Home » প্রধান খবর » ভিজা ধান নিয়ে বিপাকে কৃষক, কিনছেন না ধান ব্যবসায়ীরা

ভিজা ধান নিয়ে বিপাকে কৃষক, কিনছেন না ধান ব্যবসায়ীরা

 

 

মো.আককাস আলী, নওগাঁ:-কালবৈশাখীর ছোবল আর বৃষ্টির কারণে বোরা ধান কাটা,ঘরে তোলা আর বিক্রি নিয়ে বরেন্দ্রঞ্চলের চাষিরা চোখে অন্ধকার দেখছেন। ভিজা ধান দ্বিগুন মজুরিতে ঘরে তুললেও হাটে বিক্রি করতে গিয়ে বিক্রি না হওয়ায় হতাশা হয়ে ফিরছে চাষিরা। আর এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে এক শ্রেণীর মোনাফা লোভী ব্যবসায়ী কৃষকদের কাছ থেকে বাঁকিতে কম দামে ধান কিনে গুদামজাত করছে। নওগাঁর পত্নীতলার বোরো চাষি তৌহিদুল ইসলাম জানান,৩০মণ ধান আজ খিরসিন বাজার,মাতাজী হাটে নিয়ে গিয়েও বিক্রি করতে না পারাই অবশেষে ৮শ টাকায় বাকিতে আরৎদারদের দিতে হল। হতাশাই তিনি বলেন,বর্গা নিয়ে ৭বিঘা জমিতে মালিক পক্ষকে সাড়ে ৬মণ চুক্তিতে জিরাসাইল ধান চাষ করেছিলাম। কালবৈশাখীর ছোবল আর বৃষ্টির কবলে ধান নুয়ে পড়লে অর্ধেক ধান শ্রমিককে দিয়ে কাটতে হল। ৭ বিঘায় ধান পেয়েছিলাম ১৪০মন,শ্রমিককে দিতে হল ৭০মন। মালিক পক্ষকে দিয়ে আর কি থাকে। বিক্রিও করতে হল কম দামে হতাশাই কথা গুলো বললেন বর্গাচাষি তৌহিদুল।
একই অভিযোগ করলেন মহাদেবপুরেরর বোরো চাষি মাসুদ রানা। তিনি বললেন, ধানের কোয়ালিটি খারাপ হওয়ায় হাটে ধান বিক্রি করতে না পারায় কম দামে বাকিতে ধান বিক্রি করতে হল। কবে টাকা দিবে জানিনা। বদলগাছির বর্গাচাষি গনেশ এর একই কথা। তিনি বলেন, ধান ব্যবসায়ীরা ভিজা ধান না কিনায় হাট থেকে অধিক ভাড়া দিয়ে বাড়িতে আনতে হচ্ছে। আত্রাই,রাণীনগর,মান্দা,পোরশা,সাপাহার নীতপুরের বোরো চাষিদের একই আকুতি।
ধান চাতাল ব্যবসায়ী হাজী জব্বার,হাজী ওসমান,মাসুদ রানা জানান,শুকানোর জায়গাঁ না থাকায় ভিজা ধান কিনছি না। শুকনা ধান প্রতি মন ১০০০থেকে ১১শ টাকায় কিনা হচ্ছে। বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায় প্রকারভেদে সাড়ে ৮শ টাকা,সাড়ে ৯শ টাকা থেকে ১০০০টাকায় ধান কিনা বেঁচা হচ্ছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে নওগাঁয় ১ লাখ ৮৯ হাজার ৪৯০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদ করা হয়েছে। কালবৈশাখী ও বৃষ্টির কারণে ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ ধান নুয়ে পড়েছে।

0 Shares