Home » জাতীয় » লক-ডাউনে এনজিও কিস্তি বন্ধের দাবি নিম্ন-আয়ের মানুষের

লক-ডাউনে এনজিও কিস্তি বন্ধের দাবি নিম্ন-আয়ের মানুষের

 

 

লোকমান হোসেন, খাগড়াছড়ি : খাগড়াছড়ি লক-ডাউনের ৬ষ্ঠ দিন পেড়িয়ে,৭তম দিন আজ। সামনে কঠোরভাবে লক-ডাউনের সামনে দেশ, করোনা প্রতিরোধে মাস্ক ব্যবহার ও মাস্ক পরিধানে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে মাঠ পর্যায়ে রয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত । চলমান দ্বিতীয় ও কঠোর লক-ডাউনে সকল এনজিওর কিস্তি বন্ধের দাবি নিম্ন-আয়ের মানুষের।

আজ রবিবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মাঠে আছে সতর্ক অবস্থানে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

খাগড়াছড়ি সদর সহ জেলার ৯টি উপজেলায় চলছে জেলা প্রশাসকের মাস্ক ব্যবহারে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে প্রচারণায়, মাস্ক ব্যবহারে সতর্কতার জন্য মাইকিং ও মাস্কের ব্যবহার নিশ্চিত করতে মাঠে রয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

সারা দেশের ন্যায় খাগড়াছড়িতে আজ লক-ডাউনের ৭তম দিনে চলছে আজ,গত ৬’দিনে খাগড়াছড়িতে ভ্রাম্যমাণ আদালত মাস্ক ব্যবহারে সতর্ক করণ, অভিযানে মাস্ক ব্যবহার না করার দায়ে প্রথম দিন সর্ব মোট ১১৭টি মামলায় মোট ২৬,৫৩০টা অর্থদণ্ড, দ্বিতীয় দিনে সর্ব মোট ১৩১টি মামলায় মোট ২১,১৫০টা অর্থদণ্ড, তৃতীয় দিনে সর্ব মোট ১০২টি মামলায় মোট ৩৫,৯৬০টা অর্থদণ্ড, ৪র্থ দিন ৭৩টি মামলায় মোট ১৮,৫০০ অর্থদণ্ড, ৫ম দিন ৫০টি মামলায় ১৫,৭৫০টা অর্থদণ্ড, ৬ষ্ঠ দিনে ১০/০৪/২১ তারিখে মোট ৬৩টি মামলায়” মোট ১৪,৫০০টা অর্থদণ্ড করা হয়েছে বলে জানা গেছে। আজকের ৭তম দিনের তথ্য পাওয়া যাবে সন্ধ্যায়, এই নিউজ লেখা পর্যন্ত তথ্য পাওয়া যায়নি।

সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট

জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সাজ্জাদ হোসেন বলেন,মামলা ও অর্থদণ্ড করা আমাদের মূল লক্ষ্য নয়। আমাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে জনসাধারণকে সরকারি নির্দেশনা মতে মাস্ক ব্যবহারে সতর্ক ও দূরত্ব সহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে কো-ভিড-১৯ জরুরি বার্তার দ্বিতীয় ডেউ প্রচারাভিযান ও করোনা প্রতিরোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করাই, আমাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বলেও জানান তিনি।

আজ রবিবার খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম অঞ্চলে সরেজমিনে লকডাউন বিষয়ে জানতে গেলে,স্থানীয় বিভিন্ন শ্রেণী পেশার ও নিম্ন-আয়ের মানুষদের মধ্যে একাধিক ব্যক্তি জানান, এখন রমজান মাস উপলক্ষে এমনিতেই চাল-ডালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্য লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। তার মধ্যে আবার কঠোর লক-ডাউন স্বাস্থ্য ও জরুরি সেবা বাদে সব বন্ধ, আমাদের আয়-রোজগার সব বন্ধ তাহলে আমরা খাবো কি? আর এবারে ঈদের কিনাকাটাই বা কি ভাবে কি করবো। আমরা আপনাদের মাধ্যমে সরকারের কাছে আবেদন করছি যে “আমাদের কথা” এই গরিবের কথা চিন্তা করে হলেও যেন লক-ডাউন শিথিল করেন। আমরা যেন কাজ কাম করে অন্ততপক্ষে দুবেলা , দুমোঠো ভাত খাইতে পারি। আর আমাদের মধ্যে কম বেশি সকলেরই এনজিও’র কিস্তি আছে , ঐ এনজিও কিস্তিগুলো লকডাউন চলাকালে বন্ধ রাখার দাবি জানাচ্ছি।

0 Shares