংশে যাত্রীরা যাত্রী টার্মিনাল চার্জ ৫৫টাকা ও ভ্রমণকর ১০০০টাকা দিয়ে ইমিগ্রেশন অভ্যন্তরে প্রবেশ করে পান না সেবা। বিশ্রাম্গার ও টয়লেট ব্যবস্থ র নাজুক। যাত্রী টর্মিনাল বন্দর কর্তৃপক্ষ অফিস হিসেবে ব্যাবহার করায় সেবা বঞ্চিত হচ্ছেন তারা। তবে যাত্রী সেবায় সবধরনের সহযোগিতা দেয়া হচ্ছে বলে জানান বন্দরকর্তৃপক্ষ।
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশ পরিদর্শক ওমর ফারুক মজুমদার জানান প্রতিবছর পূজার সময় ও সরকারি ছুটিতে বাড়ে যাত্রীর চাপ। যাত্রী সেবায় বেনাপোল ও পেট্রাপোল ইমিগ্রেশনে বেড়েছে জনবল। শৃঙ্খলার মধ্যেই যাতায়াত করছেন দুদেশের যাত্রীরা। আগের চেয়ে বেড়েছে যাত্রী সেবার মান । সকালে যাত্রীর চাপ থাকলেও ১০টারপর থেকে যাত্রীর চাপ কমে বলে জানান ইমিগ্রেশন সংশ্লিষ্টরা।
হয়রানি ও ভোগান্তি কমাতে যাত্রী সেবায় আধুনিক চেকিং ব্যবস্থা জোর দেয়ার দাবি জানান দেশ বিদেশ থেকে আসা যাত্রীরা। ম্যানুয়ালি চেকিং রোধে দুদেশের ফরেস্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন পর্যটকেরা।

0 Shares