সারওয়ার আলম মুকুল, কাউনিয়া (রংপুর) প্রতিনিধি ঃ অন্তর্র্বতী সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান মঙ্গলাবার ঢাকা থেকে সৈয়দপুর বিমানবন্দরে নেমে সড়ক পথে কুড়িগ্রামের রাজাহাটে তিস্তার বাম তীর পরিদর্শনে আসেন। কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়াল ডাঙ্গা ইউনিয়নের খিতাবখাঁ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতল ভবন সংলগ্ন তিস্তা নদীর চলমান কাজ পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে বলেন এ বছরের শেষ নাগাদ তিস্তা মহাপরিকল্পনা নিয়ে চূড়ান্ত সুখবর দেয়ার আশা করছি। এরই মধ্যে গণশুনানির মাধ্যমে তিস্তা তীরবর্তী মানুষের মতামত নিয়ে মাঠ পর্যায়ের কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তিস্তা নদী গতি-প্রকৃতি আমাদের ওপর নির্ভর করে না, নির্ভর করে উজানের দেশের (ভারত) ওপর। ভাটির দেশ বাংলাদেশের জনগণ হিসেবে, এই জনপদের মানুষ হিসেবে আমাদের একটা অধিকার আছে। আমাদের দেশের একটা অধিকার আছে। সেটা আমরা কীভাবে সুরক্ষিত রাখতে পারি এ জন্য ২০১৬ সালে চীনের সঙ্গে একটা স্মারক হয়েছিল। কিন্তু সেটাও বেশিদূর এগোয়নি। আমরা গণশুনানি করে জনগণের মতামত সন্নিবেশিত করে পরিকল্পনা তৈরি করে সরকারের দুটা যে পর্যায় আছে তার একটিতে দেয়া হয়েছে। তারা অক্টোবরের দিকে একটা ডিজাইন দেবে। এরপর কী পরিমাণ টাকা, কেমন সময় লাগবে এসব নিয়ে দুই দেশের মধ্যে দর কষাকষি হবে, কথা হবে। তারপর তিস্তা একটা চুক্তি আশা করি। তিস্তা নদীর স্থায়ী বাঁধের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে রিজওয়ানা বলেন, আমাদের দেড় বছরের সরকারের কাছে যদি এতকিছু চান তাহলে কীভাবে হবে! যদি স্থায়ী বাঁধ হয়ও তবু তো শেষ করতে ৩ থেকে ৫ বছর সময় লাগবে। আপাতত বিপদটা কাটাবার জন্য আমরা এই কাজটা (চলমান প্রকল্প) শুরু করেছি। কাজের প্রতিটি পর্যায়ে স্থানীয় মানুষদের সম্পৃক্ত রয়েছে যাতে অনিয়ম না হয়, ঠিকভাবে যাতে কাজটা হয়। এসময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক কুড়িগ্রাম নুসরাত সুলতানা, পুলিশ সুপার মাহফুজুর রহমান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসানসহ প্রশাসনের কর্মচারীরা। এরপর রংপুর জেলার কাউনিয়া উপজেলার পাঞ্জরডাঙ্গা রেলসেতু থেকে কয়েক’শ মিটার উজানে তিস্তা নদীর ডান তীর পরিদর্শন শেষে রংপুর জেলার উদ্দেশ্যে যাত্রা করবেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক রংপুর মোহাম্মদ রবিউল ফয়সাল, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মহিদুল হক ও উপজেলা প্রকৌশলী মনিরুল ইসলামসহ স্থানীয় জনগণ ও সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ।
