Home » ফিচার » ঈদে চট্টগ্রাম বাঁশখালী সমুদ্র সৈকতে ভীড়

ঈদে চট্টগ্রাম বাঁশখালী সমুদ্র সৈকতে ভীড়

 

মোহাম্মদ জাবেদ হাসান অমি,বাঁশখালী (চট্টগ্রাম) :

করোনার দ্বিতীয় কবলে আজ পুরো বিশ্ব হিমসিম। মৃত্যুর সংখ্যা যেমন দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে তেমনি বৃদ্ধির পরিমাণও। করোনার এই ক্রান্তিলগ্নে মানুষের জীবিকা পূরণ করতে কষ্ট হলেও মানুষ আনন্দটা বেশি লুফে নিতে চায়। প্রত্যেক মানুষের মাঝে আনন্দ বিরাজমান। মানুষ আনন্দের মাধ্যমে বাঁচতে চায় এই পৃথিবীতে। পৃথিবীর এতো সুন্দর দৃশ্য মায়া কেউ ত্যাগ করতে চায়।

চট্টগ্রাম শহর থেকে মাত্র ৪০ কিলোমিটার দূরে বাঁশখালী উপজেলার সুদীর্ঘ ৩৭ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে এই সমুদ্র সৈকত বিস্তৃত। বাঁশখালীর ছনুয়া, গন্ডামারা, সরল, বাহারছড়া, খানখানাবাদের উপকূল জুড়ে বঙ্গোপসাগরের কোল ঘেঁষে এই সৈকতের অবস্থান। কক্সবাজারের পর একমাত্র এই বাঁশখালী সবচেয়ে বড় সমুদ্র সৈকত। সৈকতের কোল ঘেঁষে রয়েছে সারিসারি ঝাউ গাছ ও ঘন ঝাউ বাগান। জোয়ার-ভাটার ঢেউয়ের শব্দ পর্যটকের মন কাড়ে। সমুদ্র লাগোয়া অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ভ্রমণপিপাসু মনকে নিয়ে যাবে নির্জনতার জগতে। এখানে ঝাঁকে ঝাঁকে শ্বেত গাঙচিল উড়ে সমুদ্রের নীলিমায় হারিয়ে যায়। শেষ বেলায় সমুদ্রের জলরাশির ভেতরে সূর্যের ওপরের অংশের হালকা রক্তিম বৃত্তটা ক্রমেই অস্পষ্ট হতে থাকে। লাল বর্ণ রশ্মিহীন এই সূর্যটা পশ্চিম আকাশে নিয়ে আসে এক অপরূপ শোভা। আকাশের ক্যানভাসে আঁকা বৃহৎ আকৃতির সূর্য, নিচে সমুদ্রের নীল জল, সুদীর্ঘ বেলাভূমি আর এরই পাশে ঘন সবুজ ঝাউবনের সমন্বয়ে বাঁশখালীর সমুদ্র সৈকত ফিরে পায় অপরূপ সৌন্দর্য। এ দৃশ্য কল্পনার সৌন্দর্যকেও হার মানাবে। এখানকার সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হচ্ছে লাল কাঁকড়া। যদি খুব সকালে সৈকত যাওয়া যায় তবেই দেখতে পারবেন ঝাঁকে ঝাঁকে লাল কাঁকড়া। এই লাল কাঁকড়া সৈকতের সৌন্দর্য বাড়িয়ে দিয়েছে বহুগুণ। এখান থেকে সরাসরি অসাধারণ সূর্যাস্তের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন। সমুদ্রের সঙ্গে গা ঘেঁষে রয়েছে কুতুবদিয়া চ্যানেল, আর নিকটেই দ্বীপ কুতুবদিয়া। এখানকার সৈকত কুয়াকাটা বা কক্সবাজারের চেয়ে অনেক বেশি প্রশস্ত, তবে বর্ষায় তা কমে যায়। একই আঙ্গিনায় পাশাপাশি দেখা মিলে পাহাড়ি অঞ্চল ও উপকূল ঘেঁষা উর্বর সমতলের। অন্যান্য সমুদ্র সৈকতের তুলনায় এই সৈকত অনেকটাই নীরব হওয়ায় তীর ভাঙ্গা ঢেউ আর সাগর জলে ভাসা জেলে নৌকায় দীপ জ্বলা সন্ধ্যার সুধা পান করতে ভ্রমণপিপাসুরা এ সৈকতে বেড়াতে আসেন। নিরাপত্তা, যাতায়াত, অবকাঠামোসহ সবদিক বিবেচনা করে বাঁশখালী সমুদ্র সৈকতকে পর্যটন স্পট হিসেবে গড়ে তুলতে শিগগিরই ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

কিভাবে যাওয়া যায় : প্রথমে তৃতীয় কর্ণফুলী সেতু বা নতুন ব্রিজ যেতে হবে। সেখান থেকে বাস অথবা সিএনজিতে বা যে কোন বাহনে গুনাগারি বাজার, গুনাগারি বাজার থেকে যে কোন বাহনযোগে বাঁশখালী সমুদ্র সৈকতে যাওয়া যায়। ফিরে আসার সময় গাড়ি পেতে সমস্যা হতে পারে, তাই রিজার্ভ করে যাওয়া আসার ব্যবস্থা করলেই ভাল।

0 Shares