Home » জাতীয় » কৃষি সেচের জন্য জ্বালানি তেলের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করা হবে — জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী

কৃষি সেচের জন্য জ্বালানি তেলের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করা হবে — জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা : বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, কৃষি সেচের জন্য জ্বালানি তেলের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করা হবে। বিদ্যুৎ বা জ্বালানি তেলের জন্য কৃষিকাজের ব্যাঘাত ঘটানো যাবে না। যথাযথ নিরাপত্তা নিশ্চিত করে , তেল সংশ্লিষ্ট জেলায় চাহিদা মতো পৌঁছানোর উদ্যোগ অব্যাহত রাখতে হবে। প্রতিমন্ত্রী রোববার অনলাইনে কৃষিসেচ মৌসুমে (ডিসেম্বর ২০২৩ হতে মে ২০২৪) জ্বালানি তেলের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় সভাপতিত্বকালে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, বিদ্যুতের চাহিদার সাথে সমন্বয় রেখে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে হবে। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চাহিদা মোতাবেক প্রাকৃতিক গ্যাস ও ফার্নেস ওয়েল সরবরাহের আগাম উদ্যোগ নিতে হবে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে পেট্রোলিয়াম পণ্যের মধ্যে ৬৭ দশমিক ১৯ শতাংশ ডিজেল, ১১ দশমিক ৯৯ শতাংশ ফার্নেস ওয়েল, ৬ দশমিক ৪২ শতাংশ জেডএ-১, ৬ দশমিক ১৯ শতাংশ পেট্রোল ও ৫ দশমিক ৩৬ শতাংশ অকটেন ব্যবহৃত হয়। একই অর্থ বছরে জ্বালানি তেলের শতকরা ৫৮ শতাংশ পরিবহণে, ১৮ শতাংশ বিদ্যুতে, ১৫ শতাংশ কৃষিতে, ৬ শতাংশ শিল্পে, ১ শতাংশ গৃহস্থালিতে এবং অন্যান্য খাতে ২ শতাংশ ব্যবহার করা হয়। ২০২২-২৩ অর্থবছরে কৃষিসেচ মৌসুমে (ডিসেম্বর-মে) ১৯ লাখ ২৯ হাজার ৭৩৮ মেট্রিকটন ডিজেল ব্যবহৃত হয়েছে। ডিজেল বাফার স্টক, তেল সরবরাহের জন্য ট্যাংক-ওয়াগন নিশ্চিতকরণ, নৌপথের নাব্যতা সংরক্ষণ, তেল পাচার রোধ ও নৌঘাট সংক্রান্ত রাস্তার সংস্কার, সীমান্তে তেল পাচার রোধ, জ্বালানি স্থাপনায় নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণসহ মনিটরিং ও সমন্বয় নিয়ে আলোচনা হয়। কৃষিসেচ মৌসুমে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে কৃষকগণের নিকট সঠিক সময়ে সরকার নির্ধারিত মূল্যে বর্ধিত পরিমাণ ডিজেল সরবরাহ কার্যক্রম নিবিড়ভাবে মনিটর করার জন্য পয়লা ডিসেম্বর থেকে বিপিসি’র চট্টগ্রামস্থ প্রধান কার্যালয়ে ‘কেন্দ্রীয় কন্ট্রোল সেল’ খোলা হয়েছে। সেচ মৌসুম উত্তীর্ণ না হওয়া পর্যন্ত চট্টগ্রামে ডিজেলের (প্রধান স্থাপনা+ইআরএল) মজুত সার্বক্ষণিকভাবে ১ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিকটন সংরক্ষণের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে। ২০২৩-২৪ সালের কৃষিসেচ মৌসুমে ডিজেল ১২ লাখ ৫০ হাজার ৩৫৫ মেট্রিকটন ও লুব অয়েল ৪৪ হাজার ১২৩ মেট্রিকটন প্রাক্কলিত চাহিদা রয়েছে। আন্তঃমন্ত্রণালয় ভার্চুয়াল সভায় অন্যান্যের মাঝে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব মোঃ নূরুল আলম, পিডিবি’র চেয়ারম্যান মোঃ মাহবুবুর রহমান, আরইবি’র চেয়ারম্যান মোহাঃ সেলিম উদ্দিন, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনন্দ্র নাথ সরকার, জননিরাপত্তা বিভাগ, কৃষি মন্ত্রণালয়, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, রেলপথ মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিভাগের আওতাধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের দপ্তর প্রধানগণ সংযুক্ত ছিলেন।-ত.বি.

0 Shares