Home » সারাদেশ » মিঠাপুকুরে ইউপি-চেয়ারম্যান মাহবুবার রহমানের হত্যায় জড়িতদের গ্রেফতার দাবিতে মানববন্ধন

মিঠাপুকুরে ইউপি-চেয়ারম্যান মাহবুবার রহমানের হত্যায় জড়িতদের গ্রেফতার দাবিতে মানববন্ধন

 

রুবেল হোসাইন (সংগ্রাম), রংপুর :

রংপুরের মিঠাপুকুরে ইউপি- চেয়ারম্যান মাহবুবার রহমান (মাহাব) হত্যায় জড়িতদের গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসময় চেয়ারম্যান মাহবুবার রহমানকে হত্যাকারী এবং তার মদদদাতাদের গ্রেফতারের দাবি জানানো হয়। অন্যদিকে ঘটনার একমাস পেরিয়ে গেলেও চেয়ারম্যান মাহবুবার রহমানের হত্যার প্রকৃত রহস্য উদঘাটন করতে না পারায় প্রশাসনের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করে তার পরিবার এবং মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী ব্যক্তিরা।


শনিবার (১৭- ডিসেম্বর) বিকাল আনুমানিক ৪ ঘটিকার সময় মিঠাপুকুর উপজেলার ০৩ নং পায়রাবন্দ ইউনিয়নের পায়রাবন্দ বাজার সংলগ্ন ভাংনী মাঠেরহাট আঞ্চলিক মহাসড়কের দু-পাশে উপজেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা শতশত লোক দাঁড়িয়ে এই মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, ০৪ -নং ভাংনী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মামুন, ১০ নং বালুয়া মাসিমপুর ইউপি-চেয়ারম্যান মোঃ শাহজাহান মিয়া,০৬ নং কাফ্রিখাল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন মাস্টার, বাজার কমিটির সভাপতি, মিজানুর রহমান, ওলামা মা-শায়েখের পক্ষ থেকে হাফেজ মোঃ আব্দুস সামাদ এবং চেয়ারম্যানের বড় ছেলে লাবিব হাসান।

পায়রাবন্দ বাজার কমিটির সভাপতি, মিজানুর রহমান বলেন, মাহবুবার রহমান একজন জননন্দিত চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি এমন একটা মানুষ ছিলেন, যার জনপ্রিয়তা এবং গ্রহণযোগ্যতা ছিলো সকল পেশা শ্রেণীর মানুষের কাছে। বিশেষ একটি গোষ্ঠী তাকে হত্যা করে তার নেতৃত্ব শূন্য করে পায়রাবন্দ বাসীকে এতিম করেছে। হাফেজ আব্দুস ছামাদ বলেন,ঘটনার পরেই হত্যাকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু পায়রাবন্দ তথা মিঠাপুকুর উপজেলাবাসী জানতে পারলোনা কারা এর সঙ্গে জড়িত!

চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, হারুনের ভাই হাকিম পলাতক। আমরা দেখেছি,সাধারণ মানুষকে হত্যা করলে পুলিশ দ্রুতগতিতে অপরাধীকে গ্রেফতার করে। কিন্তু প্রকাশ্য ভরা বাজারের ভিতর একজন জনপ্রিয় চেয়ারম্যানকে হত্যা করলো পুলিশ তার ইন্ধনদাতাদের গ্রেফতার করতে পারেনি। আমরা জনপ্রতিনিধিরা এখন নিরাপত্তাহৃীনতায় ভুগছি। চেয়ারম্যান হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেফতার করতে না পারলে তা হবে অন্যায়।

নিহত মাহবুবার রহমানের বড় ছেলে লাবিব হাসান বলেন, আমার বাবা ভালো মানুষ ছিলেন।তিনি চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকে অন্যায় দূর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন। তার এই সমস্ত ভালো কাজে একটি পক্ষ তাকে হত্যায় মরিয়া ছিলেন। পুলিশ প্রশাসনের কাছে জোর দাবি রইলো, আমার বাবায় হত্যায় যারা জড়িত তাদের আইনের আওতায় নিয়ে এসে শাস্তি নিশ্চিত করা হোক।

0 Shares