Home » সারাদেশ » ভারত থেকে পণ্য আমদানিতে সৃষ্ট জটিলতা, আমদানি ৬ঘণ্টা বন্ধ, ব্যবসায়িদের কর্মবিরতি

ভারত থেকে পণ্য আমদানিতে সৃষ্ট জটিলতা, আমদানি ৬ঘণ্টা বন্ধ, ব্যবসায়িদের কর্মবিরতি

 

এম এ রহিম, বেনাপোল যশোর :
বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পণ্য আমদানিতে সৃষ্ট জটিলতায় ৬ঘণ্টা আমদানি বাণিজ্য বন্ধ। ছিল।
ব্যবসায়িরা কর্মবিরতি পালন করছেন।
বেনাপোল বন্দরের পণ্য আমদানিতে হয়রানিমূলক আচরণের প্রতিবাদে দুপুর থেকে ভারত থেকে আমদানিকৃত সকল পণ্যের আমদানি বন্ধ ছিল। সিএন্ডএফ এজেন্ট স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাথে। বন্দর পরিচালকের একগুঁয়েমি সিদ্ধান্তের কারণে আমদানি কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।
ভারত থেকে পণ্য আমদানির পর পণ্যের নীট ওজন নির্ণয়ের জন্য পণ্যবোঝাই ট্রাকের ওজন নেয়া হয়। পণ্য বন্দরের শেডে নামানোর পর খালি গাড়ির ওজন পুনরায় নিয়ে আমদানিকৃত পণ্যের নীট ওজন নিশ্চিত করা হয়। বন্দরের সদ্য নিয়োগ পাওয়া পরিচালক রেজাউল করিম দীর্ঘদিনের নিয়ম না মেনে পণ্য আনলোডের পর খালি গাড়ির ওজন নেয়া হবে ঘোষণা দেন তিনি।
এ ঘটনায় ফুঁসে উঠেছে আমদানিকারকের প্রতিনিধি সিএন্ডএফ এজেন্ট। তাদের হয়ে কর্মচারী আ্যসোসিয়েশন সব ধরনের আমদানি বন্ধ রাখে।

এ ব্যাপারে বন্দর পরিচালক রেজাউল করিম জানান, ইতিপূর্বে যে সব ভারতীয় খালি ট্রাকের ওজন নেয়া হয়েছে পুনরায় সে সব ট্রাকের ওজন না নেবার জন্য বন্দরের উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা রয়েছে। তবে যে সব ট্রাক প্রথমবার বন্দরে প্রবেশ করে কিংবা যাদের ডাটাবেজ বন্দরে সংরক্ষিত নেই শুধু সেইসব ট্রাকের ওজন নেয়া হবে।
বন্দর কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্ত মানতে নারাজ বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট আ্যসোসিয়েশন নেতৃবৃন্দ। সহ আ্যসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান বলেন দ্বিতীয়বার প্রবেশের সময় পূর্বের ওজন সঠিক থাকবে সেটা ঠিক নয়, ট্রাকের কাঠামো পরিবর্তন, তেল, টায়ার সংযোজনের কারণে ট্রাকের ওজন বাড়তে পারে। বন্দর কর্তৃপক্ষের চাপিয়ে দেয়া সিদ্ধান্ত যুক্তিযুক্ত নয়।
শেষ খবর পাওয়া পর্য্যন্ত পোর্টথানা বেনাপোলের পুলিশ এবং বন্দরে কর্মরত আনসার বাহিনীর তদারকিতে ভারতীয় ট্রাক বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করছে।

0 Shares