Home » জাতীয় » নীলফামারীতে ভূমীহীন কছর উদ্দিনের কবরের পাশে বসে আছে ছেলে শরিফুল

নীলফামারীতে ভূমীহীন কছর উদ্দিনের কবরের পাশে বসে আছে ছেলে শরিফুল

 

সাগর চন্দ্র রায় নীলফামারী জেলা প্রতিনিধিঃ
নীলফামারীতে কবুলিয়ত জমিতে বসত ঘর নির্মাণকারী ৬০ বছর বয়সের কছর উদ্দিন নামে এক ভূমিহীন অসহায় বৃদ্ধের গলায় দড়ি দিয়ে আত্নহত্যা করার অভিযোগ করেছে পরিবার। ঘটনাটি ঘটেছে সদর উপজেলার রামনগর ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া এলাকায়। কছর উদ্দিন ওই এলাকার মৃত নজমুদ্দীনের ছেলে।

এলাকাবাসী সূত্রে যানা যায়, বিগত ১৫/০৭/১৯৯০ সালে ১২১৭৭ নং কবুলিয়ত দলিল মূলে রামনগর ডাঙ্গাপাড়া এলাকায় বাজার সংলগ্ন ০১ খতিয়ানের ৩২১৭ দাগে ৪০ শতক খাস জমির লিজ পান মৃত কছর উদ্দিন। সেইথেকে ওই জমিতে ঘর বাড়ি নির্মাণসহ ভোগদখলে ছিলেন তিনি। কিন্তু গুচ্ছগ্রাম করার জন্য পাশের খাস জমির সাথে তার জমিটিও অধিগ্রহণ করে।

এলাকার নুর ইসলাম বলেন, মৃত কছর উদ্দিনের বসবাসের স্থান হিসেবে ওই জমিটি ছাড়া আর কোন জমিই নেই। তাই ওই জমিতে দুটি ঘর করে কোন রকমে পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন তিনি। কিন্তু প্রশাসনের বার বার চাপের কারণে আজ সে মৃত। আমরা এলাকাবাসী হিসেবে এর সঠিক বিচার চাই।

মৃত কছর উদ্দিনের ছেলে শরিফুল ইসলাম বলেন, আমরা অসহায় দরিদ্র মানুষ। মাথা গোঁজার জন্য তীল পরিমাণ জমিও নাই। কবুলিয়ত মূলে আমার বাবার লিজ পাওয়া ওই জমিতে ঘর-বাড়ি নির্মাণ করে কোনরকমে জীবন যাপন করছি। কিন্তু গুচ্ছগ্রাম করার জন্য পাশের খাস জমির সাথে তহসিলদার, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সদর সহকারী ভূমী কমিশনার আমার বাবার নামে কবুলিয়ত জমিটিও অধিগ্রহণ করেন। মাথা গোঁজার ঠাঁই না থাকায় তহসিলদারের সাথে পরামর্শ করলে তিনি আমার কাছে ১ লক্ষ টাকা দাবি করেন। ধার দেনা করে ৫০ হাজার টাকা তাকে দেই। টাকা নেয়ার পরেও শুরু হয় হুমকি। জেল জরিমাণার ভয়ে আমার বাবা আজ নেই। আমি আমার বাবার মৃত্যুর বিচার চাই।

৫০ হাজার টাকা গ্রহণ ও হুমকি দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে রামনগর ইউনিয়েনের সহকারী ভূমী কর্মকর্তা বিষয়টি অস্বিকার করেন বলেন, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে কাজ করা হচ্ছে।

এবিষয়ে সদর উপজেলা নিবার্হী অফিসার এলিনা আকতারের সাথে কথা হলে তিনি হুমকি দেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, তাকে অন্য দাগে জমি দেয়ার কথা হয়েছিলো। এরমধ্যেই তিনি কি কারণে আত্নহত্যা করেছেন তা আমার জানা নাই এবং তহসিলদারকে টাকা দেয়ার বিষয়য়ে আমাকে কোন অভিযোগ করেননি।

আত্নহত্যার বিষয়ে জানতে চাইলে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রউপ বলেন, ময়নাতদন্ত শেষে একটি ইউডি মামলা হয়েছে।

0 Shares