নিউটার্ন ডেস্ক :
ঐতিহাসিক ফারাক্কা লং মার্চ দিবস স্মরণে আন্তর্জাতিক ফারাক্কা কমিটি রোববার এক বিবৃতিতে ঢাকা ও দিল্লীকে উভয় দেশের মধ্যদিয়ে প্রবাহিত ৫৪টি নদী বাঁচিয়ে রাখতে উৎস থেকে সাগর পর্যন্ত এদের প্রবাহ বজায় রাখার জন্য চুক্তি স্বাক্ষর করার আহবান জানিয়েছে। বাঁধ দিয়ে স্বল্প মেয়াদি সুবিধার জন্য নদীর গতি পরিবর্তন এই প্রাকৃতিক পানির উৎসগুলোকে মেরে ফেলছে।
১৬ মে ঐতিহাসিক লংমার্চ দিবস। ১৯৭৬ সালের এই দিনে বাংলাদেশের মজলুম জননেতা মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী রাজশাহী থেকে গংগার উপর নির্মিত ফারাক্কা বাঁধ অভিমুখে আয়োজিত লংমার্চের নেতৃত্ব দেন। নদীর গতি একতরফা পরিবর্তনের ফলে ভাটিতে অবস্থিত বাংলাদেশে গংগা তখন শুকিয়ে গিয়েছিল।
বাংলাদেশের সাথে পরামর্শক্রমে ১৯৭৫ সালের ২১ এপ্রিল থেকে ৩১ মে মোট ৪১ দিনের জন্য বাঁধটি চালু করা হয়েছিল। কিন্ত তখন থেকে একতরফা পানি প্রত্যাহার চলতে থাকে এবং বাংলাদেশে দেখা দেয় পরিবেশগত বিপর্যয়। লংমার্চের এক বছর পর শতকরা ৮০ ভাগ গ্যারান্টি ক্লজসহ ১৯৭৭ সালের পাঁচবছর মেয়াদি পানিবণ্টন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
গঙ্গার পানি বণ্টনের জন্য ৩০ বছর মেয়াদি দ্বিতীয় চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় ১৯৯৬ সালে। কিন্তু বাংলাদেশ এই চুক্তির ধারা অনুসারে পানি পাচ্ছেনা। এপর্যন্ত তিস্তাসহ অন্যান্য যৌথ নদীতে বাঁধ নির্মাণ করে একতরফা পানি প্রত্যাহার আরো অনেক বেড়েছে।কাজেই মাওলানা ভাসানীর ফারাক্কা লংমার্চের আবেদন এখনো ফুরিয়ে যায়নি।
মাওলানা ভাসানীর লংমার্চে অনুপ্রাণিত হয়ে আইএফসি ২০০৫ সালে চিলমারিতে ব্রহ্মপূত্র নদী পর্যন্ত লংমার্চের আয়োজন করে। সে উপলক্ষ্যে আয়োজিত বিশাল সমাবেশে তিস্তাপাড়ের ১০ লক্ষাধিক মানুষ অংশ নেয়। পরের বছর আইএফসি টাঙ্গাইল জেলার ভূয়াপুরের গোবিন্দদাসি যমুনার চরে আরেক বিশাল সমাবেশের আয়োজন করে।
বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশের উৎস নদী থেকে। কাজেই নদীর অব্যাহত প্রবাহের সাথে বাংলাদেশের জীবন মরণের প্রশ্ন জড়িত।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন আইএফসি, নিউ ইয়র্ক-এর চেয়ারম্যান, আতিকুর রহমান সালু, মহাসচিব, সৈয়দ টিপু সুলতান, আইএফসি বাংলাদেশের সভাপতি অধ্যাপক জসিম উদ্দিন আহমাদ, সিনিয়র সহ-সভাপতি ড এস আই খান, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ইরফানুল বারী এবং আইএফসি সমন্বয়ক মোস্তফা কামাল মজুমদার।-প্রেস বিজ্ঞপ্তি