Newturn24.com Latest News Portal
কমলগঞ্জ(মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি :
আবহাওয়ার তারতম্যে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে ডায়রিয়া,সর্দি, ভাইরাস জ্বর ও আমাশয়ের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। আক্রান্ত রোগীদের বেশির ভাগই প্রাইভেট ফিজিশিয়ানদের সেবা নিয়ে নিজ নিজ বাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছেন। বৃহস্পতিবার(১৫ এপ্রিল) কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও একাধিক প্রাইভেট ফিজিশিয়ানের সাথে কথা বলে এ তথ্য পাওয়ায়।
জানা যায়, কমলগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় মানুষজন সর্দি-জ্বর, ডায়রিয়া ও আমাশয়ে ভুগছেন(পেটের পীড়া)। প্রাথমিকভাবে আক্রান্ত রোগী পল্লী চিকিৎসকসহ বিভিন্ন প্রাইভেট ফিজিশিয়ানদের কাছেও যাচ্ছেন। আবার অনেক রোগী কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লে¬ক্সে গিয়ে চিকিৎসা গ্রহণ করছেন। এদের মধ্যে যাদের অবস্থা একটু খারাপ তাদের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা সেবা নিতে হচ্ছে।
কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিন বেশ কিছু সংখ্যক রোগী এসে জরুরি সেবা গ্রহণ করে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন। বৃহস্পতিবার কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডায়রিয়া ও আমাশয়ের ১৬ জন রোগী চিকিৎসা সেবা নিয়েছেন। আর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডায়রিয়া আক্রান্ত শিশুসহ ৮ জন রোগী ভর্তি আছে।
পল্লী চিকিৎসক নূরুল ইসলাম বলেন, চলতি সময়ে দিনের বেলা অস্বাভাবিক গরম অনুভূত হচ্ছে এবং শেষ রাতে আবার একটু ঠাণ্ডার সাথে কুয়াশাও পড়ছে। আবহাওয়ার এ তারতম্যে ডায়রিয়া, সর্দি, জ্বর ও আমাশয় (পেটের পীড়া) রোগের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। তিনি আরো বলেন, প্রতিদিন গড়ে ০৮-১০ জন এসব রোগে আক্রান্ত হয়ে তার কাছে চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন। প্রকোপটি উল্লেখ্যযোগ্য না হলেও ক্রমে বাড়ছে। আক্রান্তদের মাঝে শিশুসহ সব বয়সী রোগী আছেন।
কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এম মাহবুবুল আলম ভূঁইয়া বলেন, শীতের সময়ও ডায়রিয়ার কিছুটা প্রকোপ থাকে। আর গরমের সময় এ প্রকোপটা একটু বাড়ে। আবহাওয়ার পরিবর্তনে সম্প্রতি ডায়রিয়া, সর্দি, জ্বর ও আমাশয়ের প্রকোপ দেখা দিলেও উল্লেখ্যযোগ্য নয়। তিনি আরও বলেন, রমজান মাস শুরু হওয়ায় মানুষের খাদ্যাভাসের পরিবর্তন হয়েছে। ফলে ডায়রিয়া হতে পারে। আর করোনার সময়ে এ প্রকোপে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নয় বলেও তিনি জানান।
