Home » আইন-আদালত » পুলিশের ওপর হামলা : রিমান্ডে ৪, কারাগারে ১৩ জন

পুলিশের ওপর হামলা : রিমান্ডে ৪, কারাগারে ১৩ জন

নিউটার্ন প্রতিবেদক : রাজধানীর জুরাইনে ট্রাফিক সার্জেন্টসহ তিন পুলিশ সদস্যকে মারধরের মামলায় চার আসামির এক দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। ৭ জনের রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। পরে আরও ৬ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
১০ জুন শুক্রবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফারাহ দিবা ছন্দা শুনানি শেষে রিমান্ডের আদেশ দেন। রিমান্ডে যাওয়া চার আসামি হলেন—আবুল কালাম আজাদ, তানজিল হোসাইন, আহাম্মদ হোসেন ও মোতালেব হোসেন।

কারাগারে যাওয়া আসামিরা হলেন—আনিছুর রহমান, লিটন, রফিক, বাবুল খান, শহিদুল ইসলাম ওরফে বাবু, রতন, সানি রহমান, রানা হাওলাদার, ইমরান হোসেন ভূঁইয়া, রুবেল মিয়া, মেহেদী হাসান পাপ্পু, মাহফুজুল হাসান মিন্টু ও রাব্বি। এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের ওয়ারী বিভাগের পরিদর্শক (নিরস্ত্র) রোকনুজ্জামান খান শ্যামপুর থানার মামলায় ১৭ আসামিকে আদালতে হাজির করেন। তাদের মধ্যে ১১ আসামির সাত দিন করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হয়। ৬ আসামিকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করা হয়।

আসামিদের পক্ষে তাদের আইনজীবীরা জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে এর বিরোধিতা করা হয়। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত চার আসামির এক দিন করে রিমান্ড এবং ১৩ আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।এ মামলায় ৮ জুন গ্রেপ্তার করা ৬ আসামির মধ্যে ইয়াসিন জাহান নিশান নামে এক অন্তঃসত্ত্বা আইনজীবীকে জামিন দেন আদালত। মোটরসাইকেলের চালক বার্তা বিচিত্রা পত্রিকার সাংবাদিক পরিচয় দেওয়া সোহাগ উল ইসলাম রনি, তার শ্যালক ইয়াসিন আরাফাত ভুঁইয়া, শরিফ, নাহিদ ও রাসেলের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।

জানা যায়, গত ৭ জুন মঙ্গলবার জুরাইন রেলগেট দিয়ে উল্টোপথে আসা একটি মোটরসাইকেলের গতিরোধ করলে সার্জেন্ট আলী হোসেনের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়ান মোটরসাইকেল আরোহী সোহাগ উল ইসলাম রনি ও তার স্ত্রী ইয়াসিন জাহান নিশান। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। পরে লোকজন জড়ো হওয়ায় ওই এলাকার ট্রাফিক পরিদর্শক (টিআই) বিপ্লব ভৌমিক কয়েকজন কনস্টেবল নিয়ে এসে তাদের সবাইকে মীমাংসার জন্য সড়কে থাকা ট্রাফিক পুলিশ বক্সে নিয়ে যান। এ সময় মোবাইলে ইয়াসিন জাহান নিশান বিষয়টি তার ভাই ইয়াসির আরাফাতকে জানান। তিনি লোকজন নিয়ে এসে পুলিশ বক্সে প্রবেশ করেন। এরপর পুলিশ বক্স ভেঙে তারা বের হয়ে আসেন।

এ সময় ওই এলাকার হকার ও ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকরা হামলা চালায়। ট্রাফিক বক্সের গ্লাস দিয়ে সার্জেন্ট আলী হোসেনকে আঘাত করলে তার শরীরের বিভিন্ন জায়গা কেটে যায়। উত্তেজিত হামলাকারীরা পুলিশ ইউনিফর্মে থাকা সবার ওপরই হামলা করে। এ সময় শ্যামপুর থানার এসআই উৎপল চন্দ্র ও এসআই সাকিব সেখানে গেলে তাদের ওপরও হামলা হয়।

আহত সার্জেন্ট আলী হোসেনের হাতে ২১টি সেলাই দিতে হয়েছে। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। আহত অন্য পুলিশ সদস্যরা হলেন—ট্রাফিক কনস্টেবল সিরাজুল ইসলাম, শ্যামপুর থানার উপ-পরিদর্শক উৎপল চন্দ্র ও এসআই সাকিব। মঙ্গলবার সার্জেন্ট আলী হোসেন শ্যামপুর থানায় পুলিশের ওপর হামলা, পুলিশের কাজে বাধা, হত্যাচেষ্টা ও সরকারি স্থাপনা ভাঙচুরের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন।
নিউটার্ন/এআর

0 Shares